Ahmed Aurittro এর গবেষণা থেকে নেয়া...
নব্বইয়ের ঢাকায় বাচ্চারা স্কুলে টিফিনে খেত বোম্বে সুইটসের রিং চিপস, বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া ফুজি নুডলস, কিংবা ক্যান্টিন থেকে পাঁচ টাকায় কেনা বার্গার। নানাধরনের উন্নত মিল্ক চকোলেট, ক্যাডবেরীও ছিলো তখন বাচ্চাদের মেন্যুতে খুব জনপ্রিয়। সেসময় ঢাকায় মধ্যবিত্তদের কাছে আসে পিৎজ্জা, শর্মা, হেলভেসিয়া, মানে ফ্রাইড চিকেন। আর এর আগে বাইরে খেতে যাওয়া মানে ছিলো চায়নিজ কিংবা কাবাব। এরপর ঢাকার চায়নিজ রেষ্টুরেন্টগুলো সিচুয়ান ষ্টাইল, থাই আইটেম নিয়ে আসেন। যদিও আমি এখনো ঢাকার চায়নিজ, সিচুয়ান ষ্টাইল আর থাই রান্নার মধ্যে তেমন কোনো তফাৎ খুঁজে পাই না।
তো এরপর ডলসি ভিটার আইসক্রিম, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ এগুলো জনপ্রিয়তা পায়। ছোট ছোট আইসক্রিম পার্লার, ফাষ্টফুডের দোকান গজিয়ে ওঠার সময় সেটা। গুলশানে একটি ফাষ্টফুডের দোকান হলো তখন, নাম 'হট হাট'। সেই সময়ের হট গার্লস আর মধ্যবয়স্করা যেতেন সেখানে। আর ধানমন্ডিতে ছিলো 'খাই খাই'। ওয়েষ্টার্ন গ্রিলের জনপ্রিয়তাও তখন বেশ তুঙ্গে। উত্তরায় লেকের মধ্যে বোটিং শেষে কাবাব খাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো। লিটার কোকের বোতল এবং লিটার বক্সের আইসক্রিম মধ্যবিত্তের ডাইনিং টেবিলে পাওয়া তখন অনেক স্বাভাবিক একটি ঘটনা। নিউমার্কেট গাউছিয়ার খাবারের দোকানের কল্যাণে অনেক মহিলারাই তখন বিফরোল, চিকেন প্যাটিস, জ্যামরোল, ভেজিটেবল রোল এগুলো বানানো শিখতে আগ্রহী হলেন। প্রায়ই নানান জায়গায় রান্নার কোর্স দেয়া শুরু হলো। আগ্রহী অনেক মহিলাই তখন এগুলো বানিয়ে খাবারের দোকানে সাপ্লাই দিয়ে সংসারের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়েছেন।
তখনকার সময়ের নৌকা ও লঞ্চগুলোতে চড়ার সুখস্মৃতি বর্ণনা করতে পারছিনা। নব্বই দশকের লোকেরা অবশ্যই বুঝবেন। বাকিরা ছবি দেখে কিছুটা আন্দাজ করুন…