What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

অন্য গল্প (1 Viewer)

Son Goku

Expert Member
Joined
Nov 20, 2018
Threads
125
Messages
1,620
Credits
73,517
Billed Cap
Rose
Lipstick
Red Apple
Laptop Computer
Euro Banknote
সংগৃহীত

লেখকঃ আরাগন




১ম পর্ব:

'কি রে খবর শুনেছিস?' দিশানী ঘরে ঢুকতেই কেয়া ওকে বলে ওঠে।


দিশানী কিছু বলার আগেই পল্লবী বলে ওঠে 'খবর গুরুতর বস,তলিয়ে দেখতে হবে'।


দিশানী দত্ত (বয়স 18, উচ্চতা 5'3"), কলেজে পড়ে 1st year. দিশানীরা এসেছে কেয়ার বাড়িতে । ওরা তিনজন ই এবছর কলেজে উঠেছে। একই পাড়া,।এক্ই কলেজ হওয়াতে ওদের বন্ধুত্বটাও বেশ গাঢ় হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের তিন চার মাস আগে থেকেই ওদের বাইরে যাওয়াটা বন্ধ হয়ে গেছিলো। তখন কেয়ার বাড়িতেই মাঝে মধ্যে আড্ডা দিতে যেতো। দেখতে দেখতে কেয়ার বেডরুম টাই ওদের প্রধান আড্ডাস্থল হয়ে উঠলো। আড্ডা বলতে সব টপিক ই চলে । পিএনপিসি থেকে পড়াশোনা বা প্রেম থেকে সেক্স সবকিছুই আলোচিত হয়।


ওদের মুখ থেকে গুরুতর খবর শুনে দিশানী জিজ্ঞেস করে ওঠে 'খবর টা কি শুনি ?'


পল্লবী বলে ওঠে 'আরে তোমার কাবেরী দিকে দেখলাম ‌বাজারে অনিল দার বাইকে'।


খবরটা দিশানীর কাছে গুরুতর না হলেও অবাক করার মতই। কাবেরী দি ওর নিজের দিদি নয়। পুরো নাম কাবেরী সেন, (উচ্চতা 5'5" ফিগার 34-28-34, বয়স 25) দিশানীর বাবার বন্ধুর মেয়ে, ওদের বাড়িতে ভাড়া থাকে। দিশানী কাবেরী দি বলেই ডাকে , বছরখানেক হল কাবেরী ওদের বাড়িতে ভাড়া এসছে। কাবেরী একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে, নিজের বাড়ি থেকে যাতায়াতের অসুবিধে হয় জন্য দিশানীদের বাড়িতে ভাড়া এসছে।


আর অনিল দা হলো ওদের পাশের বাড়ির, পুরো নাম দিশানী জানে না (বয়স 28, হাইট 5'10"), আসলে অনিল ওদের পাশের বাড়িতে অলোকেশ জেঠুর বাড়িতে ভাড়া থাকে প্রায় বছর চারেক হলো। অলোকেশ জেঠূ আর জেঠিমা প্রায় দুবছর ধরে বেঙ্গালুরুতে থাকে ওদের ছেলের কাছে। ছ মাসে এক বার আসে, তা সেই অর্থে অনিল ই এখন বাড়ি দেখাশোনা করে।


দিশানীকে খবরটা আরো অবাক করলো কারন কাবেরী দির মত একজন শিক্ষিতা , চাকরিজীবি কি করে অনিলদার সাথে ঘুরছে। তাছাড়া যথেষ্ট স্মার্ট, দিশানী কথা বলেই বুঝেছে। আর কাবেরী দি খুব একটা সুন্দরী না হলেও মুখ সুশ্রী আর যথেষ্ট স্টাইলিস, নিয়মিত পার্লারে যায়। আর অনিলদা চার বছর ধরে ওদের পাড়ায় থাকলেও কারো সাথেই তেমন একটা মেলামেশা করে না, কি করে সেটাও অনেকর অজানা। মাঝে মধ্যে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখে। অলোকেশ জেঠুর সাথে বার দুয়েক এসছিলো ওদের বাড়িতে তাও কোনো দরকারে, তাও সেটা অনেকদিন আগে। এরকম একজনের সাথে কাবেরী দির মেলামেশার খবরে একটু অবাকই হয় ও।


