What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made মা ❤💕💖💗💙💚💛💜💝💞 (1 Viewer)

Fahima

Senior Member
Joined
Apr 8, 2019
Threads
137
Messages
539
Credits
32,076
আতিয়া বেগমের আজকাল হঠাৎ হঠাৎ ই শরীরটা খারাপ হচ্ছে। এই তো দু'দিন আগে ফজরের নামাজ পড়তে উঠেই মাথাটা বনবন করে ঘুরে উঠলো, মনে হলো বাথরুমে বুঝি পড়েই যাবে সে। আজ সকালে ঘটে গেলো আরও এক কেলেংকারী ।নাস্তার টেবিলে স্বামী ছেলে মেয়েকে খাবার দিয়ে চায়ের পানি চুলোয় বসাতে যাচ্ছে আতিয়া, এমন সময় নাড়ি ভুঁড়ি উল্টে বমি আসছে। ভয়ে লজ্জায় আতিয়া যেন অস্থির হয়ে যাচ্ছে। মনে মনেই বলছে, তবে কি এই পঞ্চান্ন বছর বয়সে....! না না তা হয় না! এমনটা হবেই বা কেন?

আতিয়া বেগমের স্বামী চাকুরী করেন রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোতে। উনি প্রথম শ্রেনীর একজন কর্মকর্তা। ভদ্রলোকের বয়স আনুমানিক ষাট বছর। কিন্তু সার্টিফিকেট অনুযায়ী উনি এখন পঞ্চান্ন ! এই বয়সেও যথেষ্ট হ্যান্ডসাম উনি। সব'চে বড় কথা এই বয়সটায় যে রোগগুলো হবার কথা, তার একটিও উনার মধ্যে নেই। ঐ মাঝে মধ্যে গ্যাস এসিডের একটু যা সমস্যা হয় আর কি!

আতিয়া বেগমের তিন মেয়ে এক ছেলে। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে দশ বারো বছর আগে। দুই জামাই এর মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন ইন্জিনিয়ার।বর্তমানে আতিয়ার নাতি নাতনীর সংখ্যা চারজন। একমাত্র ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, আর সবচে ছোট মেয়েটি ক্লাস টেনে। বেশ সুখেই জীবনের অনেকগুলো দিন মাস বছর যুগ পার করে দিলো আতিয়া।

আতিয়া যা ভেবেছিলো তাই! আতিয়া প্রেগন্যান্ট!

-রুবি হ্যালো রুবি তুই তাড়াতাড়ি একটু আসবি আমার বাসায়?
-কেন কি হয়েছে? এখন কি ভাবে যাবো রে? আমার নাতির ভীষণই জ্বর! আজ ডেঙ্গু টেষ্ট করতেই হবে রে! দোয়া করিস নাতির জন্য।
-হায় আল্লাহ! এ কথা তো জানি না! দোয়া করি আল্লাহ ওকে সুস্থ করে দিন। কিন্তু রুবিরে আমি খুব বিপদে পড়েছি। তুই যে ভাবে পারিস আয়। না না শোন আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি তুই তৈরী থাক।
আতিয়া কথা বললো ওর সবচে কাছের বান্ধবী রুবির সাথে। স্কুল কলেজে ওরা একসাথে লেখাপড়া করেছিলো, ছোট্ট বেলার বান্ধবী।এই বয়সে এসেও দুজনের ভালোবাসা বিশ্বাস বন্ধুত্ব সেই আগের মতই আছে।

সব কথা শুনে রুবি পরামর্শ দিলো এই বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না।
-আতিয়া তুই মনকে শক্ত কর।ছেলে মেয়ে জামাইরা কে কি বললো এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না, বুঝেছিস?
-ছিঃ রুবি এই বুড়ো বয়সে আমি মা হচ্ছি বিষয়টা ভাবতেও তো কেমন লাগছে। ছিঃ আমার চার চারটে নাতি নাতনী আছে। আমার মরে যাওয়া উচিত।
-কি আজে বাজে কথা বলছিস আতিয়া। কত মানুষ চেয়েও বাচ্চা পায় না। আর আল্লাহ তোকে এই পঞ্চান্ন বছরে বয়সে সন্তান দিচ্ছেন। নিশ্চয় এর পেছনে ভালো কিছুই আছে।
-আমি কি করে মুখ দেখাবো মেয়ে জামাইদের সামনে? ওরা আমাকে ঘেন্না করবে। ঘেন্না!

