ভদ্রতা বুঝেন তো?
আমি একবার ভদ্রতা বিরম্বনাতে পড়েছিলাম।
শুনবেন নাকি গল্প টা?
তাহলে বলি...
আমার বড় আপুর মেয়ের নাম মায়া। আর ছেলের নাম আনন। গল্পটা যে সময়ের তখন তাদের বয়স ছিলো আট বছর আর চার বছর । তো খেয়াল করলাম মায়া আর আনন কে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে নাস্তাতে যে বিস্কিট গুলো দেয়া হয় ওরা সব গুলো খেয়ে ফেলে। চিন্তা করে দেখলাম ব্যপারটা যেন কেমন দেখায়।
ওরা আবার খুব বাধ্য গত বাচ্চা। মানে আমরা যেভাবে বলবো ওরা ঠিক তেমন ভাবেই চলবে।
একদিন আন্টিদের বাসায় ওদের নিয়ে বেড়াতে গেলাম। বাসা থেকে বের হবার পর ওদের কে ভদ্রতা বিষয়ে নীতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিলাম।
যেমন...
--বড় কেউ আসলে দাড়িয়ে সালাম দিবে।
--কম কথা বলবে,কিছু প্রশ্ন করলে অল্প কথায় উত্তর দিবে।
--শব্দ করে হাসবে না।দৌড়াদৌড়ি টাইপের কিছু করা একদম নিষেধ।
--যখন নাস্তা খাবে, বিস্কিট বা এ জাতীয় কিছু থাকলে একদম সব টুকু খাবে না। শেষে দু এটুকরো রেখে দেবে।
আনন খুব মনোযোগ দিয়ে শোনছিলো।এ কথা শোনার পর সে জিজ্ঞেস করলো... একটুকরো কেন রাখবো আন্টিমনি?
আমি বললাম..কারণ এটা ভদ্রতা।
ওকে এবার বুঝতে পেরেছো তো?
দুজন মাথা নেড়ে হা সূচক সম্মতি জানালো।
আন্টিদের বাসায় যাবার পর দেখলাম আমার শেখানো ভদ্রতায় তাদের পারফরম্যান্স পুরো ১০০তে ১০০।
আমি তো ব্যাপক খুশি মনে মনে। কারণ এর ই মাঝে দু তিনজন আমার লক্ষ্মী মতি বাচ্চা দুটোর তারিফ ও করে ফেলেছে।
নাস্তা খাওয়ার সব শেষে চা আর বিস্কিট পরিবেশন করা হলো। যথারীতি আনন আর মায়া চা খেতে মানা করে দিলো। ওরা ছোটবেলা থেকেই চা খায় না। তাই ওদের শুধু বিস্কুট দেয়া হলো।তাও আবার তাদের প্রিয় চকলেট বিস্কুট।
বিস্কুট খেতে খেতে এক পর্যায়ে শুধু একটা বিস্কুট রইলো। যদিও আননের ওইটা খাবার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু ভদ্রতার কথা ভেবে বেচারা আর খায় নি।
তবে বার বার করুণ চোখে তাকাচ্ছিলো বিস্কুট টার দিকে।আন্টিদের বাসার সবার সাথে বসে গল্প করছিলাম তখন।এক সময় গল্প শোনতে শোনতে মায়া ভদ্রতার কথা ভুলে গিয়ে বেখায়ালে অবশিষ্ট বিস্কুট খানা খাবার জন্য হাতে নিলো।
আর তখন ই আমাদের পারফেক্ট বয় আনন উত্তেজিত হয়ে সবার সামনেই স্বজোরে চিৎকার করে বলে উঠলো....."এই আপু ঐটা খাস না, ঐটা ভদ্রতা।
পুরো ঘর স্তব্ধ হয়ে গেছে।আর আমি যেন একটু বেশিই স্তব্ধ হয়ে গেছি।চোখে কেমন অন্ধকার নেমে এসেছে।
মায়া তখন দ্রূত ভদ্রতা টা (বিস্কুটের শেষ টুকরো)প্লেটে রেখে দিলো।
তখন আন্টি বললেন.. না খেয়ে নাও, এটা ভদ্রতা না।
তখন মায়া আনন দুজন একসাথে বলে উঠলো..জ্বি না নানু..আন্টি মনি বলেছে শেষের এক টুকরো ভদ্রতা। তাই এটা খেতে নেই।
#একটুকরো_ভদ্রতা
#জেবুন_রুমি
আমি একবার ভদ্রতা বিরম্বনাতে পড়েছিলাম।
শুনবেন নাকি গল্প টা?
