চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের শাইয়ান বেইকুন গ্রামের মাটির নিচে আধুনিক বিশ্বের লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে আছে প্রাচীন পৃথিবীর এক নিদর্শন। আজ থেকে ২৭ বছর আগেও বাইরের দুনিয়া তো দূরে থাক, খোদ চীনের নাগরিকরাও এগুলোর খোঁজ জানতেন না। ১৯৯২ সালের দিকে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ করেই ২০০০ বছরেরও পুরোনো এই কৃত্রিম গুহাগুলোর খোঁজ পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোন প্রত্নতত্ত্ববীদ, স্থাপত্যবীদ, প্রকৌশলী কিংবা ভূতত্ত্ববীদ এগুলো কে বা কারা তৈরী করেছে সে সম্পর্কে খোঁজ দিতে পারেননি। এমনকি এটাও অজানা যে এগুলো কিভাবে বা কেন তৈরী করা হয়েছিলো, সেটাও অজানা আজকের পৃথিবীর মানুষের কাছে।
লঙ্গিউ গুহার মোট সংখ্যা ৩৬টি। এই গুহাগুলো ৩০,০০০ বর্গমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। কঠিন সিল্ট পাথরের মাঝে খোদাই করে বানানো এই গুহাগুলো মাটির ৩০ মিটার নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। এগুলোর প্রতিটিতে পাথরের তৈরী ঘর, সেতু, নালা, এমনকি পুলও আছে। সেই সাথে আছে উপরের ছাদকে ঠেকা দেওয়ার জন্যে পাথরের থাম। এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গুহাকে পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, গবেষকদের কাছেও লঙ্গিউ গুহাগুলো এক ধাঁধা। এর কিছু কারণ আজ তুলে ধরবো।