রাতে আতিয়া স্বামীর কাছে সব কথা খুলে বলে। আতিয়ার স্বামীও বেশ লজ্জা পেয়ে যায়। কিভাবে এই ভুল হলো বুঝতেই পারছে না মানুষটি।দুনিয়ার সব মানুষ যখন গভীর ঘুমে তখন এই দুটি মানুষ রাজ্যের অস্বস্তি নিয়ে জেগে আছে। দুজনের কারো চোখেই ঘুম নেই।
-নিলুর বাবা কথা বলো। তোমার মেয়েরা শুনলে কি বলবে আমি তো ভয়েই মরে যাচ্ছি। বলো কিছু।
-কি বলবো বল নিলুর মা? একই অবস্থা আমারও। ছিঃ ছিঃ মেয়ে জামাই অফিস! আমি মুখ দেখাবো কেমন করে নিলুর মা?

আজ আতিয়া আর রুবি মিলে এসেছে গাইনি ডাক্তারের কাছে।ডাক্তার সব কিছু শুনে পরামর্শ দিলেন,
-আপনি বেশি চিন্তা করবেন না। তাতে পেটের বাচ্চাটিরও ক্ষতি হবে। আপনারও হবে। আর দেখুন বয়সটা যেহেতু আপনার বেশি তাই আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে।ডাক্তারের পরামর্শ মত চলবেন আশা করি।

রাতে আতিয়া আর ওর স্বামীর চোখে ঘুম নেই। আতিয়া কেঁদে কেঁদে স্বামীকে বলছে,
-ক'দিন পরেই তো পেটটা বড় হবে, আমি মুখ দেখাবো কি করে? ছেলেটা ভার্সিটিতে পড়ে। আল্লাহ এ কোন পরীক্ষায় ফেললেন আমাদেরকে!
এবার বেশ শক্ত ভাবেই আতিয়ার স্বামী বললো,
-কে কি ভাবলো বা ভাববে তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আল্লাহর ইচ্ছা হয়েছে এই বয়সে আমাদেরকে আর একটি সন্তান দিবেন তাই দিয়েছেন। ব্যস! তোমার বড় দুই মেয়েকে জানাও। কেউ যদি খারাপ কিছু বলে তবে ওরা আমাদেরকে ভুলে যাক। থাকুক নিজেদের মত। তোমার ছেলে যদি লজ্জা পায়, তবে সেও তার পথ দেখুক।

পরদিন সকালে রাজ্যের লজ্জা ভয় নিয়ে আতিয়া ফোন করে বড় মেয়েকে।
-হ্যালো নিলু কেমন আছিস মা?
-ভালো আছি। তোমরা কেমন আছো? সব খবর ভালো তো?

আতিয়ার বড় মেয়ে নিলু কথা বলতে শুরু করলে থামতেই চায় না। ছোট থেকেই ভীষণ মিশুক নিলু।

-হ্যাঁ রে মা সব খবর ভালো। তবে...!
-কি মা?
-নিলুরে খুব লজ্জার মধ্যে পড়ে গেলাম রে মা। আমাকে তোরা ক্ষমা করে দিস।দেখ এসব কিছুতো আমাদের হাতে নেই। সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
-কি কি হয়েছে মা? কিসের ক্ষমা, কেন?
-নিলু তোদের আর একটা ভাই বোন হতে যাচ্ছে।
-কি.....ছিঃ....!

