What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Self-Made গেম অফ থ্রোন্সের রাজনৈতিক শিক্ষা (শেষ পর্ব) (1 Viewer)

Fahima

Senior Member
Joined
Apr 8, 2019
Threads
137
Messages
539
Credits
32,076
গেম অফ থ্রোন্সের রাজনৈতিক শিক্ষা (শেষ পর্ব)

গেম অফ থ্রোনসের কাহিনীকে বর্তমান বিশ্বে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের সাথে তুলনা করা সম্ভব। সেই চেষ্টা অনেকেই করেছেন। কেউ একে তুলনা করেছেন আমেরিকার রাজনীতির সাথে, কেউ তুলনা করছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির সাথে, কেউ আবার তুলনা করেছেন প্রাচীন মিসর অথবা আধুনিক লিবিয়ার রাজনীতির সাথে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো এলাকার রাজনীতির সাথে তুলনা না করলেও গেম অফ থ্রোনসের প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই কিছু না কিছু মূল্যবান রাজনৈতিক শিক্ষা আছে। এই রকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে আমার আগের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আজ দিলাম এর শেষ পর্ব।

৪. সততা সর্বদা সর্বোত্তম নয়:

'সততাই সর্বোত্তম পন্থা' বাক্যটি প্রবাদ হিসাবে চমৎকার হলেও বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। বিশেষ করে রাজনীতিতে সততা খুব কম সময়ই পুরস্কৃত হয়। রাজনীতিতে সৎ প্রার্থীরা অধিকাংশ সময়ই অসৎ প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হন। স্থানীয়, জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সব ক্ষেত্রেই আদর্শবান, সৎ, জনহিতৈষী রাজনীতিবিদদেরকে সবাই প্রশংসা করে ঠিকই, কিন্তু খুব কম সময়ই তারা ভোটে জিততে পারে। যদিওবা কোন সময় তারা জিতে যায়, তথাপি তারা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না।

(এই প্যারাগ্রাফটা লিখতে আমার খুব কষ্ট হয়েছে; কারন সততা সংক্রান্ত এই বক্তব্যটি আমার নিজস্ব আদর্শের একদম বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। কিন্তু, তারপরও বাস্তবতা হলো রাজনীতিতে সততার কোন মূল্য নেই।)

বিশ্বব্যাপী এখন উগ্র ডানপন্থী, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর জয়জয়াকার। অনেক দেশে এখন শুধু নামেই গণতন্ত্র, বাস্তবে তার আড়ালে সামরিক, রাজতান্ত্রিক অথবা রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্র বিদ্যমান। উদাহরণ নাই বা দিলাম, আমরা সবাই তো জানি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েও অনেক দেশের রাষ্ট্রনায়ককে ক্ষমতা হারাতে হচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে। জাতিসংঘও জন্মের পর থেকে জিম্মি হয়ে আছে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিগুলোর হাতে। কাজেই বর্তমান সময়ে রাজনীতির মাঠে সততা একেবারেই অচল।

গেম অফ থ্রোনসের প্রথম সিজনে আমরা দেখতে পাই, সবচেয়ে সৎ এবং আদর্শবান নেতা ছিলেন নেড স্টার্ক। অথচ সিজন ফিনালেতে তিনি তার কুটিল বুদ্ধির অভাবের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন নিজের গর্দান দিয়ে। যদিও পিটার বেইলিশ এবং সার্সি ল্যানিস্টারের ষড়যন্ত্রেই তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবতা হলো, কিংস ল্যান্ডিংয়ের জনগণও তার মৃত্যুতে আনন্দ প্রকাশ করেছিল।

