আবু নাজীহ (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ
প্রখ্যাত ছাহাবী আবু নাজীহ আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামী ইসলামের প্রাথমিক যুগেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে ধন্য করেছিলেন। মাক্কী জীবনেই রাসূলুলাহ (ছাঃ) যখন গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন, সেসময় তিনি মক্কায় এসে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-কে কিছু প্রশ্ন করে নিশ্চিত হন যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহর রাসূল, তখন তিনি ইসলাম কবুল করেন। রাসূলের নিকট থেকে দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা নিয়ে তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী নিজ এলাকায় চলে যান। অতঃপর রাসূল মদীনায় হিজরত করলে তিনিও মদীনায় রাসূলের খেদমতে হাযির হন। এঘটনা সম্পর্কেই নিম্নের হাদীছ।- আবু নাজীহ আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামী (রাঃ) বলেন, জাহেলী যুগ থেকেই আমি ধারণা করতাম যে, লোকেরা পথভ্রষ্টতার উপর রয়েছে এবং এরা কোন ধর্মেই নেই, আর ওরা প্রতিমা পূজা করছে। অতঃপর আমি এক ব্যক্তির ব্যাপারে শুনলাম যে, তিনি মক্কায় অনেক আশ্চর্য খবর বলছেন। সুতরাং আমি আমার সওয়ারীর উপর বসে তাঁর কাছে এসে দেখলাম যে, তিনি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)। তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার করছেন, আর তাঁর সম্প্রদায় (মুশরিকরা) তাঁর প্রতি দুর্ব্যবহার করছে। সুতরাং আমি বিচক্ষণতার সাথে কাজ করলাম। আমি মক্কায় তাঁর কাছে প্রবেশ করলাম। অতঃপর আমি তাঁকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, 'আমি নবী'। আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেন, 'আমাকে মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন'। আমি বলাম, কি নির্দেশ দিয়ে প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, 'জ্ঞাতি বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখা, মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা, আল্লাহকে একক উপাস্য মানা এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করার নির্দেশ দিয়ে'। আমি বললাম, এ কাজে আপনার সঙ্গে কে আছে? তিনি বললেন, 'একজন স্বাধীন এবং একজন কৃতদাস'। তখন তাঁর সঙ্গে আবু বকর ও বিলাল (রাঃ) ছিলেন। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুগত। তিনি বললেন, 'তুমি এখন এ কাজ কোন অবস্থাতেই করতে পারবে না। তুমি কি আমার অবস্থা ও লোকেদের অবস্থা দেখতে পাও না? অতএব তুমি (এখন) বাড়ি ফিরে যাও। অতঃপর যখন তুমি আমার জয়ী ও শক্তিশালী হওয়ার সংবাদ পাবে, তখন আমার কাছে এসো'।
প্রখ্যাত ছাহাবী আবু নাজীহ আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামী ইসলামের প্রাথমিক যুগেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে ধন্য করেছিলেন। মাক্কী জীবনেই রাসূলুলাহ (ছাঃ) যখন গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন, সেসময় তিনি মক্কায় এসে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-কে কিছু প্রশ্ন করে নিশ্চিত হন যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহর রাসূল, তখন তিনি ইসলাম কবুল করেন। রাসূলের নিকট থেকে দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা নিয়ে তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী নিজ এলাকায় চলে যান। অতঃপর রাসূল মদীনায় হিজরত করলে তিনিও মদীনায় রাসূলের খেদমতে হাযির হন। এঘটনা সম্পর্কেই নিম্নের হাদীছ।- আবু নাজীহ আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামী (রাঃ) বলেন, জাহেলী যুগ থেকেই আমি ধারণা করতাম যে, লোকেরা পথভ্রষ্টতার উপর রয়েছে এবং এরা কোন ধর্মেই নেই, আর ওরা প্রতিমা পূজা করছে। অতঃপর আমি এক ব্যক্তির ব্যাপারে শুনলাম যে, তিনি মক্কায় অনেক আশ্চর্য খবর বলছেন। সুতরাং আমি আমার সওয়ারীর উপর বসে তাঁর কাছে এসে দেখলাম যে, তিনি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)। তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার করছেন, আর তাঁর সম্প্রদায় (মুশরিকরা) তাঁর প্রতি দুর্ব্যবহার করছে। সুতরাং আমি বিচক্ষণতার সাথে কাজ করলাম। আমি মক্কায় তাঁর কাছে প্রবেশ করলাম। অতঃপর আমি তাঁকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, 'আমি নবী'। আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেন, 'আমাকে মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছেন'। আমি বলাম, কি নির্দেশ দিয়ে প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, 'জ্ঞাতি বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখা, মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা, আল্লাহকে একক উপাস্য মানা এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করার নির্দেশ দিয়ে'। আমি বললাম, এ কাজে আপনার সঙ্গে কে আছে? তিনি বললেন, 'একজন স্বাধীন এবং একজন কৃতদাস'। তখন তাঁর সঙ্গে আবু বকর ও বিলাল (রাঃ) ছিলেন। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুগত। তিনি বললেন, 'তুমি এখন এ কাজ কোন অবস্থাতেই করতে পারবে না। তুমি কি আমার অবস্থা ও লোকেদের অবস্থা দেখতে পাও না? অতএব তুমি (এখন) বাড়ি ফিরে যাও। অতঃপর যখন তুমি আমার জয়ী ও শক্তিশালী হওয়ার সংবাদ পাবে, তখন আমার কাছে এসো'।