জনাব আমি এইখানে বাংলা কিছু কামান এর গল্প নিয়ে এসেছি এই থ্রেডে আস্তে আস্তে কামন গুলার গল্প আনবো এর সবই সংগ্রহিত। মুল লেখেকের নাম আমি দিয়ে দিব।
কামানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাকার কামান তৈরির কারিগরদের দক্ষতা। মোগল আমলে ঢাকায় অনেক উন্নতমানের কামান তৈরির কারিগর ছিলেন। মজবুত ও টেকসই কামান তৈরিতে তাঁরা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তখন ঢাকায় এ শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। সুবেদার ও জমিদারেরা ফরমায়েশ দিয়ে এসব কারিগর দিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় কামান তৈরি করিয়ে নিতেন।
গুলিস্থানের কামান
মুহাম্মদ নূরে আলম :
আমাদের এ ঢাকা শহর খুব বড় নয়। তারপরও এর রয়েছে নানা ইতিহাস। রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান ও জিনিস বা পণ্য। ঢাকা যাদুঘরে গেলে চোখে পড়ে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন। এর বাইরেও অনেক স্থানে চোখে পড়ে ছোট-বড় অনেক ধরনের ঐতিহাসিক নিদর্শন। এর মধ্যে একটি হলো কামান। এ কামানকে বলা হয় ঢাকার কামান। এর রয়েছে শক্তিশালী ইতিহাস। ঢাকার কামান দেখলে সহজেই মনে হয়, যুদ্ধের মতো রক্তক্ষয়ী ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হয়েছে। এর নির্মাণশৈলী যেমন উন্নত, তেমনি এর আকার বিশাল। এটিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরাতে ভারি যন্ত্রের প্রয়োজন। আর এসব জিনিসই ঢাকাবাসীর গর্ব। ১৭ শতকের গোড়ার দিকে সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন। ঢাকায় গড়ে ওঠে প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়েও শাসকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। ঢাকার চারদিকে প্রবাহিত নদীতে তখন মগ, পর্তুগিজ ও আরাকানি জলদস্যুদের উপদ্রব ছিল। তাই ঢাকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে বেশ কিছু কামান তৈরি করা হয়। এসব কামানের মধ্যে দুটি কামান ছিল বিখ্যাত। বিশালত্বে, নির্মাণশৈলীতে ও সৌন্দর্যে এগুলো ছিল ভারত খ্যাত।
ঢাকা একটি ঐতিহাসিক শহর। ৪০০ বছরের পুরনো এই শহর। মগ, পর্তুগিজ আর আরাকান জলদস্যুদের হাত থেকে ঢাকা শহরকে রক্ষার জন্য অনেক কামান তৈরি করা হয়। এই কামানগুলো তৈরি হয় সতেরো শতকের ত্রিশের দশকে। কামানগুলোর মধ্যে আকারে বড় ছিল দুটি। এর একটির নাম 'কালে খাঁ জমজম' আর অন্যটির নাম 'বিবি মরিয়ম'। কামান দু'টির নাম কে দিয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয় এই কামানের নাম দেওয়া হয় কালে খাঁ নামে কোনো বীর বা শহীদের নামানুসারেই। আর বিবি মরিয়ম হতে পারে কালে খাঁর পরিবার বা স্ত্রীর নাম। সবচেয়ে বড় ছিল কালে খাঁ জমজম কামানটি। আর তার চেয়ে আকারে ছোট বিবি মরিয়ম। বিশাল এই কামান দুটির খ্যাতি ছিল ভারতজোড়া। শুধু আকারে নয়, এগুলোর নির্মাণশৈলীও ছিল অপূর্ব। এ জন্য কামানগুলো ছিল ঢাকাবাসীর গর্বের বস্তু। কালে খাঁ জমজম কামানটি ছিল সবচেয়ে বড় আর বিবি মরিয়ম আকারে তার চেয়ে ছোট। সম্রাট আওরঙ্গজেব ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ কামানের যে তালিকা তৈরি করান তার মধ্যে কালে খাঁ জমজমও ছিল। বিবি মরিয়ম কামানটি সেই তুলনায় বেশ ছোট। এর দৈর্ঘ্য ১১ ফুট। ১৬৬১ সালে মীর জুমলা আসাম অভিযানের সময় ছয়টি ভারী কামান ব্যবহার করেন। বিখ্যাত ভূগোলবিদ রেনেল তাঁর