What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মানুষের শাসন চলে না যে ৮টি রহস্যময় দ্বীপ অঞ্চলে ! (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
kqhPNCQ.jpg


আইল্যান্ড বা দ্বীপগুলোকে পৃথিবীর আর সবকিছু থেকে একটু ভিন্ন চোখেই দেখা হয় সাধারণত। ছোটবেলায় রহস্যময় দ্বীপ নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস সব গল্পগুলো পড়তে পড়তে সবার মাঝেই কমবেশ অন্যরকম ভালোবাসার জন্ম নিয়েছে। জীবনে একবার হলেও কোনো নির্জন সুন্দর দ্বীপে গিয়ে রাত কাটিয়ে আসা চাই। কিন্তু সব দ্বীপই যে সুন্দর হবে এমন কোনো কথা নেই। কিছু দ্বীপ আছে, ভয়ংকর সুন্দর !

পৃথিবীতে এমন কিছু দ্বীপ আছে, যেগুলোতে যাওয়া মানেই মৃত্যুকে আমন্ত্রণ জানানো। তবে এর মধ্যে কিছু দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোতে মানুষ যেতে পারবে ঠিকই, তবে বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। যার কারণ সেখানে রাজত্ব করা প্রাণীগুলো ! চলুন জেনে নেয়া যাক এরকমই রহস্যময় ৮ দ্বীপের কথা, যেখানে মানুষের কোনো শাসন চলে না…

জনশূন্য ৮ রহস্যময় দ্বীপ

১. খরগোশদের দ্বীপ (Rabbit Island) : জাপানে এমন একটি আইল্যান্ড রয়েছে, যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত আইল্যান্ড। লাখ লাখ খরগোশ রাজত্ব করে এই আইল্যান্ডে। পূর্ব সাগরের পাশে অবস্থিত এ দ্বীপে বছরে অনেক পর্যটক বেড়াতে যায়। এবং এসব খরগোশদের সাথে আনন্দ করে। সেখানে রাস্তায়, জঙ্গলে, পথে থাকা খরগোশ দৌড়ে চলে আসে এবং তাদের ঘিরে ধরে।

hlxjTsM.jpg


প্রচলিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান এই দ্বীপে ৬ হাজার টনেরও বেশি বিষাক্ত গ্যাস তৈরী করেছিল,,পরবর্তীকালে এ বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাব যাচাই করার জন্য সেখানে অনেক পরিমানে খরগোশ ছাড়া হয়,,এবং তখন থেকেই সেখানে তাদের রাজত্ব চলে আসছে…

২. বিড়াল দ্বীপ (Cat Island) : এই আইল্যান্ডটি জাপানের মিয়াগি শহরে অবস্থিত যার আসল নাম তাশ হিরোসীমা আইল্যান্ড। এখানে বিড়ালের সংখ্যা মানুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। তাই একে বিড়াল দ্বীপ বলা হয়। এখানে এই বিড়ালদের জাপানে মধ্যযুগে আনা হয় এবং তখন থেকে এখানে মানুষের বসতি কমতে থাকায় বিড়ালরাই এ জায়গাকে রাজত্বে নিয়ে নিয়েছে !

৩. কাঁকড়া দ্বীপ (Crab Island) : ভারত মহাসাগরে অবস্থিত রহস্যময় দ্বীপ ক্রিস্টমাস আইল্যান্ড। এই দ্বীপের সকল জায়গায় আপনার নজরে পড়বে হাজার হাজার লাল রঙ এর কা‍ঁকড়া। আর লাল রঙ এর কাঁকড়ার জন্যই এখানকার রাস্তা ঘাট সর্বদা লাল হয়ে থাকে। এই দ্বীপের রেস্তোরা, রাস্তা, হোটেল সব জায়গায়ই আপনি এই লাল কাঁকড়াদের দেখতে পাবেন। সারাবছরই এখানে অনেক পরিমানে কাঁকড়া দেখা যায়।

26o2u51.jpg


তবে অনুমান করা যায় যে শীতের একটি বিশেষ সময় এই দ্বীপে ১২ কোটির ও বেশি কাঁকড়া দেখা যায়। আসলে এসময় কাঁকড়াগুলো প্রজনন কার্য করার জন্য দ্বীপের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে ভারত মহাসাগরের দিকে যাতায়াত করে। আর সময়ই এই দ্বীপের বেশিরভাগ রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়…