নিলু রেগে গিয়ে ফোন কেটে দেয়।

কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আতিয়া।

নিদারুন কষ্টে কান্না জড়ানো কন্ঠেই মেজো মেয়েকে আতিয়া বলে,
-নিপা তোর আরো একটি ভাই বোন হতে যাচ্ছে। আমার কি করার আছে রে মা, বল? সবই তো আল্লাহর ইচ্ছা। কতজন চেয়েও বাচ্চা পায় না, আর আমার...!
-চুপ করো মা। ঘেন্নায় কথা বলতেও ইচ্ছা করছে না তোমার সাথে। ছিহ... তুমি আমাদের মান সম্মান সব ডুবালে মা। সব! শ্বশুরবাড়িতে আমি মুখ দেখাবো কেমন করে?

আতিয়ার সাথে বড় দুই মেয়ে আর যোগাযোগ করে না। আসেও না ওরা বাবার বাড়ি। আতিয়ার দেখভাল ওর একমাত্র ছেলে আর ছোট মেয়ে করে। এই ছোট দুজনই মায়ের কষ্টটা বুঝেছে। যেহেতু ওরা কাছে থাকে মায়ের পুরো কষ্ট তাই এই দুই ভাই বোনই ভালো জানছে।

একের পর এক মাস গড়াতে গড়াতে আতিয়ার বাচ্চা হবার সময় ঘনিয়ে এলো। এই বয়সে নিজের বাচ্চার জন্য কাঁথা বানাতেও লজ্জা লাগে ওর। চারটে নাতি নাতনির জন্য কত কিছু করেছে আর আজ ওর এই বিপদের সময় বড় দুই মেয়েকে পাশেই পেলো না ভাবতে গিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে আতিয়া।

একটা সুন্দর ফুটফুটে ছেলে হয়েছে আতিয়ার। দেখতে হয়েছে ঠিক ওর বড় বোন নিলুর মত। অবশ্য আতিয়ার সব ছেলে মেয়েই দেখতে ভালো। আতিয়ার ইচ্ছে থাকলেও ছেলেকে ঠিক সেভাবে আদর করতে পারছে না।কেমন যেন জড়তা লজ্জাও কাজ করছে ওর মনে। তবে ভালো লাগছে ওর বড় ছেলে আর ছোট মেয়ে নতুন ভাইটিকে পেয়ে ভীষণ খুশি।

-হ্যালো বড় আপা জানো আমাদের আর একটা ভাই হয়েছে। ঠিক তোমার মত দেখতে। তুমি আসবে না আপা?
-নির্লজ্জের মত কথা বলিস না রুপম। ফোন রাখ।
কথাটা শেষ না হতেই লাইন কেটে দেয় নিলু।

মেজো বোনকেও ফোন করে রুপম। কিন্তু মেজো বোনও কথা না বলে লাইন কেটে দেয়।

আস্তে আস্তে দুই ভাইবোন আর বাবা মায়ের আদরে বেড়ে উঠছে আতিয়ার সবচে ছোট সন্তান সিয়াম। ছোট বাবুর নামটি অবশ্য রেখেছে ওর বড় ভাই রুপম।

শুধু আতিয়ার মনে একটি দুঃখ বড় দুই মেয়ে তাকে বুঝলো না।

হঠাৎ ই একদিন খবর আসে নিলু বেশ অসুস্থ। মা হয়ে একথা শোনার পর আতিয়া আর চুপ করে বসে থাকতে পারলো না। রুপম সিয়াম দুই ছেলেকে নিয়ে বড় মেয়ের বাসায় গেলো। অমন অসুস্থ শরীরেও নিলু ওর মায়ের দিকে তাকাচ্ছে না, কোন কথাও বলছে না। অবশেষে আতিয়া নিলুকে বলে,
-নিলুরে আমি তোদের মা। তোদের সবার জন্যই আমার ভালোবাসা সমান। তোর শরীর খারাপের কথা শুনে থাকতে পারলাম না বাড়িতে। তাই তোর ভাইদেরকে নিয়ে চলে এলাম।