তাহলে বলি...
আমার বড় আপুর মেয়ের নাম মায়া। আর ছেলের নাম আনন। গল্পটা যে সময়ের তখন তাদের বয়স ছিলো আট বছর আর চার বছর । তো খেয়াল করলাম মায়া আর আনন কে নিয়ে কোথাও বেড়াতে গেলে নাস্তাতে যে বিস্কিট গুলো দেয়া হয় ওরা সব গুলো খেয়ে ফেলে। চিন্তা করে দেখলাম ব্যপারটা যেন কেমন দেখায়।
ওরা আবার খুব বাধ্য গত বাচ্চা। মানে আমরা যেভাবে বলবো ওরা ঠিক তেমন ভাবেই চলবে।
একদিন আন্টিদের বাসায় ওদের নিয়ে বেড়াতে গেলাম। বাসা থেকে বের হবার পর ওদের কে ভদ্রতা বিষয়ে নীতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিলাম।
যেমন...
--বড় কেউ আসলে দাড়িয়ে সালাম দিবে।
--কম কথা বলবে,কিছু প্রশ্ন করলে অল্প কথায় উত্তর দিবে।
--শব্দ করে হাসবে না।দৌড়াদৌড়ি টাইপের কিছু করা একদম নিষেধ।
--যখন নাস্তা খাবে, বিস্কিট বা এ জাতীয় কিছু থাকলে একদম সব টুকু খাবে না। শেষে দু এটুকরো রেখে দেবে।
আনন খুব মনোযোগ দিয়ে শোনছিলো।এ কথা শোনার পর সে জিজ্ঞেস করলো... একটুকরো কেন রাখবো আন্টিমনি?
আমি বললাম..কারণ এটা ভদ্রতা।
ওকে এবার বুঝতে পেরেছো তো?
দুজন মাথা নেড়ে হা সূচক সম্মতি জানালো।
আন্টিদের বাসায় যাবার পর দেখলাম আমার শেখানো ভদ্রতায় তাদের পারফরম্যান্স পুরো ১০০তে ১০০।
আমি তো ব্যাপক খুশি মনে মনে। কারণ এর ই মাঝে দু তিনজন আমার লক্ষ্মী মতি বাচ্চা দুটোর তারিফ ও করে ফেলেছে।
নাস্তা খাওয়ার সব শেষে চা আর বিস্কিট পরিবেশন করা হলো। যথারীতি আনন আর মায়া চা খেতে মানা করে দিলো। ওরা ছোটবেলা থেকেই চা খায় না। তাই ওদের শুধু বিস্কুট দেয়া হলো।তাও আবার তাদের প্রিয় চকলেট বিস্কুট।
বিস্কুট খেতে খেতে এক পর্যায়ে শুধু একটা বিস্কুট রইলো। যদিও আননের ওইটা খাবার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু ভদ্রতার কথা ভেবে বেচারা আর খায় নি।
তবে বার বার করুণ চোখে তাকাচ্ছিলো বিস্কুট টার দিকে।আন্টিদের বাসার সবার সাথে বসে গল্প করছিলাম তখন।এক সময় গল্প শোনতে শোনতে মায়া ভদ্রতার কথা ভুলে গিয়ে বেখায়ালে অবশিষ্ট বিস্কুট খানা খাবার জন্য হাতে নিলো।
আর তখন ই আমাদের পারফেক্ট বয় আনন উত্তেজিত হয়ে সবার সামনেই স্বজোরে চিৎকার করে বলে উঠলো....."এই আপু ঐটা খাস না, ঐটা ভদ্রতা।
পুরো ঘর স্তব্ধ হয়ে গেছে।আর আমি যেন একটু বেশিই স্তব্ধ হয়ে গেছি।চোখে কেমন অন্ধকার নেমে এসেছে।
মায়া তখন দ্রূত ভদ্রতা টা (বিস্কুটের শেষ টুকরো)প্লেটে রেখে দিলো।
তখন আন্টি বললেন.. না খেয়ে নাও, এটা ভদ্রতা না।
তখন মায়া আনন দুজন একসাথে বলে উঠলো..জ্বি না নানু..আন্টি মনি বলেছে শেষের এক টুকরো ভদ্রতা। তাই এটা খেতে নেই।
#একটুকরো_ভদ্রতা
#জেবুন_রুমি