কোনো কিছুতেই জীবন থেমে থাকে না। থামে না জীবিকার চাকাও। তাই আপনাকে কর্মক্ষেত্রে যেতেই হবে। সেই সঙ্গে সুরক্ষিতও থাকতে হবে। তবে নিশ্চিতভাবেই অফিস বা কর্মক্ষেত্র সেই স্থান যেখানে অনেক লোকের সমাগম হয়। তাই অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেখানে।
করোনায় বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে। তাই এখন সচেতন না হলে পরিণতি অত্যন্ত খারাপ হতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রপত্রিকাগুলোতে এ বিষয়ে লেখালেখি হচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রে সবাই ব্যবহার করেন এমন সাধারণ কোনো যন্ত্র বা অনুষঙ্গ ব্যবহারের আগে ও পরে জীবাণুনাশক ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে। কাজের স্থান, কম্পিউটারের কিবোর্ড, মাউস, স্টেশনারি, টেলিফোন ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
দরজার হাতল, রিমোট, লিফটের সুইচের মতো বহুল ব্যবহৃত অনুষঙ্গ সবাই ব্যবহারের পর জীবাণুমু্ক্ত করার উপায় হাতের কাছে রাখতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের ওপর ভরসা না করে নিজের ও আশপাশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সবারই 'হ্যান্ড স্যানিটাইজার', 'হ্যান্ড রাব' সঙ্গে রাখতে হবে।
নিজ উদ্যোগেই করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা, অন্যকে জানানো ও বিভ্রান্তি দূর করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সচেতন করতে গিয়ে যেন আতঙ্ক না ছড়িয়ে যায়। আর করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলে ঘরেই থাকতে হবে, অন্যকে রক্ষার জন্য।