'তোরা ঠিক দেখেছিস তো?'- দিশানী জিজ্ঞেস করে ওঠে। 'আরে হ্যাঁ, দেখেছি বলেই তো বলছি'- কেয়া উত্তর দেয়।


'আরে হয়তো তাড়া ছিলো তাই লিফট নিয়েছে বাইকে, এ আর এমনকি'- দিশানী হাল্কা করার চেষ্টা করে ।


পল্লবী- না ভাই, দেখে অন্য রকম কেস ই মনে হলো।


কেয়া- হ্যাঁ, প্রেম করলেও আমি তো অবাক হবো না, শুনেছি অনিল দার চেহারাটা নাকি দারুন, মাসল ওয়ালা শরীর।


দিশানী অবাক হয়ে বলে 'তুই কি করে জানলি?'। কেয়া- 'আরে আমাদের কাজের মাসি মিনুদি বলেছে, ও তো অনিলদার বাড়িতেও কাজ করে। বলেছে চেহারাটাও করেছে একখান'।


দিশানী দের বাড়িতেও মিনু কাজ করে, ওর সাথে অবশ্য কখনো এমন কথা হয়নি। তবে কেয়ার এসব ব্যাপারে আগ্রহ কম না, তাই মিনু মাসির সাথে এসব আলোচনাও করে। দিশানী বলে 'দেখ যাই বল তোরা যেমন ভাবছিস হয়তো ততটাও গভীর নয় ব্যাপার টা'।


'দেখ আমরা যা দেখেছি তোকে তাই বললাম, একটু খেয়াল রাখিস' - পল্লবী উত্তর দেয়।


আরও কিছুক্ষণ চলে ওদের আড্ডা। তবে দিশানী ইচ্ছে করেই আর এই টপিকটা ওঠায় নি। নিজে যতক্ষন না সেরকম কিছু দেখছে ততক্ষন এসব নিয়ে কিছু ভাববে না বলেই ঠিক করে।



২য় পর্ব:



'কিরে এতক্ষণে আসার সময় হলো?'- বাড়িতে ঢুকতেই মায়ের গলা পায় দিশানী। দিশানী ওর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। ওর বাবা দেবোজিত (47, হাইট 5'7") আর মা সুদীপা (39), হাইট 5'5", ফিগার 36-30-36। দেবোজিত দিল্লীতে একটা আইটি কোম্পানিতে কর্মরত। মাঝে মধ্যে ছুটিতে আসে, হপ্তা দুয়েক আগে দেবোজিত এসছিলো, চার পাঁচদিন থেকে চলে গেছে আর সুদীপা হাউসওয়াইফ। কলেজ ফাইনাল ইয়ারের আগেই দেবোজিতের সাথে বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব পালন, মেয়েকে মানুষ করা সবই একার হাতে সামলেছে ও। পাশাপাশি এখন কাবেরীর দেখাশোনার দায়িত্বটাও এখন ওর কাধে, যতই হোক দেবোজিতের বন্ধুর মেয়ে।

সুদীপা দের দোতলা বাড়ি, ওপর তলায় ওরা থাকে আর নীচ তালায় কাবেরী থাকে। ওদের বাড়ির ছাদ আর পাশের অলোকেশদা দের বাড়ির ছাদটা গায়ে গায়ে লাগানো। আগে অলোকেশদা আর বৌদির সাথে ভালোই গল্প গুজব হতো, ওরা চলে যাওয়াতে এখন সেটাও বন্ধ।

দোতলায় উঠে নিজের ঘরে চলে যায় দিশানী। একটু পরেই ওর মা স্নানের জন্য তাড়া দেবে। তার আগে একটু গল্পের বই নিয়ে বসে। যদিও মন বসে না, মাথায় কাবেরী দের ব্যাপার টাই ঘুরতে থাকে। যদি ব্যাপারটা তেমন গুরুতর না হয় তবে কোনো কথা নেই, কিন্তু সেরকম কিছু হলে চাপ আছে আর ওর মা যদি জেনে যায় তবে কোনো কথাই নেই। এমনকি কাবেরী দির বাবা মাকেও জানিয়ে দিতে দ্বিধা করবে না।

