What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সাজেক : হাতের মুঠোয় মেঘের উপত্যকা (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
3BxuC2c.jpg


পাহাড়ের রানী সাজেক ভ্যালি, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। অপার্থিব সৌন্দর্যের লীলাময় এই সাজেক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪৮৮ ফুট উপরে অবস্থিত। অনেকে সাজেক ভ্যালীকে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলেও আখ্যায়িত করেন। রাঙ্গামাটিতে এর অবস্থান হলেও এখানে যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। যাত্রাপথের পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব, চারপাশে মনোরম দৃশ্য। পথের দুই পাশে ছিমছাম লাল-সবুজ বাড়ি, আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে বসে মেঘের মেলা।

যেভাবে সময় কাটাতে পারেন সাজেক ভ্রমণে

ঢাকা থেকে নাইট কোচে রওনা হয়ে ভোরবেলা খাগড়াছড়ি। একটু ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করেই ফোর হুইলার জীপে চেপে বসতে হবে; গন্তব্য সাজেক। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্চকর যাত্রা !

বিকেলবেলা পাশের রুইলুই পাড়ায় ঘোরাঘুরি করাটাই বেটার। রাতে ডিনার শেষে আড্ডা গল্প আর ঘুম। চাইলে বারবিকিউও করা যাবে। পরদিন খুব ভোরে পাহাড়ের চূড়া থেকে সূর্যোদয় অবলোকন। নয়নাভিরাম সাজেকের নয়নাভিরাম ভোর। ব্রেকফাস্টের পরে ৩০-৪০ মিনিট হেঁটে চলে যেতে পারেন কংলাক পাড়ায়। কংলাক সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া। কংলাকের রাস্তা কাঁচা আর খানিকটা পাহাড়ও আছে, তাই ভালো গ্রিপ আছে এমন জুতা পায়ে দিয়ে যাবেন। কংলাকে ঘোরাঘুরি আর বুক ভরে বিশুদ্ধ বাতাস নেয়ার পর খানিকটা এগোলেই পাবেন কমলা বাগান। তারপর আবার খাগড়াছড়ি ফিরে আসা। আবার সেই দম বন্ধ করা সৌন্দর্যের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ !

ফিরতি পথে বাঘাইহাট এলাকার হাজাছড়া ঝর্না দেখে আসতে পারেন। রাস্তা থেকে ১০-১৫ মিনিট হেঁটে ভেতরের দিকে গেলেই ঝর্নার দেখা মিলবে।

IU522Ch.jpg


পরদিন সকালে শহরের শাপলা চত্বর থেকে জীপ রিজার্ভ নিয়ে চলে যাবেন রিসাং ঝর্নায়। ঝর্না থেকে ফিরতি পথে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ আলুটিলায়। সুড়ঙ্গে ঢুকার জন্যে অ্যাডভেঞ্চারের অংশ হিসেবে মশাল কিনতে পারবেন ওখান থেকেই, তবে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করাই উত্তম। মশালের আলোতে খুব ভালো দেখা যায় না।

বিকেলটা শহরের পাশে জেলা পরিষদ পার্কে পাহাড়, ঝুলন্ত ব্রীজ আর লেকে কাটিয়ে দিবেন। সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে ব্যাগ গুঁছিয়ে একটু ফ্রেশ হয়েই ডিনার। তারপর ঢাকার বাস ধরে ফিরে আসবেন।

কোথায় থাকবেন?

সাজেকে বেশ কয়েকটা রিসোর্ট আছে। আলো রিসোর্ট, সাজেক রিসোর্ট, রিসোর্ট রূনময় কিংবা সেনাবাহিনী'র দ্বারা নির্মিত ক্লাব হাউজে থাকতে পারবেন। আর্মি পরিচালিত সাজেক রিসোর্ট এবং রিসোর্ট রূনময়ের সকল তথ্য পাবেন এখানে – A Journey to the paradise of Khagrachari Sajek

কোথায় খাবেন?

উপরে উল্লেখিত রিসোর্টগুলোতে থাকলে আশেপাশের রেস্তোরাঁয় খেতে হবে। রুইলুই পাড়ায় বেশ কিছু রেস্তোরাঁ আছে। খাওয়ার প্রায় ঘন্টাখানেক আগে খাবার অর্ডার করতে হবে। অর্ডার না পেলে এরা কোনো খাবার তৈরী করে না।

এছাড়া চাইলে স্থানীয় আদিবাসীদের বাড়িতেও অল্প টাকায় থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করতে পারবেন। সাজেকের বিভিন্ন অঞ্চলে লুসাই, পাংখোয়া আর ত্রিপুরাদের বসবাস রয়েছে। যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট টং দোকানে চা-নাস্তা করার ব্যবস্থা রয়েছে।

সাজেকে বিয়ার-হুইস্কি বা এধরনের কোনো পানীয় পাওয়া যায় না। তবে আদিবাসীদের তৈরী এক ধরনের পানীয় পাওয়া যায়। ওটা খেলে প্রচন্ড মাথা ঘোরায় এবং সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। এই জিনিস থেকে দূরে থাকাই ভালো।

পরিশেষে দুটো অনুরোধ করছি, আদিবাসীদের ছবি তোলার আগে অনুমতি নিয়ে নিবেন। অনুমতি ছাড়া ছবি তুললে এরা খুব বিরক্ত হয়। আর হ্যাঁ, অবশ্যই যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা (পানির বোতল, চিপসের প্যাকেট) ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন, সাজেক আমাদের সম্পদ এবং আমাদেরকেই এই সম্পদের যত্ন করতে হবে।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top