জন স্নোকে তার মহৎ কাজের মূল্য দিতে হয়েছিল দুবার। প্রথমবার মৃত্যুবরণ করে এবং দ্বিতীয়বার নির্বাসনে গিয়ে। লর্ড ভ্যারিস জীবনের বিভিন্ন সময় অসৎ রাজাদের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করেছেন। কিন্তু শেষ সিজনে যেই না তিনি জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন, তখনই তাকে প্রাণ দিতে হয়। এসব কোনো ক্ষেত্রেই সততা বা মহত্ত্ব তাদেরকে রক্ষা করতে পারেনি।


৫. শেষ মুহূর্তের জন্য কিছু কৌশল গোপন রাখা:

যুদ্ধে প্রোপাগান্ডা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য যুদ্ধের পূর্বেই নিজেদের শক্তিমত্তা প্রচারের প্রয়োজন আছে, যেন শত্রুপক্ষ আক্রমণ করারই সাহস না করে; অথবা আক্রমণ করার আগে দশবার চিন্তা করে। তাই বলে সকল শক্তি কিংবা সব ধরনের সক্ষমতা প্রকাশ করা উচিত নয়। শেষ মুহূর্তের চমক হিসাবে কিছু শক্তি গোপন রাখা ভালো, যেন একেবারে অন্তিম সময়ে সেটা প্রকাশ করে যুদ্ধ শুরুর পূর্বেই তা থামিয়ে দেয়া যায়। অথবা যুদ্ধ যদি লেগেই যায়, তাহলে যেন সেটা ব্যবহার করে শুরুতেই শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করা যায়।

গেম অফ থ্রোনসের ব্ল্যাক ওয়াটারের যুদ্ধে স্ট্যানিস ব্যারাথিয়ন যখন তার বিশাল নৌবাহিনী নিয়ে কিংস ল্যান্ডিং আক্রমণ করেন, তখন রাজা জফ্রির পরাজয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু টিরিয়নের বুদ্ধি অনুযায়ী ওয়াইল্ড ফায়ার দিয়ে স্ট্যানিসের বাহিনীর ওপর আচমকা আক্রমণ করার ফলে তার বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। স্ট্যানিস যদি আগে থেকেই জানতেন যে, এই যুদ্ধে ওয়াইল্ড ফায়ার ব্যবহার করা হবে, তাহলে তার প্রস্তুতি ভিন্নরকম হতো এবং তাকে পরাজিত করাও অনেক কঠিন হতো।

তবে শুধু যুদ্ধে না, রাজনীতিতেও এই কৌশল বেশ কার্যকর। নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা বিভিন্নভাবেই প্রচার প্রচারণা চালায়। কিন্তু কারো কাছে যদি প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থী সম্পর্কে এমন কোনো গোপন তথ্য থাকে, যা প্রকাশ পেলে তার গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে, তাহলে সেটা আগে প্রকাশ না করে একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রকাশ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। রাজনীতির ভাষায় এটা 'অক্টোবর সারপ্রাইজ' নামে পরিচিত।


৬. ধর্মীয় চরমপন্থা দমন অত্যাবশ্যক:

ধর্ম একটি স্পর্শকাতর বিষয়। মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু একই সাথে ধর্ম ব্যবসায়ী এবং ধর্মীয় চরমপন্থীদের কাছ থেকেও সাবধান থাকা উচিত। গেম অফ থ্রোনসের রেড ওম্যান মেলি সান্দ্রের চরিত্রটি আমাদেরকে ধর্ম ব্যবসায়ীদের কথাই মনে করিয়ে দেয়। তার প্ররোচনার ভ্রান্ত আশ্বাসে স্ট্যানিস ব্যারাথিয়ন নিজের শিশুকন্যাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেলি সান্দ্রের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়নি।

অন্যদিকে কিংস ল্যান্ডিংয়ের ফেইথ মিলিট্যান্ট এর সাথে বাস্তবের আল কায়েদা, আইসিস, নাইট টেম্পলার, তালেবান কিংবা এ জাতীয় অন্যান্য ধর্মীয় চরমপন্থী সংগঠনগুলোর মিল পরিলক্ষিত হয়। সার্সি ল্যানিস্টার নিজের স্বার্থে হাই স্প্যারো এবং তার বাহিনীকে ক্ষমতায়ন করেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাকেও এই কাজের জন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছিল।

