What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বিয়ের আগেই যৌন মিলন করলে নারীরা যেসব সমস্যায় ভোগেন (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
xtUz84y.jpg


বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন। পৃথিবীর সব ধর্মেই বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসলামী শরীয়াতে অবৈধ পন্থায় যৌন সম্ভোগ সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ব্যাপারে রয়েছে কড়া নিষেধ। এমনকি এ কাজ যে করবে তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে কঠিন শাস্তি। এই বিধানের পেছনে নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। আর কারণটি হলো সামাজিক, ধর্মীয় ও মানসিক অবক্ষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:

•"তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটি অশ্লীল কাজ ও অসৎ পন্থা।" (সূরা বনী ইসরাঈল: ৩২)

তিনি অন্য স্থানে বলেন:

• "কোন রকম অশ্লীলতার কাছেও যেও না তা প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে হোক।" (সূরা আল-আনআম: ১৫১)

আমাদের সমাজে এমন অনেক পুরুষ রয়েছেন যারা শুধুমাত্র নারীদেহ ভোগ করার উদ্দেশ্যেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং কাজ হাসিল হয়ে গেলে সম্পর্কের দায়ভার নিতে চান না। নারীরাও যে এমন করে না তা নয়, তবে তুলনামূলকভাবে এমন নারীর সংখ্যা কম। আশংকার ব্যাপার হচ্ছে আজকাল অনেক উঠতি বয়সী মেয়েই এই ধরণের শারীরিক সম্পর্ককে আধুনিকতা মনে করে থাকে। অথচ বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ফলে যে সমস্যা দেখা দেয়, তা পোহাতে হয় নারীদেরকেই! তাই দুনিয়ার কষ্ট এবং পরকালের শাস্তি ভোগ এবং অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণঃ

আল্লাহর দেয়া বিধান ছাড়াও বিয়ের আগে( before marriage) শারীরিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটি হতে পারে তা হলো অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ। নিরোধক ব্যবহারের পূর্ব পরিকল্পনা না থাকা, আবেগের বশে হঠাত্‍ করেই যৌন সম্পর্ক করা ইত্যাদি এর অন্যতমত কারণ। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন ধারণ করে সাধারণত মেয়েরাই। কোনো মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, কিন্তু ছেলেদের যায় না। একইভাবে গর্ভধারণের যাবতীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় শুধু মেয়েদেরই। এর ফলে পরিবার, সমাজ এবং নিজের কাছে অপরাধী হতে হয় নারীদের।

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতঃ

বিয়ের আগে( before marriage) শারীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভ ধারন করে ফেললে তখন গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। গর্ভপাত একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে যেমন শারীরিক ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী কুফলও রয়েছে। যেমন পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা গর্ভধারণ করতে না পারা ইত্যাদি। প্রথম সন্তান জন্মদানের আগে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান ধারনে সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভপাতের মানসিক ক্ষতিও কম নয়। সন্তান হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকে বিকারগ্রস্ত পর্যন্ত হয়ে পড়ে।

জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকিঃ

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কারণে অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকে। অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল গ্রহণ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করলেও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণে (Pregnancy) ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে অনীহা, সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অপ্রাপ্ত বয়সে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ঝুঁকিঃ

বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে শারীরিক বিষয়াবলির প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। ফলে প্রেমের সম্পর্কে কোনো কিছু না ভেবেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায় বেশি। কিন্তু অপরিণত বয়সে শারীরিক সম্পর্কের পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। এর ফলে হতে পারে যৌন সংক্রমণ, ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সব রোগ। বিশেষ করে কমবয়সী মেয়েরা থাকে হুমকির মুখে। জরায়ুমুখ সংক্রমণ ও জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ।

মানসিক ভীতিঃ

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক মানে প্রথমবারের মতো যৌন সম্পর্ক স্থাপন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই কাজটি প্রেমিক যুগলেরা করে থাকে লুকিয়ে, যা পরবর্তীতে একজন নারীর জন্য মানসিক ভীতি বা বিকারের কারণ হয়ে দাড়ায়। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমিকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিকাকে চাপ প্রয়োগ করে মিলিত হয়ে থাকে। পরে সম্পর্কটি ভেঙে গেলে এসব অনেক মেয়ের ওপর এমন মানসিক চাপ ফেলে, যা ক্রমশ বিকারে রূপ নেয়। যেমন শারীরিক সম্পর্কে অনীহা বা ভীতি, বিবাহভীতি, পুরুষদের প্রতি ঘৃণা বা ভয় ইত্যাদি। এর ফলে যেমন প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, তেমনি ভাঙন আসতে পারে বিয়ের সম্পর্কেও।

বিয়ের পর দাম্পত্যে সমস্যাঃ

বিয়ের আগে (before marriage) প্রেমিকের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে দাম্পত্য জীবনে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। নারীরা হয় স্বামীর অবিশ্বাসের পাত্র। এমনকি প্রেমিকের সাথে বিয়ে হলেও তিনি করতে পারেন নানা রকমের দোষারোপ, করতে পারেন চরিত্র নিয়ে সন্দেহ। ঝগড়ার সময় হয়তো কথায় কথায় বলে বসতে পারেন যে, তার সাথে যেহেতু বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ছিল এমনি হয়তো আরো অনেকের সাথেই ছিল। মোটকথা, দাম্পত্যের প্রতিটি পদে নারীকে শুনতে হতে পারে নানা রকমের কটু কথা।

দাম্পত্যে আকর্ষণ হারানোঃ

যেহেতু সামীর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই শারীরিক সম্পর্ক থাকে, তাই অনেকেই দাম্পত্য জীবনে হারিয়ে ফেলতে পারেন আকর্ষণ। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের কাছ থেকে নতুন কিছু পাবার থাকে না বলে বিয়ের সম্পর্কে বাজতে পারে ভাঙনের সুর। অনেকে বাগদান বা আংটি বদল সম্পন্ন করে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছে ভেবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান। বাগদানের পর বিয়ে ভাঙার ঝুঁকি তো থাকেই, সাথে রয়ে যায় দাম্পত্য আকর্ষণহীন হয়ে যাবার শঙ্কাটাও।

সামাজিক লাঞ্ছনাঃ

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানা-জানি হলে নারীরা হন নানা রকম লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার। সমাজ তাকে অপরাধীর দৃষ্টিতে দেখে। তার জীবন হয়ে ওঠে বিষময়। অনাকাঙ্খিত গর্ভ ধারন (Conception) করলে এবং সেটার কথা জানাজানি হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। মেয়েটি সামাজিকভাবে হয়ে যায় একঘরে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সকলেই দূরে চলে যায়, তাকে পাপীর দৃষ্টিতে দেখে। ফলে সুষ্ঠুভাবে বাকি জীবন কাটানো অসম্ভব হয়ে যায়।

তাই মেয়েদেরকে সাবধান হতে হবে, যাতে কোন ছেলের পাল্লায় পরে নিজের জীবন কালিমায় ঢেকে না দেন।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top