What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Review একজন বহু প্রতিভাধর ‘পীযুষ মিশরা’ (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
AK35JMK.jpg


১৯৬৩ সালের ১৩ই জানুয়ারি মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র শহরে জন্মগ্রহণ করেন পীযুষ মিশরা। পীযুষ মিশরা তার আসল নাম না, তার আসল নাম প্রিয়াকানশা শার্মা । ডাক নাম হিসেবে "প্রিয়া" বলে সবাই সম্বোধন করায় এই নাম তার পছন্দ হতো না। দশ বছর বয়সে ফুফুর কাছে চলে আসেন, সেই সময় সিদ্ধান্ত নেন বাবার দেয়া নাম তিনি রাখবেন না, নিজের নাম নিজ-ই এফিডেভিট করে "পীযুষ মিশরা" রেখে দেন ।

দশ বছর বয়সে নিজের নাম বদলে ফেলার মত মানসিকতা যার তৈরী হয়ে যায় পরবর্তীতে তার চিন্তা-চেতনা কতোটুকু সুদূরপ্রসারী হতে পারে তা সহজে অনুমেয় । বর্তমান সময় পর্যন্ত ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে বের হয়ে যারা বলিউডে এসেছেন তাদের মধ্যে থেকে সবচে ছোট তালিকাতেও "পীযুষ মিশরা" নামটি থাকবে । অবসাদগ্রস্ত বা পারিবারিক কোনো কারণে নয় জীবনের সজ্ঞা খুজতে গিয়ে প্রকটভাবে হয়ে উঠেন মাদকাসক্ত । এতে করে এতোটা-ই ভেঙ্গে পড়েন যে এক সময় তিনি নাস্তিকতাবাদে বিশ্বাসী হয়ে পড়েন । দীর্ঘ সময় আকড়ে ধরে ছিলেন এই নাস্তিকতার শেকড়, কাজ না পেয়ে তার এই গোড়ামী আরো বেশি প্রকট হয়ে পড়ে, বেশ বড় একটা সময় বেকার ছিলেন । এরমাঝে একদিন মণি রত্মমের প্রথম সিনেমা(বলিউডে) "দিল সে" তে ডাক পেয়ে যান, এর কয়েক বছর পর-ই রাজকুমার সান্তোসির সাথে কাজ করার সুযোগ পান। মূলত এই দুটি ঘটনাকে তিনি সুপ্রিম কোনো শক্তির অবদান মনে করে নাস্তিকতার বেড়াজাল থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেন । এরপর আরো বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করলেও বিশাল ভারাদ্ব্বয়াজের "মাকবুল" ছিলো তার সবচে বড় টার্নিং মোমেন্ট । একের পর এক কাজের মাধ্যমে বলিউডে নিজের পরিচয় ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন, অভিনয়ের পাশাপাশি মনোনিবেশ করেন রাইটিং(ডায়ালগ) সেক্টরে, সেখানেও সফলতাকে বন্দি করে নেন পীযুষ মিশরা । থিয়েটারে থাকাকালীন সময় "হ্যামলেট"এর মাধ্যমে যে পরিচিতিপ্রাপ্ত হয়েছিলেন "লিজেন্ড অফ ভাগাত সিং" আর "মাকবুল"এর মাধ্যমে বলিউডেও স্থান করে নেন পীযুষ মিশরা ।

"প্রথমত আমি নিজে-ই জানতাম না আমি আসলে কি হতে চাই বা ঠিক কোন বিষয়ে আমার আগ্রহ যদিও অষ্টম শ্রেণীতে থাকাকালীন সময়-ই খুব করে কবিতা লিখতাম কিন্তু এটি সেই সময়ের কথা বা আমাদের গ্রামের পরিস্থিতি অনুযায়ী তখন কবিতাকে প্রফেশন হিসেবে মেনে নেয়া এক প্রকারের অষ্টম আশ্চর্য ব্যাপার বলে মনে করা হতো । আর ফিজিক্স-ক্যামিস্ট্রি বা সাইন্সের কোনো সাবজেক্ট নিয়ে পড়াও আমার পক্ষে অসম্ভব ছিলো, আরো সরলভাবে যদি বলি তাহলে বলবো পড়াশোনা থেকে পালিয়ে বেড়াতাম সব সময়"।