নিলুর বর রাতে শাশুড়িকে বললো,
-নিলুর একটা টিউমার দেখা দিয়েছে ব্রেষ্টে। এটা নাকি অপারেশন করে ফেলাই ভালো। তবে ডাক্তার এটাও বলেছে ভয়ের তেমন কোন কারন নেই মা।

'মা' কথাটি শুনে আতিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

কতদিন হয়ে গেলো মেয়ে জামাইরা তাকে মা বলে ডাকে না। সবাই শুধু ঘেন্না করে।
-বাবা তোমরা আর আমার উপর রাগ করে থেকো না। আমাকে ক্ষমা করে দিও। যা হয় সব আল্লাহর ইচ্ছায় হয় বাবা। তোমরা বললে আমি আমার মেয়ের কাছে থাকবো এই কদিন। কিন্তু বাবা নিলুতো কোন কথা বলছে না আমার সাথে।

বড় মেয়ের সমস্ত সেবা যত্ন আতিয়া নিজ হাতে করে। নিলুরও আস্তে আস্তে রাগ কমে যায় মায়ের উপর। একদিন তো নিলু ওর মায়ের হাত দুটো নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আতিয়া বলে,
-এই শরীরে চিৎকার করে কাঁদিস না নিলু। সেলাইয়ের জায়গায় টান পড়বে।
-মা ও মা বলো তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছো। আমি মস্ত বড় অন্যায় করেছি। তোমার বিপদে তোমার পাশে থাকিনি, উল্টে তোমাকেই আজে বাজে কথা বলেছি। তুমি কি করে সহ্য করলে এত কষ্ট, মা?
-আমি যে মা! আমার কোন কষ্ট নেই। আমার সন্তানরা ভালো থাকলে আমিও ভালো থাকি।
-মা, বাবা কি খুব রেগে আছে আমাদের উপর?
-নারে মা! বাবা মা সন্তানের উপর রাগ করে থাকতে পারে না বেশি দিন। এই যে আমাকে দেখ। তোর অসুখের কথা শুনে ছুটে এসেছি। মায়েরা এমনই হয়। শুধু একটি কথা বলবো, তোরা তোদের ছোট ভাইটিকে একটু আদর করিস। তোদেরই তো ভাই! একদিন দেখবি এই ভাইটি কত কাজে লাগছে।

আতিয়ার মেজো মেয়েটা একটু বেশি জেদি। কিন্তু সেও এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। মা বাবার কাছে বার বার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে মেজো মেয়ে নিপাও। সিয়ামকে তো কোল ছাড়া করতেই চায় না। কত আদর করে। কত কিছু যে কিনে আনে ছোট্ট ভাইটির জন্য। এসব দেখে আনন্দে আতিয়ার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।

অনেকদিন পর আতিয়া বেগমের পুরো পরিবার যেন হারিয়ে যাওয়া সেই আনন্দ উচ্ছ্বাস ফিরে পেয়েছে। আবারও সেই আগের মত হৈ চৈ লেগে থাকে আতিয়ার বাড়িতে। আজ নিলু আসে তো কাল নিপা আসে । ধীরে ধীরে সিয়ামও বড় হতে থাকে।

****পনেরো বছর পর****

রুপমের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বেশ ক'বছর আগেই। ও বৌ নিয়ে চলে গিয়েছে কানাডা। আতিয়ার ছোট মেয়ের বিয়ে হয়েছে ডাক্তারের সাথে। আতিয়ার ছোট মেয়েও ডাক্তার। ওরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই এখন ডিগ্রী নিতে ইংল্যান্ডে আছে। আতিয়ার বাড়িতে এখন মানুষ বলতে ওরা তিনজন। আতিয়া আতিয়ার স্বামী আর ছোট ছেলে সিয়াম।

