What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

একটি করুন বীর রস (1 Viewer)

Yuvrajj

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 8, 2018
Threads
1,573
Messages
409,391
Credits
2,061,315
School
Sandwich
Shrimp
Rose
Parrot
Camera
এক সাধু বাবা। তার অনেক শিষ্য। কারণ সাধু বাবার অনেক ক্ষমতা। তিনি যাই ইচ্ছা করেন, তাই হয়ে যায়। তাই সাধু বাবাকে খুশী করে তার কাছ থেকে বর পাওয়ার ইচ্ছা সব শিষ্যের মনে। জান-প্রাণ দিয়ে সবাই সেবা করে চলে সাধু বাবার।

এভাবে সপ্তাহ যায়, মাস যায়, বছর পার হয়। প্রায় সাত বছর পরে সাধু বাবা এক দিন সন্ধ্যায় সব শিষ্যকে কাছে ডাকলেন।

শোন, ছেলেরা। ওপাড় থেকে আমার ডাক এসে গেছে। কাল আমি এই ধরাধাম ছেড়ে পরলোকে চলে যাবো।

শুনেই শিষ্যদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে গেল। তার জন্য শিষ্যদের কান্নার আন্তরিকতা সাধু বাবা ঠিকই টের পেলেন। এতদিনের সেবায় যতটা না খুশী হয়েছেন তিনি, আজকে ওদের কান্নায় আরও বেশী খুশী হলেন সাধু বাবা। তবে সবার কান্না আন্তরিক না, শুধু রাজার সাত ছেলের কান্নাই আন্তরিক। কারণ সাধুর কাছে পার্থিব কোন সম্পদ চায় না তারা।

স্মিত হাসি ফুটলো সাধুর ঠোঁটে।

শোনো সবাই।

সাধু বাবার আহ্বান শুনে শিষ্যদের কান্না একটু স্তিমিত হলো। তবু চাপা কান্নার দমকে ফুলে ফুলে উঠছে সবার বুক। সাত ভাইকে থাকতে বলে বাকি শিষ্যদের বিদায় করে দিলেন সাধু বাবা।

কাল সকালে তোমাদের সবাইকে আমি একটা করে বর দেবো।

শিষ্যরা সাত জন কান্নার মধ্যেই আগ্রহ নিয়ে তাকালো সাধু বাবার দিকে। কি বর দেবেন তিনি? মুখে অবশ্য কারও কোন কথা নেই। সাধু বাবা যা বর দেবেন, সেটাই শিরোধার্য্য।

তবে সে বর আমি নিজের ইচ্ছায় দেবো না। তোমরা সকলে আজ রাতে ভেবে ঠিক করে রাখবে, কার কি বর লাগবে। তোমাদের ইচ্ছাই আমার মাধ্যমে পূরণ করবেন মহাপ্রভূ। তবে একটা জিনিষ মনে রেখো, আগামী মাসে পাশের রাজ্যের রাজা এই রাজ্য আক্রমণ করবে। তোমরা সেটা মনে রেখে বর চাইলে এই রাজ্যের অনেক উপকার হবে। তোমরাও দেশ-মাতার কল্যানে নিজেদের অবদান রাখতে পারবে।

শিষ্যরা সবাই গুরুর আদেশ মাথায় নিয়ে আশ্রমে নিজেদের কক্ষে চলে এলো। গোল হয়ে বসে ভাবছে, যুদ্ধে কোন ভাইর কোন বিশেষ ক্ষমতা থাকলে রাজ্যের উপকার হবে। যুদ্ধজয় সহজ হবে।
সবচেয়ে ছোট যে, সে বুদ্ধি দিল যে সবাই যদি সেরা যোদ্ধা হবার বর চাই, তাহলেই অল্প সময়ে যুদ্ধ জেতা সহজ হবে।

কিন্তু সবচেয়ে বড় যে, তার বাস্তব জ্ঞান এই ছোটর চেয়ে অনেক বেশী। তার মতে, শুধু বাহুবল দিয়ে যুদ্ধ জেতা সহজ না। যুদ্ধ জেতার জন্য চাই শত্রু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, গোপন খবর। চাই সমর পরিকল্পনা। চাই দূর-দৃষ্টি। চাই অস্ত্র। সেই সাথে চাই ভালো যোদ্ধা।

এই কথায় সবাই এক মত হল। সারা রাত আলোচনা শেষে সাত শিষ্য কে সাধু বাবার কাছে কি চাইবে, সেই ব্যাপারে এক মত হল।