১৯৮৬ সালের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবে একজন ব্যক্তির চার হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকুরি পাওয়া ছিলো খুব কঠিন ব্যাপার । তবুও ভাগ্য দেবি সহায় হওয়ায় বি গ্রেডের চাকরী পেয়ে যান । চাকরি পেয়ে নিজে যতোটুকু খুশি হয়ে ছিলেন তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলো তার পরিবার, মধ্যবিত্ত পরিবারের আসল সুখ তো এতে-ই লুকায়িত থাকে। স্বভাবত-ই যে মানুষটি বইয়ের পাতায় মনকে নিবদ্ধ করতে পারেনি তার পক্ষে পুরো মাস এক-ই কাজে মনকে বেধে রাখা দুসাধ্যের পর্যায়ে ছিলো , ১৮দিনের মাথায় চাকুরী ছেড়ে দেন । পরিবারকে বোঝাতে ব্যর্থ হন কেনো ছেড়ে দিয়েছেন এমন ঈর্ষনীয় মাইনের চাকুরী, পরিবারের আগে তিনি নিজেকে-ই প্রথমত বোঝাতে ব্যর্থ হন, কি কারণে চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন ।

একাধারে লেখক,কবি, সঙ্গীত সুরকার,গীতিকার,গায়ক,অভিনেতা, স্ক্রিপ্ট রাইটার এতো বিশেষণে বিশেষায়িত ব্যক্তি শুধু বলিউডের মাঠে না গোটা ভারতবর্ষে খুজে পাওয়া ভার । বহুমুখী প্রতিভার প্রসঙ্গে আমরা বরাবরের মতন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ফারহান আক্তার,কামাল হাসান,আমির খান সহ আরো দু'একজন চির চেনা মুখ যারা আছেন তাদের নাম বলে থাকি । আর আউট অফ সিলেবাস থেকে যান পীযূষ মিশরাদের মতন সক্রিয় প্রতিভাবানেরা ।
ছাত্র জীবন থেকে-ই তার মধ্যে এক প্রকারের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করতো জীবনের লক্ষ্য নিয়ে । কোনো কাজে মনকে বেশিক্ষণ স্থির রাখতে পারতেন না । একটু লাজুক স্বভাবের হলেও মনোভাব ছিলো কিছুটা উগ্র । যে সময় লক্ষ্য স্থির নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন সেই সময় পাঠ্য বইয়ের প্রতি মনোযোগী করতে স্কুল থেকে একক নাটিকার আয়োজন করা হয় সেখানে তাকে দেয়া হয় আইনস্টাইনের চরিত্র(যেনো তার চরিত্রকে অনুভব করে ফিজিক্সের প্রতি আগ্রহ জন্মায়) । কিন্তু এতেও কোনো সফলতা আসলো না, ফিজিক্স আর পীযূষ দু'জন-ই যেখানে ছিলেন সেখানে-ই রয়ে গেলেন । নাটিকার মাধ্যমে ফিজিক্সে আগ্রহ না আসলেও অভিনয়ের স্বাদ কিছুটা বুঝতে পেরেছিলেন, আর এভাবে-ই অভিনয়ের বীজ বুনে যায় তার মনে ।