নিলুর দুই ছেলে বিয়ে করে এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। ওরা খুব কমই আসে দেশে। নিলুই মাঝে মধ্যে যায়। নিলুর বর হার্ট এ্যাটাকে মারা গিয়েছে বছর দু'য়েক আগে। নিলু বড্ড একা। তিন হাজার স্কয়ার ফিটের বাড়িতে কাজের লোকেদের নিয়ে দিন কাটে ওর।

নিপার দুই ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নিপার মেয়ে দেশেই থাকে আর ছেলেটি বৌ নিয়ে নিউজিল্যান্ডে থাকে। নিপার ছেলে দেশে আসে মাঝে মধ্যে। তবে একা আসে। বৌ বিদেশি এই নিয়ে চরম অশান্তি নিলুর পরিবারে।

আতিয়া বেগমের বয়স হয়েছে প্রায় সত্তর বছর। যথেষ্ট ভালো আছে এই বয়সেও। অসুখ বিসুখ নাই বললেই চলে। ইদানিং প্রেশার হয়েছে। ছোট ছেলে সিয়াম সারাক্ষণ মায়ের যত্ন আত্তি করে। মায়ের কখন কি লাগবে, সব দেখার দায়িত্ব যেন সিয়ামের। সিয়াম এখন ইন্টার প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করে। মায়ের চোখের মনি সিয়াম।

এদিকে জীবনের শেষ সময়ে এই ছোট্ট সিয়ামকে কাছে পেয়ে সব সময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন আতিয়ার স্বামী। ইদানিং উনার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। বয়স হয়েছে। অসুখ বিসুখেও ধরেছে। কিন্তু উনার ভরসার জায়গা সিয়াম। উপরে একজন আছেন আল্লাহ আর তারই দেয়া উপহার তার ছোট ছেলে সিয়াম।

ইদানিং মাঝে মাঝেই বলেন আতিয়ার স্বামী,
-বুঝলা আতিয়া আমি যদি মরে টরে যায়, তবে তোমাকে দেখে রাখার জন্য তোমার ছোট ছেলেই যথেষ্ট।আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আল্লাহ বুঝে শুনেই এই বুড়ো বয়সে দুটো মানুষকে দেখে শুনে রাখবার জন্যই সিয়ামকে দিয়েছেন।

হঠাৎ ই আতিয়া শুনতে পায় ল্যান্ড ফোনে সিয়াম বলছে,
-না না বড় আপা আমি আব্বু আম্মুকে রেখে আপনার কাছে যেয়ে থাকতে পারবো না এখন। আপনি তো জানেন আম্মুর প্রেশার ওঠা নামা করে। আব্বুর শরীরও খারাপই থাকে। বড় আপা আপনি বরং ক'টা দিন থেকে যান আমাদের সাথে। আপনার ভালো লাগবে। অনেকদিন হলো আসেননি বড় আপা আমাদের বাসায়। চলে আসেন দু'ভাই বোন মিলে বেড়াবো ঘুরবো। আমি কি আপনাকে আনতে যাবো বড় আপা? কি হলো কাঁদছেন কেন?
-ভাইয়া তোর কথা শুনে কাঁদছি। তুইতো আমার ভাই না, দাদা ভাই রে! বোনের জন্য এত মায়া তোর! তুই আসবি নিতে আমাকে? আমি যাবো তোর সাথে দাদা ভাই। তুই আয়।
-হ্যাঁ বড় আপা আমি আসছি। আমি ছাড়া কে আছে আপনাদের!

আতিয়া বেগম স্বামীর হাত ধরে, কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। সিয়ামের কথাগুলো বাজছে আতিয়ার কানে।


(সমাপ্ত)
 

Users who are viewing this thread

Back
Top