স্মৃতিকথায় কালে খাঁ জমজমের বিষয়ে লিখেছেন। বিবি মরিয়মের দৈর্ঘ্য ১১ ফুট প্রায়। এর মুখের ব্যাস প্রায় ছয় ইঞ্চি। আর পাঁচ মণ বলা হয় এর গোলার ওজন। মীর জুমলাকে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবেদার করে পাঠান সম্রাট আওরঙ্গজেব। মীর জুমলা আসাম অভিযানকালে বেশ কয়েকটি ভারী কামান ব্যবহার করেন ১৯৬১ সালে। বিবি মরিয়ম ছিল এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। মীর জুমলা যুদ্ধে বিজয় লাভ করে ফিরে এসে বিবি মরিয়মকে বড় কাটরার দক্ষিণে সোয়ারি ঘাটের পাশে স্থাপন করেন। তখন থেকে এটি 'মীর জুমলার কামান' নামে পরিচিতি লাভ করে। 'কালে খাঁ জমজম' তখনো রাখা ছিল মোগলাই চরে। কিন্তু নদীভাঙনে একদিন 'কালে খাঁ জমজম' বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে যায়।
বিবি মরিয়মকে সোয়ারী ঘাট থেকে সরিয়ে নেয়া হয় পুরান ঢাকার চকবাজারে। এ কাজটি করেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালটারস ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে। তবে চকবাজার ক্রমে পরিণত হয় ঘিঞ্জি বা ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে। তাই কামানটি সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় সদরঘাটে। এ কাজটি করেন ঢাকা যাদুঘরের কিউরেটর নলিনী কান্ত ভট্টশালী ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে।
অতঃপর বিবি মরিয়মকে গুলিস্তানে স্থাপন করা হয় গত শতকের পঞ্চাশের দশকে। ওই সময়ও বেশ জমজমাট থাকতো গুলিস্তান। অনেকে রসিকতা করে গুলিস্তানকে বলতেন ঢাকার রাজধানী। ওই সময় থেকে মানুষ গুলিস্তানের কামান বলতো এটিকে। এরপর এই কামানটি স্থাপন করা হয় ঢাকার ওসমানী উদ্যোনে ১৯৮৩ সালে। এখন পর্যন্ত সেখানেই দেখতে পাওয়া যায় বিবি মরিয়মকে। এটি দেখতে সেখানে আসেন নানা স্থানের মানুষ। চকবাজার ঘনবসতি এলাকায় পরিণত হলে ১৯২৫ সালে কামানটি সদর ঘাটে রাখা হয়। পরে বিবি মরিয়মকে স্থাপন করা হয় গুলিস্তানে। গুলিস্তান তখন ঢাকার কেন্দ্রস্থল। তখন থেকে এটিকে মানুষ গুলিস্তানের কামান বলত।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মোগল শাসনামলে বাংলার সুবেদার মীর জুমলার আসাম বিজয়কালে এই কামান ঢাকায় পাঠানো হয়৷ এর ওজন ৬৪ হাজার ৮১৪ পাউন্ড এবং দৈর্র্ঘ্য ১১ ফুট৷ মীর জুমলার সময়ে এই কামানটি পুরানো ঢাকার বড় কাটরার প্রবেশমুখে প্রথমে স্থাপন করা হয়৷ পরে ১৮৩২ সালে বৃটিশ শাসনামলে তদানীনত্মন ঢাকার কালেক্টর মি: ওয়াল্টার সেখান থেকে এই কামান চকবাজারে আনেন৷ ১৯১৭ সালে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের তত্কালীন পরিচালক এটাকে চকবাজার মসজিদের সামনে থেকে সদরঘাটে এনে বুড়িগঙ্গার তীরে তা স্থাপনের ব্যবস্থা করেন৷ ওই সময়ে স্থানীয় লোকজন বিশেষতঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা এই কামানের কাছে এসে দুধ, ফুল ও সিন্দুর দিয়ে পূজা করতো৷ পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫৭ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান পাকিস্তানী সামরিক প্রকৌশলীদের সহায়তায় কামানটিকে গুলিস্তানে ডিআইটি এভিনিউ ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সড়ক সংযোগস্থলে স্থাপন করেন৷ আশির দশকে ওই স্থানটি জনাকীর্ণ হওয়ায় এবং যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় কামানটিকে সেখান থেকে সরিয়ে ওসমানী উদ্যানে স্থাপন করা হয়৷ আর তখন থেকেই ঐতিহাসিক এই নিদর্শনটি কার্যতঃ লোকচৰুর আড়ালে চলে গেছে৷
কামানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাকার কামান তৈরির কারিগরদের দক্ষতা। মোগল আমলে ঢাকায় অনেক উন্নতমানের কামান তৈরির কারিগর ছিলেন। মজবুত ও টেকসই কামান তৈরিতে তাঁরা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তখন ঢাকায় এ শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। সুবেদার ও জমিদারেরা ফরমায়েশ দিয়ে এসব কারিগর দিয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় কামান তৈরি করিয়ে নিতেন।
গুলিস্থানের কামান
মুহাম্মদ নূরে আলম :
আমাদের এ ঢাকা শহর খুব বড় নয়। তারপরও এর রয়েছে নানা ইতিহাস। রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান ও জিনিস বা পণ্য। ঢাকা যাদুঘরে গেলে চোখে পড়ে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন। এর বাইরেও অনেক স্থানে চোখে পড়ে ছোট-বড় অনেক ধরনের ঐতিহাসিক নিদর্শন। এর মধ্যে একটি হলো কামান। এ কামানকে বলা হয় ঢাকার কামান। এর রয়েছে শক্তিশালী ইতিহাস। ঢাকার কামান দেখলে সহজেই মনে হয়, যুদ্ধের মতো রক্তক্ষয়ী ক্ষেত্রে তা ব্যবহৃত হয়েছে। এর নির্মাণশৈলী যেমন উন্নত, তেমনি এর আকার বিশাল। এটিকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরাতে ভারি যন্ত্রের প্রয়োজন। আর এসব জিনিসই ঢাকাবাসীর গর্ব। ১৭ শতকের গোড়ার দিকে সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন। ঢাকায় গড়ে ওঠে প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়েও শাসকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। ঢাকার চারদিকে প্রবাহিত নদীতে তখন মগ, পর্তুগিজ ও আরাকানি জলদস্যুদের উপদ্রব ছিল। তাই ঢাকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে বেশ কিছু কামান তৈরি করা হয়। এসব কামানের মধ্যে দুটি কামান ছিল বিখ্যাত। বিশালত্বে, নির্মাণশৈলীতে ও সৌন্দর্যে এগুলো ছিল ভারত খ্যাত।
ঢাকা একটি ঐতিহাসিক শহর। ৪০০ বছরের পুরনো এই শহর। মগ, পর্তুগিজ আর আরাকান জলদস্যুদের হাত থেকে ঢাকা শহরকে রক্ষার জন্য অনেক কামান তৈরি করা হয়। এই কামানগুলো তৈরি হয় সতেরো শতকের ত্রিশের দশকে। কামানগুলোর মধ্যে আকারে বড় ছিল দুটি। এর একটির নাম 'কালে খাঁ জমজম' আর অন্যটির নাম 'বিবি মরিয়ম'। কামান দু'টির নাম কে দিয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয় এই কামানের নাম দেওয়া হয় কালে খাঁ নামে কোনো বীর বা শহীদের নামানুসারেই। আর বিবি মরিয়ম হতে পারে কালে খাঁর পরিবার বা স্ত্রীর নাম। সবচেয়ে বড় ছিল কালে খাঁ জমজম কামানটি। আর তার চেয়ে আকারে ছোট বিবি মরিয়ম। বিশাল এই কামান দুটির খ্যাতি ছিল ভারতজোড়া। শুধু আকারে নয়, এগুলোর নির্মাণশৈলীও ছিল অপূর্ব। এ জন্য কামানগুলো ছিল ঢাকাবাসীর গর্বের বস্তু। কালে খাঁ জমজম কামানটি ছিল সবচেয়ে বড় আর বিবি মরিয়ম আকারে তার চেয়ে ছোট। সম্রাট আওরঙ্গজেব ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ কামানের যে তালিকা তৈরি করান তার মধ্যে কালে খাঁ জমজমও ছিল। বিবি মরিয়ম কামানটি সেই তুলনায় বেশ ছোট। এর দৈর্ঘ্য ১১ ফুট। ১৬৬১ সালে মীর জুমলা আসাম অভিযানের সময় ছয়টি ভারী কামান ব্যবহার করেন। বিখ্যাত ভূগোলবিদ রেনেল তাঁর স্মৃতিকথায় কালে খাঁ জমজমের বিষয়ে লিখেছেন। বিবি মরিয়মের দৈর্ঘ্য ১১ ফুট প্রায়। এর মুখের ব্যাস