১৯৮৩সালে ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামাতে । সেই সময় ফ্রিৎজ বেনিউইতজ নামে টিচার ছিলেন NSD তে। খুব প্রিয় ছাত্র ছিলেন পীযূষ মিশরা তার । ফ্রিৎজ-ই শিখিয়ে ছিলেন কিভাবে চরিত্রে ক্রাফট অর্থাৎ নৈপুণ্য আনতে হয়, হাতে কলমে দেখিয়ে দিতেন কিভাবে চরিত্রে ডুবে যেতে হয় । সেই সময় তার-ই পরিচালনায় "হ্যামলেট" নাটকে অভিনয় করেছিলেন পীযুষ, এখন পর্যন্ত NSD তে সবচেয়ে তে সবচে সফল মঞ্চস্থ নাটক ছিলো "হ্যামলেট" । এই হ্যামলেট দিয়ে পরিচিতি লাভ করেন পীযুষ মিশরা । এরপর একে একে বহু নাটক করেন থিয়েটারে । অভিনয়ের প্রতি এক সময় এতোটা-ই আসক্ত হয়ে পড়েন যে কোনো কোনো দিন বিশ্রামহীন ভাবে কাটিয়ে দিতেন হল রুমে, সেখানে বসে একেক সময় একেক রোল প্লে করতেন একাকি । এমনও হয়েছে বাসায় যাচ্ছেন ট্যাক্সিতে করে, ট্যাক্সিচালককে পর্যবেক্ষণ করতেন, এরপর বাসায় এসে তা নিজে করতেন । তবুও মনের তৃপ্তি মিটতো না কারণ তার-ই সম সাময়িক বিশাল ভারাদ্ব্বয়াজ, মনোজ বাজপাই, রেখা ভারাদ্ব্বয়াজ, আশিস বিদ্যার্থী সহ আরো অনেকে ভালো অবস্থায় অবস্থান করে নিয়েছেন বলিউড ফিল্ডে । যদিও NSD তে থাকাকালীন সময় সুরাজ বারজাতেয়া "ম্যায়নে পিয়ার কিয়া" সিনেমায় "প্রেম" চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাকে অফার করেন, কিন্তু সেই সময় তার বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেই রোল, ভেবেছিলেন আরো বড় কোনো পরিচালকের ডাক পাবেন । এরপর চোখের সামনে শুধু সহপাঠীদের সিনেমার পোস্টার দেখে যেতেন আর ভেঙ্গে পড়তেন । আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন এক পর্যায়ে । হ্যামলেটের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হওয়ায় তার মাঝে এক প্রকারে অহংবোধ বাসা বাধে । NSD তে এমন খুব কম ছাত্রের সুযোগ হয়েছিলো যে অধ্যয়নরত অবস্থাতে-ই "ড্রামা স্কুলের সুপার হিরো" হতে পারেছিলেন, পীযূষ তাদের মধ্যে একজন ছিলেন যিনি অধ্যয়ন অবস্থাতে-ই ড্রামা স্কুলে হিরো বনে গিয়েছিলেন, সিনেমার রোল,ড্রামা স্কুলের খ্যাতি, সমকালীন সময়ে বড় বড় পত্রিকায় তার ছবিসহ প্রশংসামুখর আলোচনা সব মিলিয়ে বেশ অহংকারবোধ কাজ করতো তার মনে । আসক্ত হয়ে পড়ে নারী আর এলকোহলের প্রতি । ধীরে ধীরে বিষণ্ণতা গ্রাস করে ফেলে তাকে। আর এই ডিপ্রেশন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে "Act One" থিয়েটারে ভর্তি হওয়ার পর থেকে । পীযুষ মিশরা প্রায়-ই বলতেন, যদি Act One থিয়েটার না হতো না এতোদূর পর্যন্ত সারভাইভ করা তার পক্ষে সম্ভব ছিলো না, এখানে এসে-ই ক্যারিয়ারে ইতিবাচক মোড় পান যারর মাধ্যমে বলিউডে প্রবেশ করা তার জন্য সহজ হয়ে যায় । যাকে তিনি সুপ্রিম পাওয়ার বলে মনে করতেন সেটি ছিলো মূলত এক্ট ওয়ানের খ্যাতি, বর্তমানে বহু নামিদামি পরিচালকের আনাগোনা ছিলো এই Act One থিয়েটারে । ব্রেক থ্রুর পেছনে এঈ এক্ট ওয়ান প্রত্যক্ষভাবে পীযুষ মিশরাকে সাহায্য করেছে ।

১৯৯০ সাল থেকে আবারো পীযুষ মিশরা চলে আসেন যেখানে তিনি লক্ষ্যস্থির করেছিলেন,থিয়েটারে । এক্ট ওয়ানে জয়েনিং এর পরে তার কাছে তিগমাংশু ধুলিয়া "দিল সে" সিনেমার অফার নিয়ে আসেন, তখন তিগমাংশু ধুলিয়া সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন । মনি রত্মনের দিল সে সিনেমায় ইনভেস্টিগেশন অফিসার চরিত্রের মাধ্যমে প্রবেশ করেন রূপালী পর্দায় । এরপর মাকবুল সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন । এর-ই মাঝে একদিন রাজকুমার সান্তোসি তাকে "লিজেন্ড অফ ভাগাত সিং" সিনেমা রাইটার(ডায়ালগ) হিসেবে অফার করেন । এরপর গাজনী,অগ্নিপথ,ট্রাফিক সহ বেশ কিছু সিনেমার রাইটার(ডায়ালগ) হিসেবে কাজ ফের আলোচিত হয়ে উঠেন। কিন্তু এবার আর ফিরে দেখা নয় শুধু সামনে এগিয়ে গিয়েছেন, খুজে পেয়েছেন জীবনের লক্ষ্যে, তবুও দর্শনতত্ত্বে এখনো ডুবে আছেন যার উপর ভর করে-ই লিখে যাচ্ছেন একের পর এক গান ।

