সবাই পরবেন প্লিজ,খুব প্রবলেমে আছি
মতামত দিবেন আশা করি
আমার বিয়ে (কাবিন) হয়েছে আজ ১মাস । কিন্তু উঠিয়ে নেয় নি। আমার বরের সাথে আমার বিয়ের আগে ৫ মাস যাবত ভালই কথা হত। সে নিজে থেকেই আমাকে পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রেম না।
আমি তাকে আগেই বলেছিলাম আমার অনেক বেশি রাগ, জেদ। সে তাতেই রাজি ছিল। সেসব জেনেই সে আমাকে বিয়ে করেছিল।
এখন আমি আর আমার বর কাবিনের পর ২য় বার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম।
এতে তার মা,বাবা,ভাই,বোন কে সাথে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাতে রাজী ছিলাম না। বলেছিলাম যে ফ্যামিলি গেলে আমি যাব না। কারন মাত্র ২য় বার যাচ্ছি আমি, এখন যদি ফ্যামিলি যায় তাহলে আমার আনইজি লাগবে, ফরমালিটি করতে হবে, নিজের মত থাকতে পারব না। আর এখোনো তাদের সাথে আমি পুরোপুরি ফ্রী হই নি।তারা পরে যাবে। এ সবই তাকে আমি বলেছি।
কিন্তু এই কথা সে ভেবে নিয়েছে যে, আমি তার মা কে সহ্য করতে পারিনা, তার মা কে নিয়ে সংসার করে খেতে পারব না। এটা বলা নাকি আমার অনেক বড় অপরাধ হইছে। সে বলেছে তার মা একদিকে আর দুনিয়ার সব একদিকে। এই ঝামেলায় ডিভোর্সের কথা পর্যন্ত চলে আসছে।
এখন তার মা বা ফ্যামিলিকে না নিতে চাওয়া কি আমার আসলেই দোষের বা তাদের নিয়ে যাওয়া কতটুকু যৌক্তিক?
# বিয়ের পর মা আর বউ দুইটার মধ্যে সিনক্রোনাইজ করে চলা একটা পুরুষ মানুষের বিবাহিত জীবনের সবচাইতে চ্যালেঞ্জিং বিষয়। দুইজন বরাবরই পৃথিবীর দুই মেরুতে অবস্থান করে আর ছেলেটার অবস্থান বিষুব রেখা বরাবরে। এখন উত্তর মেরু থেকে মা ভাবে ছেলে বোধহয় বউরে পেয়ে মাকে ভুলে গেছে তাই বউয়ের দিকে আছে, উত্তর মেরুতে আসে না, আবার দক্ষিণ মেরুতে বউ বসে ঠিক একই কথা ভেবে জামাইয়ের উপর ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করতে থাকে। একজন পুরুষ মাইনক্যার চিপায় পরে অতীষ্ট হয়ে কি যে একটা বিজিকিচ্ছিরি অবস্থায় দিন কাটায় সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না।
জামাই ফ্যামিলি নিয়া ট্যুরে যেতে চাইছে কারণ যাতে ফ্যামিলির অন্য সবাই এটা বলতে না পারে বিয়ের পর ছেলেটা বউয়ের আচলের তলায় চলে গেছে। বউয়ের কথায় উঠে আর বসে। অপরপক্ষে আপনি জামাইয়ের সাথে একলা যাইতে চাচ্ছেন যেন তার সাথে নিরিবিলি কিছু কোয়ালিটি টাইম পাস করতে পারেন। এখন একটা জিনিস ভেবে দেখেন, জামাইটা আপনার, সারাজীবন তার সাথেই থাকবেন, তার সাথে কোয়ালিটিফুল টাইম পাসের জন্য আজীবন পরে আছে। এবছর যেতে না পারলে সামনের বছর যেতে পারবেন, অথবা অন্য যেকোন সময়। কিন্তু শুরুতেই যদি শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনে করে বিয়ের পরে আপনার জামাই আপনার কথায় উঠবস করছে, সারাজীবন আপনার সুখ-শান্তি হারাম হয়ে যাবে। সুতরাং বিয়ের পর সম্পর্কের আইস ব্রেকিং এর উপর গুরুত্ব দেন। আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে ইজি হয়ে নেন। তাদের একেবারে আপন মানুষ হয়ে উঠেন। জামাইকেও আপনার প্রতি দূর্বল করে তোলেন। একসময় যখন তার পরিবারের একজন হয়ে উঠবেন, তখন মাসে মাসে জামাইয়ের সাথে নিরিবিলি ঘুরতে গেলেও কেউ কিছু মনে করবে না।
তাদের সাথে যেহেতু একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে সেহেতু আগে সম্পর্কের ফাঁটলগুলি মেরামতে জোর দেন। শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ির প্রতি বিশেষ নজর দেন। সকালের নাস্তা, চা বানাই খাওয়ান। রান্না না পারলেও অন্তত খাবার টেবিলে খাওয়াদাওয়া তদারকি করেন। তাদের ঔষধ সময়মত খাবার দিকে খেয়াল রাখেন। স্বামীর সাথে বাইরে ঘুরতে গেলে বা কোথাও খেতে বসলে বাসায় আসার সময় সবার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসেন। ভালো কিছু রান্না করে সবাইকে নিয়ে খান, আস্তে আস্তে এভাবে যখন সংসার আনন্দে ভরে উঠবে তখন আপনার স্বামীই দেখবেন আপনার চাহিদাগুলো পূরণে এগিয়ে আসবে। আপনার আর সেগুলার জন্য আলাদা করে আবদার করা লাগবে না। শুধু তাকে আপনার ইচ্ছাগুলা জানাই রাখবেন।