প্রায় ছয় ইঞ্চি। আর পাঁচ মণ বলা হয় এর গোলার ওজন। মীর জুমলাকে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবেদার করে পাঠান সম্রাট আওরঙ্গজেব। মীর জুমলা আসাম অভিযানকালে বেশ কয়েকটি ভারী কামান ব্যবহার করেন ১৯৬১ সালে। বিবি মরিয়ম ছিল এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়। মীর জুমলা যুদ্ধে বিজয় লাভ করে ফিরে এসে বিবি মরিয়মকে বড় কাটরার দক্ষিণে সোয়ারি ঘাটের পাশে স্থাপন করেন। তখন থেকে এটি 'মীর জুমলার কামান' নামে পরিচিতি লাভ করে। 'কালে খাঁ জমজম' তখনো রাখা ছিল মোগলাই চরে। কিন্তু নদীভাঙনে একদিন 'কালে খাঁ জমজম' বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে যায়।
বিবি মরিয়মকে সোয়ারী ঘাট থেকে সরিয়ে নেয়া হয় পুরান ঢাকার চকবাজারে। এ কাজটি করেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালটারস ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে। তবে চকবাজার ক্রমে পরিণত হয় ঘিঞ্জি বা ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে। তাই কামানটি সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় সদরঘাটে। এ কাজটি করেন ঢাকা যাদুঘরের কিউরেটর নলিনী কান্ত ভট্টশালী ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে।
অতঃপর বিবি মরিয়মকে গুলিস্তানে স্থাপন করা হয় গত শতকের পঞ্চাশের দশকে। ওই সময়ও বেশ জমজমাট থাকতো গুলিস্তান। অনেকে রসিকতা করে গুলিস্তানকে বলতেন ঢাকার রাজধানী। ওই সময় থেকে মানুষ গুলিস্তানের কামান বলতো এটিকে। এরপর এই কামানটি স্থাপন করা হয় ঢাকার ওসমানী উদ্যোনে ১৯৮৩ সালে। এখন পর্যন্ত সেখানেই দেখতে পাওয়া যায় বিবি মরিয়মকে। এটি দেখতে সেখানে আসেন নানা স্থানের মানুষ। চকবাজার ঘনবসতি এলাকায় পরিণত হলে ১৯২৫ সালে কামানটি সদর ঘাটে রাখা হয়। পরে বিবি মরিয়মকে স্থাপন করা হয় গুলিস্তানে। গুলিস্তান তখন ঢাকার কেন্দ্রস্থল। তখন থেকে এটিকে মানুষ গুলিস্তানের কামান বলত।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মোগল শাসনামলে বাংলার সুবেদার মীর জুমলার আসাম বিজয়কালে এই কামান ঢাকায় পাঠানো হয়৷ এর ওজন ৬৪ হাজার ৮১৪ পাউন্ড এবং দৈর্র্ঘ্য ১১ ফুট৷ মীর জুমলার সময়ে এই কামানটি পুরানো ঢাকার বড় কাটরার প্রবেশমুখে প্রথমে স্থাপন করা হয়৷ পরে ১৮৩২ সালে বৃটিশ শাসনামলে তদানীনত্মন ঢাকার কালেক্টর মি: ওয়াল্টার সেখান থেকে এই কামান চকবাজারে আনেন৷ ১৯১৭ সালে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের তত্কালীন পরিচালক এটাকে চকবাজার মসজিদের সামনে থেকে সদরঘাটে এনে বুড়িগঙ্গার তীরে তা স্থাপনের ব্যবস্থা করেন৷ ওই সময়ে স্থানীয় লোকজন বিশেষতঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা এই কামানের কাছে এসে দুধ, ফুল ও সিন্দুর দিয়ে পূজা করতো৷ পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫৭ সালে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান পাকিস্তানী সামরিক প্রকৌশলীদের সহায়তায় কামানটিকে গুলিস্তানে ডিআইটি এভিনিউ ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউ সড়ক সংযোগস্থলে স্থাপন করেন৷ আশির দশকে ওই স্থানটি জনাকীর্ণ হওয়ায় এবং যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় কামানটিকে সেখান থেকে সরিয়ে ওসমানী উদ্যানে স্থাপন করা হয়৷ আর তখন থেকেই ঐতিহাসিক এই নিদর্শনটি কার্যতঃ লোকচৰুর আড়ালে চলে গেছে৷