S1VtMff.jpg


বর্তমানে বলিউডের মিউজিক ডিপার্টমেন্ট টিকে আছে গুলজার,ইরশাদ কামিল, জাভেদ আক্তারদের হাত ধরে, উনাদের ছাড়া এক প্রকারের অসুস্থ মিউজিক ডিপার্টমেন্ট বলা যেতে পারে বলিউডের এই শাখাকে । এখন খুব কম গানে শরীরে কাটা দেয়, মনকে অকৃত্রিম বিনোদিত করে, বরঞ্চ এখন শরীরে কাটার বদলে সুড়সুড়ি অনুভূত হয় গানের লাইন শোনার পর । কোনো গভীর তাৎপর্য না সাময়িক বিনোদন-ই মূল উদ্দেশ্যে । এক্ষেত্রে পীযুষ মিশরা ছিলেন এ ওয়ান ক্যাটাগরিতে, প্রথমত তার গানের লাইনগুলো ছিলো খুব-ই গভীর মমার্থপূর্ণ । তার সবচে বিখ্যাত গানের মধ্যে ব্ল্যাক ফ্রাইডে সিনেমায় গাওয়া,"Aree rukh jare bande", এই গানের কভার করে-ই ফেমাস ব্যান্ড "ইন্ডিয়ান ওশান" ব্যাপক আলোচিত হয়েছে, এছাড়াও গ্যাংস অফ ওয়াসিপুরে তার গাওয়া "এক বাগাল" গানটি পুরো সিনেমার আবহকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে ।

চলচ্চিত্রের প্রায় প্রতিটি শাখায় তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, ম্যাকবেথ অবলম্বনে বিশাল ভারদ্বায়াজ পরিচালিত "মাকবুল" সিনেমায় "কাকা" চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দেখিয়েছেন, এরপর একে একে গুলাল, অমিতাভ বচ্চনের সাথে দিওয়ার, রকস্টার, তামাশা,পিংক এন্ড লাস্ট বাট নট লিস্ট "গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর", মূলত পীযুষ মিশরার বাচন ভঙ্গিকে কাজে লাগিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যাপ, চিবিয়ে চিবিয়ে প্রতিটা ডায়ালগ ডেলিভারি আর কন্ঠে ভারিক্কি তার অভিনয়কে আরো বেশি ধারালো করে দিয়েছে। অভিনয়, রাইটার,গীতিকার ছাড়াও তার আরো একটি প্রতিভা হচ্ছে "পোয়েট্রি"। জীবন দর্শনের প্রতি প্রবলভাবে আবদ্ধ পীযূষ মিশরা বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে বহু কবিতা রচনা করেছেন যার বেশির ভাগ তার এই জীবন দর্শনকে পুজি করেই লেখা। তার কবিতাসমূহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বহু সিনেমায়, বিশেষ করে গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর -এ। আনুরাগ কাশ্যাপকে নিজের বদ অভ্যাস বলে মনে করতেন পীযুষ মিশরা, তার সিনেমায় কাজ করতে কোনো প্রকারের দ্বিধাগ্রস্ত বোধ করতেন না, আর আনুরাগ কাশ্যাপ তাদের টিমের সবচে বড় সমালোচক মনে করতেন পীযুষকে। এছাড়া সাই কাবির(রাইটার/ডিরেক্টর) আর তিগমাংশু ধুলিয়ার সাথে পীযুষ মিশরার দারুন বন্ডিং রয়েছে ।

শচীন টেন্ডুলকার এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন "আমার ঐ সব বলের কথা মনে আছে যেসব বলে আমি আউট হয়েছিলাম"- এর মানে এই না যে শচীনের সব আউটের স্মৃতি মনে আছে, তার বলার মানে ছিলো যে তিনি শুধু সফলতাকে নয়, পরাস্ত হওয়ার কথাও মনে রেখেছিলেন । ঠিক তেমনিভাবে পীযূষও মনে রেখেছিলেন ড্রামা স্কুল থেকে বের হওয়ার পরে (১৮৮৬ সালের পরে) তিনি কিভাবে দিনযাপন করেছিলেন, সেসব দুর্বিষহ দিনের স্মৃতি মনে করে-ই ভবিষ্যতের ছক একে ফেলেন । মাদকাসক্ত কেন্দ্রে ছিলেন প্রায় এক বছর, নিজের সাথে লড়াই করে ফিরে আসেন আর লিখতে শুরু করেন একাধারে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টিকারী গান। Husna, কোক স্টুডিও ইতিহাসে সেরা গানগুলোর একটি এই গান । মানবিক যন্ত্রনা ভুগেছিলেন অনেক বছর, সেসব যন্ত্রণাকে বহিঃপ্রকাশ করতে গান আর কবিতার আশ্রয় নেন । তার গানের প্রধান উপজীব্য ছিলো "জীবন আর দর্শন "।

অসামান্য প্রতিভার অধিকারী পীযূষ মিশরা এখন বলিউডে সবচে আন্ডারেটেড আর্টিস্টদের একজন, হালের অজ্ঞ, নাম মাত্র শিল্পিদের নিয়ে পত্র-পত্রিকায় হাজারো আর্টিকেল লেখা হয় কিন্তু লেখা হয় না পীযুষ মিশরাদের নিয়ে ।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top