কিছুক্ষণ পর সুদীপা আবার ওকে স্নানের জন্য তাড়া দেয় , দিশানী চিন্তা থামিয়ে বাথরুমের দিকে যায়।



বিকেলের দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় দিশানীর । দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর হালকা চোখ লেগে গেছিলো। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের রুমে উকি দেয় , দেখে সুদীপা ঘুমোচ্ছে। দিশানী হাওয়া খেতে ছাদে যায়, সিড়িতে উঠতেই দেখে ছাদের দরজা খোলা, ওর মা যেহেতু ঘুমোচ্ছে তাই ছাদে কাবেরী দিই আছে, এমনকি কথা বলার আওয়াজও আসছে। উকি দিতেই দেখতে পায় কাবেরীদি অনিলদার সাথে কথা বলছে।কৌতুহল চেপে রাখতে না পেরে উকি দেয় দিশানী-


(কাবেরীর গলা): তুমি একটা অসভ্য বুঝলে


(অনিলের গলা): কি করলাম শুনি?

কাবেরী: এই যে পার্কে গিয়ে যেভাবে কাধে হাত দিয়েছিলে..

অনিল( অনুযোগের সুরে): তোমার বুঝি খারাপ লেগেছে ?


কাবেরী: তা না, তাছাড়া কেউ দেখে ফেললে ।


অনিল: সে দেখলে দেখবে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।


কাবেরী: হ্যাঁ তোমার আর কি


অনিল: এই শোনো না, কাল হোক তাহলে


কাবেরী: তুমি না বড্ড বেড়েছো


অনিল: আরে চলো তো, কিছু হবে না


কাবেরী: আচ্ছা দেখছি


অনিল: না দেখছি টেকছি না, কাল ছুটি নাও


কাবেরী: তা কোথায় নিয়ে যাবে শুনি ?


অনিল: আমার চেনাজানা এক বন্ধুর বাড়ি আছে, খালিই থাকে ওখানে


কাবেরী: এই না না ওখানে নয়


অনিল: তবে ?


- এক কাজ করবো, কাল কাকিমা দুপুরের দিকে থাকবে না আর দিশানীরও কলেজ আছে, আমি অফিস থেকে কিছু একটা ম্যানেজ করে ১টার দিকে বাড়ি চলে আসবো, তুমি এখানে চলে এসো।


- ওকে ডার্লিং, আমার আর তর সইছে না


- আর হ্যাঁ ছাদের দরজা টা খোলা থাকবে, তুমি ছাদ দিয়ে নেমে সোজা আমার ঘরে চলে এসো।

ওদের কথোপকথোন টা আরও চলতো, তবে এসব শুনে দিশানী আর দাঁড়ালো না, সোজা নিজের ঘরে চলে এলো।

তাহলে কাবেরীদির ব্যাপারে পল্লবীরা যা বলেছিলো সেটা একেবারেই ঠিক। শুধু তাই নয় ওদের সম্পর্কটা বেশ গাঢ় ও হয়েছে, তাই অনিলদা কাল ওদের বাড়িতেই আসবে দেখা করতে। কাবেরীদি ঠিকই বলেছে কাল ওর মা দুপুরের দিকে বাড়িতে থাকবে না। সুদীপা কাল জয়িতা মাসি দের বাড়ি যাবে, জয়িতা হল ওর মায়ের স্কুলে জীবনের বান্ধবী। আর অনিলদা এর ফাকে ওদের বাড়িতে এলে সেটা যে দেখা করার চেয়েও বেশি কিছু হবে সেটা ভালোই বুঝতে পারছে। তবে দিশানী ভেবে পাচ্ছে না যে ও এখন কি করবে, কেয়া- পল্লবীদের ডাকবে?, ওদের ডাকলে আবার এসব জিনিস ছড়াতেও সময় লাগবে না আর ওর মা যদি এসব জেনে যায় তখন আরো বড় ঝামেলা হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই কাবেরীর সিড়ি দিয়ে নীচে নামার শব্দ পায় দিশানী, মানে ওদের কথাবার্তা শেষ। তবে যাই হয়ে যাক না কেন ও কাল দুপুরে বাড়িতেই থাকবে আর নিজের চোখে আসল ব্যাপার টা দেখবে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top