পরদিন সারা দিন অপেক্ষায় কেটে গেল তাদের। সাধু বাবার কাছ থেকে আর ডাক আসে না। সাধু বাবা সারাটা দিন নিজের তরুনী মেয়ের সাথেই সময় কাটালেন। বাবা-হীন জীবন কিভাবে কাটাবে সেই বিষয়ে আদেশ-উপদেশ দিলেন। তবে মেয়ের জন্য দুশ্চিন্তা হতে লাগল তার। আশ্রম ছেড়ে বাইরে গেলে বাস্তব জীবনে খাপ খাওয়াতে পারবে তো আমার মেয়ে! মৃত্যুর আগে এই একটাই দুশ্চিন্তা সাধু বাবার।

অবশেষে স্বীয় তনয়াকে আদেশ উপদেশের পালা সাঙ্গ করে শিষ্যদের ডাকলেন সাধু বাবা। বিকাল গড়িয়ে এল। সন্ধ্যার পরে পরেই তো ইহধাম ত্যাগ করতে হবে তাকে।

একে একে এল সাত শিষ্য। ঘিরে দাড়ালো শেষ বৈঠকে আসীন সাধু বাবার সামনে। তাদের চাহিদা মোতাবেক কারও চোখ স্পর্শ করলেন সাধু বাবা, এখন চিলের নজর তার। সাত ক্রোশ দূর থেকেও শত্রু সেনার গতিবিধি দেখতে পাবে সে। কারও কান স্পর্শ করলেন সাধু বাবা, এখন তীক্ষ্ম শ্রবন শক্তি তার। সাত ক্রোশ দূর থেকেও শত্রুর পরিকল্পনা শুনতে পাবে। এক জনের পা স্পর্শ করলেন সাধু বাবা, চিতার গতি হার মানে তার কাছে। রাতের আধারে সবার চোখের আড়ালে ছুটে গিয়ে শত্রু ছাউনির খবর নিয়ে আসবে সে। এক জনের মাথা স্পর্শ করলেন সাধু বাবা, বুদ্ধির তীক্ষ্ণধার হয়ে গেল তার। সমর পরিকল্পনায় অতুলনীয় ব্যুতপত্তি লাভ করলো সে।

বাকি তিন জন হবে তিন বাহিনীর প্রধান। তিন বাহিনী মানে পদাতিক, অশ্বারোহী আর গজারোহী বাহিনী। সবচেয়ে যে মোটা, তাকে সাধু বাবা দিলেন গজারোহী বাহিনীর প্রধান হবার ক্ষমতা। সরাসরি হাতির সাথে যোগাযোগ করতে পারবে সে। অশ্বারোহী বাহিনীর প্রধানও পেল একই রকম ক্ষমতা।

সব শেষে পালা পদাতিক বাহিনীর প্রধানের। সবচেয়ে বেশী সৈন্য এই বাহিনীতে। তাকে সাধু বাবা দেবেন সেরা যোদ্ধা হবার ক্ষমতাও। অস্ত্র লাগবে না তার, হাতের সামান্য আঘাতেই মারা পড়বে একের পরে এক শত্রু। তাই এই শিশ্যের হাত ছোয়ার জন্য নিজের হাত বাড়ালেন সাধু।

দুই হাত পেটের নীচে বেঁধে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে শিষ্য। এগিয়ে আসছে সাধু বাবার হাত। ঠিক এই সময় কোথা থেকে উড়ে আসা বেয়াদব মাছি ঠোটের উপর থেকে তাড়াতে শিষ্যর হাত উঠে এল নিজের ঠোটে। বর দেয়ার জন্য চোখ বন্ধ করে স্ত্রোত পাঠ করতে থাকা সাধু বাবার হাত কিন্তু আগের লক্ষ্যেই এগিয়ে এল। আর নিয়তির অমোঘ বিধানে সাধু বাবার হাত লাগলো শিষ্যের ধুতির নীচে থাকা স্তিমিত পুরুষাঙ্গে।

কিন্তু সাধুর বর তো আর ফিরিয়ে নেয়া যায় না।

সেই সন্ধ্যায় সাধু বাবা দেহ ত্যাগ করলেন।

আর রাতের আধারে প্রেমিকের সাথে একান্ত সময় কাটানোর এক পর্যায়ে নিজের যৌনাঙ্গে প্রেমিকের পুরুষাঙ্গের এক আঘাতে প্রাণ ত্যাগ করলো সাধু বাবার তরুনী কন্যাও।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top