আপনার জন্য শুভকামনা।
মতামত দিবেন আশা করি
আমার বিয়ে (কাবিন) হয়েছে আজ ১মাস । কিন্তু উঠিয়ে নেয় নি। আমার বরের সাথে আমার বিয়ের আগে ৫ মাস যাবত ভালই কথা হত। সে নিজে থেকেই আমাকে পছন্দ করেছিল। কিন্তু প্রেম না।
আমি তাকে আগেই বলেছিলাম আমার অনেক বেশি রাগ, জেদ। সে তাতেই রাজি ছিল। সেসব জেনেই সে আমাকে বিয়ে করেছিল।
এখন আমি আর আমার বর কাবিনের পর ২য় বার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম।
এতে তার মা,বাবা,ভাই,বোন কে সাথে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাতে রাজী ছিলাম না। বলেছিলাম যে ফ্যামিলি গেলে আমি যাব না। কারন মাত্র ২য় বার যাচ্ছি আমি, এখন যদি ফ্যামিলি যায় তাহলে আমার আনইজি লাগবে, ফরমালিটি করতে হবে, নিজের মত থাকতে পারব না। আর এখোনো তাদের সাথে আমি পুরোপুরি ফ্রী হই নি।তারা পরে যাবে। এ সবই তাকে আমি বলেছি।
কিন্তু এই কথা সে ভেবে নিয়েছে যে, আমি তার মা কে সহ্য করতে পারিনা, তার মা কে নিয়ে সংসার করে খেতে পারব না। এটা বলা নাকি আমার অনেক বড় অপরাধ হইছে। সে বলেছে তার মা একদিকে আর দুনিয়ার সব একদিকে। এই ঝামেলায় ডিভোর্সের কথা পর্যন্ত চলে আসছে।
এখন তার মা বা ফ্যামিলিকে না নিতে চাওয়া কি আমার আসলেই দোষের বা তাদের নিয়ে যাওয়া কতটুকু যৌক্তিক?
# বিয়ের পর মা আর বউ দুইটার মধ্যে সিনক্রোনাইজ করে চলা একটা পুরুষ মানুষের বিবাহিত জীবনের সবচাইতে চ্যালেঞ্জিং বিষয়। দুইজন বরাবরই পৃথিবীর দুই মেরুতে অবস্থান করে আর ছেলেটার অবস্থান বিষুব রেখা বরাবরে। এখন উত্তর মেরু থেকে মা ভাবে ছেলে বোধহয় বউরে পেয়ে মাকে ভুলে গেছে তাই বউয়ের দিকে আছে, উত্তর মেরুতে আসে না, আবার দক্ষিণ মেরুতে বউ বসে ঠিক একই কথা ভেবে জামাইয়ের উপর ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করতে থাকে। একজন পুরুষ মাইনক্যার চিপায় পরে অতীষ্ট হয়ে কি যে একটা বিজিকিচ্ছিরি অবস্থায় দিন কাটায় সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না।
জামাই ফ্যামিলি নিয়া ট্যুরে যেতে চাইছে কারণ যাতে ফ্যামিলির অন্য সবাই এটা বলতে না পারে বিয়ের পর ছেলেটা বউয়ের আচলের তলায় চলে গেছে। বউয়ের কথায় উঠে আর বসে। অপরপক্ষে আপনি জামাইয়ের সাথে একলা যাইতে চাচ্ছেন যেন তার সাথে নিরিবিলি কিছু কোয়ালিটি টাইম পাস করতে পারেন। এখন একটা জিনিস ভেবে দেখেন, জামাইটা আপনার, সারাজীবন তার সাথেই থাকবেন, তার সাথে কোয়ালিটিফুল টাইম পাসের জন্য আজীবন পরে আছে। এবছর যেতে না পারলে সামনের বছর যেতে পারবেন, অথবা অন্য যেকোন সময়। কিন্তু শুরুতেই যদি শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনে করে বিয়ের পরে আপনার জামাই আপনার কথায় উঠবস করছে, সারাজীবন আপনার সুখ-শান্তি হারাম হয়ে যাবে। সুতরাং বিয়ের পর সম্পর্কের আইস ব্রেকিং এর উপর গুরুত্ব দেন। আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে ইজি হয়ে নেন। তাদের একেবারে আপন মানুষ হয়ে উঠেন। জামাইকেও আপনার প্রতি দূর্বল করে তোলেন। একসময় যখন তার পরিবারের একজন হয়ে উঠবেন, তখন মাসে মাসে জামাইয়ের সাথে নিরিবিলি ঘুরতে গেলেও কেউ কিছু মনে করবে না।
তাদের সাথে যেহেতু একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে সেহেতু আগে সম্পর্কের ফাঁটলগুলি মেরামতে জোর দেন। শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ির প্রতি বিশেষ নজর দেন। সকালের নাস্তা, চা বানাই খাওয়ান। রান্না না পারলেও অন্তত খাবার টেবিলে খাওয়াদাওয়া তদারকি করেন। তাদের ঔষধ সময়মত খাবার দিকে খেয়াল রাখেন। স্বামীর সাথে বাইরে ঘুরতে গেলে বা কোথাও খেতে বসলে বাসায় আসার সময় সবার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসেন। ভালো কিছু রান্না করে সবাইকে নিয়ে খান, আস্তে আস্তে এভাবে যখন সংসার আনন্দে ভরে উঠবে তখন আপনার স্বামীই দেখবেন আপনার চাহিদাগুলো পূরণে এগিয়ে আসবে। আপনার আর সেগুলার জন্য আলাদা করে আবদার করা লাগবে না। শুধু তাকে আপনার ইচ্ছাগুলা জানাই রাখবেন।
আপনার জন্য শুভকামনা।