এক বছরে দুইখান খুশি, আমরা মুসলমান
একখান হইলো রমজানের ঈদ, আরেকখান কুরবান
ও ভাই অল্প কইরা খান!
একখান হইলো রমজানের ঈদ, আরেকখান কুরবান
ও ভাই অল্প কইরা খান!
ঈদ যে আসলেই খুশির, আসলেই আনন্দের আমরা যারা গার্মেন্টস ট্রেডে আছি তারাই জানি। বোঝা গেল না, নাহ! আপনার হয়তো নিজের প্রতিষ্ঠান আছে বা অন্য কারো প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন, কেওবা সরকারী চাকুরে। টানা কিছুদিনের ছুটি পাচ্ছেন বা পেয়ে থাকেন। অনেকে হয়তো গতকাল ৮/৮/১৯ এই বাড়ীতে বা শহরের ভাষায় গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছে গেছেন। না ভাই আমাদের এখনও সেই সৌভাগ্য হয়নি। তবে আমরাও বাড়ী যাচ্ছি ৭ দিনের ছুটিতে। ঈর্ষা করার দরকার নেই, ছুটি আসলে দুইদিন। ঈদের দিন আর ঈদের পরদিন। গাঁজা খাইছে! তাইলে ৭ দিনের ছুটি হইলো কি করে? হয়রে ভাই হয়। জুলাই মাস তো ৩১ দিনের, নাকি? আমরা মোট ৩৬ দিন ডিউটি করেছি। আপনি বুঝবেন না, এটা অনেক উপর লেভেলের কথা। যাউকগা, ছুটি তো ৭ দিনের। ঈচ্ছে মত পালন করব। যেখানে খুশি চলে যাব, বাধা নাই।
আহ! ঈদ। রমজানের ঈদ আসলে বড়দের জন্য নামাজের পর আর থাকে না। তবে ছোটদের কথা আলাদা। কিন্তু কোরবানীর ঈদ সবার জন্যই। সারাদিন ব্যস্ততা, গোস্ত কাটা-কাটি, বিতরন, সমাজের জমা মাংশ গরীবদের মাঝে বিতরন। আহ! বছরে এই একটি দিন, বড় হওয়ার পরেও আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া। খাবনা বলার পরেও এক বাটি সেমাই বা পায়েস, অন্তত একটুকরা কসানো মাংশ তো খেতেই হবে, কতদিন পর দেখা, তুই তো আর আসিসই না। এমন কথা বছরে একবারই শোনা। আমি তো ভাই অনেক মজা করব বলেই কাল হয়তো বাড়ি পৌছাব।
ও ভাই! ডেঙ্গু বিএনপির চক্রান্ত বা জামাতের অভিশাপের ফল নয় বরং আমাদের বড় বড় রাজনীতি বিধদের অজ্ঞতার পরিচয়। কিন্তু সাবধানতা আমাদেরই নিতে হবে। আপনার ফুটফুটে সন্তান শহরের ঘুপচিতে বড় হচ্ছে, খোলামেলা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, ছয়টা ইন্দ্রিয়ের একটা নাহয় ওর দিকেই রাখলেন। সেইসাথে যাদের বাবা মা জিবিত আছেন, যতটুকু পারেন তাদের সান্নিদ্ধ নিয়ে নিবেন। আমার নেই তাই আমি বুঝি। আর যদি আপনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে থাকেন তাহলে যেখানে চির নিদ্রায় শুয়ে আছে সেখানে গিয়ে বলে আসেন বাবা তোমার অভাব আজ বুঝি, মা তোমার মত আর কেও ভালোবাসে না। বিধাতা, আমিতো এদের তাদের মত করে ভালবাসতে পারিনি, তুমি একটু ভালবেসো।
যাত্রাপথে সাবধানতা অবলম্বন করবেন, তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। নাহয় একটু পরেই পৌঁছালেন, তাতেও যদি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়!
বাসা থেকে বের হওয়ার আগে, গ্যাসের চুলা বন্ধ করবেন, পানির ট্যাপ বৈদ্যুতিক সুইচ বা মেইন সুইচ বন্ধ করতে ভুলবেন না। বাড়িতে পানি জমিয়ে রাখার পাত্রটি খালি করে উপুর করে রেখে যান। বাসা থেকে বের হবার আগে আপনার জরুরী কোন কিছু নইতে হবে কিনা চিন্তা করে নিন। বাসার চাবি হাতে নিয়ে তারপর লক করুন। দূরে যাবেন? তাহলে কিছু শুকনো খাবার আর পানির বোতল সাথে রাখুন। অপরিচিত কারো সাথে ঈদের আগে বন্ধুত্ব করার কোন দরকার নেই হয়তো উনিই আপনার সমস্যার কারন হয়ে দাড়াতে পারেন।
আমাদের ভুলে যাবেন না, নির্জনমেলার দুয়ার খোলা পাবেন দেশের সব প্রান্ত থেকেই।
আপনার ঈদ ভাল কাটুক, আনন্দ ছোড়িয়ে পড়ুক আপনার, আপনার পরিবার পরিজনদের মাঝে।
ঈদ মোবারক