৪. সাপের দ্বীপ (Snake Island) : সত্যিই কি এমন রহস্যময় দ্বীপ থাকা সম্ভব? যেখানে কেবল বিষধর সাপদের বাসস্থান ! হ্যা‍ঁ এরকমই একটি দ্বীপ আছে ব্রাজিলে, যাকে ক্লে আইল্যান্ড বলা হয়। এখানে সাপের সংখ্যা এত বেশি যে, প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫টিরও বেশি সাপ দেখা যায়। এ দ্বীপে গোল্ডেন লেন্সহ্যাড নামের এক প্রজাতির সাপ দেখা যায়। আর এ সাপটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপদের মধ্যে একটি। এই সাপ কামড়ালে মানুষ ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই মারা যায়। ব্রাজিলে যে পরিমান মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায় তার মধ্যে ৯০ শতাংশই মারা যায় এ সাপের কামড়ে ! বর্তমানে ব্রাজিল নেভি এ দ্বীপে পর্যটন বাতিল করে দেন।

৫. কুমিরের দ্বীপ (Crocodile Island) : বার্মার নিকটে অবস্থিত এ আইল্যান্ডের আসল নাম হচ্ছে রামলি আইল্যান্ড। এখানকার কুমিররা এত বেশি মানুষের ক্ষতিসাধন করেছে যে এর জন্য এ দ্বীপটি গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। এ দ্বীপে নোনাজলের অনেক ঝিল রয়েছে। আর এসব ঝিলেই তাদের বসবাস। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১০০০ জাপানি সৈন্য এখানে আসেন বসবাসের জন্য। কিন্তু তাদের বেশিরভাগ সৈন্যই মারা যায় এই ভয়ংকর কুমিরদের আক্রমণে। এবং বলা হয় তাদের মধ্যে কেবল ২০ জনই ওই রহস্যময় দ্বীপ থেকে ফিরে এসেছে।

৬. কমোডো আইল্যান্ড : ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্গত এই কমোডো আইল্যান্ড। এটি এইটি সমুদ্রে অবস্থিত। এই দ্বীপে বাস করছে কমোডো ড্রাগন নামের হাজার হাজার বিশালাকার গিরগিটি। তাদেরই রাজত্ব চলে এখানে।

wKZf2ym.jpg


১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি বিমান হামলার কবলে পড়ে এ দ্বীপের নিকটে এসে ভেঙে পড়ে। বিমানের পাইলট সাঁতরে এ দ্বীপে পৌছান। তিনি খেয়াল করেন এ দ্বীপে হাজার হাজার বিশাল আকারের কমোডো ড্রাগন !

৭. বন্য ঘোড়ার দ্বীপ (Sable Island) : দ্বীপটার নাম সেবল দ্বীপ, যা নোভা ইস্কোটিয়া থেকে ১০০ মাইল দূরে অবস্থিত এই রহস্যময় দ্বীপ লাখ লাখ বন্য ঘোড়া বা জংলি ঘোড়াদের আবাস্থল বলে জানা যায়। ২০১৩ সালের ২০ই জুনে কানাডা সরকার এ দ্বীপটাকে ন্যাশনাল পার্ক বলে ঘোষণা দেয়। তারপর থেকে সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দিক থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন।

৮. ঝিনুক দ্বীপ (Shell Island) : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালের একটি দ্বীপকে ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা ঝিনুকের দ্বীপ বলে ডাকে। প্রতিদিন প্রতিবেলা প্রতিটা মুহুর্তেই এ দ্বীপে এসে জড়ো হয় কোটি কোটি ঝিনুক। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, আপনি এ দ্বীপের যেদিকেই তাকান সেদিকেই শুধু ঝিনুক আর ঝিনুক দেখতে পাবেন। এখানকার রাস্তা ঝিনুক দিয়ে তৈরিকৃত। দোকানপাট সাজাতেও ঝিনুক ব্যবহার করা হয়। এমনকি মানুষ মারা গেলে কবরেও ঝিনুক দিয়ে দেওয়া হয়। মাটিচাপা দেয়ার আগে মৃতদেহের উপর ঝিনুকের একটি স্তুপ ফেলে দিয়ে তারা চারপাশ থেকে কিছু জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। সুযোগ পেলে এই দ্বীপে অবশ্যই ঘুরে আসা উচিত। চোখের সামনে এত হাজার হাজার ঝিনুক, ভাবতেই বেশ ভালো লাগে।

এবার পড়ে ফেলুন বাংলাদেশের বুকে টিকে থাকা এমনই এক রহস্যময়ী সেন্টিনেল দ্বীপের কথা !
 

Users who are viewing this thread

Back
Top