ইয়েমেন, সিরিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো রাষ্ট্রও শুরুর দিকে নিজেদের স্বার্থে আল কায়েদার সদস্যদেরকে অবাধে চলাচল করার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু এরপর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের জটিলতায় এই আল কায়েদা থেকে একটি অংশ বেরিয়ে গিয়ে যখন আইসিস গঠন করে, তখন তারা নির্বিচারে সব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা চালাতে শুরু করে। আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানের সময় পাকিস্তান আইএসআই এর মাধ্যমে তাদেরকে প্রচুর সাহায্য সহযোগিতা করে। কিন্তু পরবর্তীতে এই তালেবানরাই পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনেকগুলো জঙ্গি হামলা চালায়। এসব হামলায় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি পাকিস্তানের অনেক সেনা সদস্য নিহত হয়। নিয়তির নির্মম পরিহাস হচ্ছে, এই সেনা সদস্যরাই তালেবানদের ট্রেনিং দিয়েছিল। আর আল কায়েদার সাথে আমেরিকার সম্পর্কের কথা তো আমাদের সবারই জানা আছে।

যদি এসব ধর্মীয় চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে তৈরি হবার সময়ই ধ্বংস করে দেয়া হতো, তাহলে এগুলো এখন যে বিষবৃক্ষের রূপ ধারন করেছে; তা করতে পারতনা।


৭. স্বৈরশাসকদের উত্থান হয় অনুগতদের নীরবতার সুযোগে:

গেম অফ থ্রোনসে ডেনেরিস টারগারিয়ানের চরিত্রটি সম্ভবত সবচেয়ে জটিল চরিত্রগুলোর মধ্যে একটি। যদিও তাড়াহুড়ার কারণে অষ্টম সিজনে তার ম্যাড কুইনে রূপান্তরিত হওয়ার দৃশ্যটি দর্শকদের খুব একটা পছন্দ হয়নি, কিন্তু ডেনেরিসের মধ্যে যে হিংস্রতা ছিল, সেটা শুরু থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। ডেনেরিস অতীতে বারবার হুমকি দিয়েছিল যে, সে তার সিংহাসনের অধিকার আদায় করেই ছাড়বে। তার জন্য প্রয়োজনে সে শহরের পর শহর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে।

ডেনেরিস তার হিংস্রতার উদাহরণও দেখিয়েছে বারবার। অতি তুচ্ছ অপরাধেও সে তার শত্রুদেরকে ড্রাগনের আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। সে তাদেরকে বন্দী করতে পারতো, অন্য কোনো শাস্তি দিতে পারতো; কিন্তু সেটা না করে সে অবলীলায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার মতো নিষ্ঠুর আচরণ প্রদর্শন করেছে। কিন্তু তারপরেও তার উপদেষ্টারা, তার সঙ্গীরা সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র আপত্তি তোলেনি। কারণ শত্রুদের বিরুদ্ধে কি আচরণ করা হচ্ছিল, সেটা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা ছিল না।

কিন্তু সেই ডেনেরিস যখন রাজধানী আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখনই সবাই নড়ে চড়ে বসে। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাদের চোখের সামনে, তাদের সম্মতি এবং সহায়তায়ই ডেনেরিস ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সে এখন সবাইকেই অস্ত্রের জোরে 'মুক্ত' করে নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন দেখছে। এখন তাকে বাধা দেয়ার মতো আর তেমন কেউ নেই।

বাস্তব দুনিয়াতেও ডেনেরিসের মতো চরিত্রের কোনো অভাব নেই। বিশ্বের অনেক স্বৈরশাসকই প্রথমে ক্ষমতায় আসেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে, অথবা জনগণের সমর্থনে বেসামরিক অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের মাধ্যমে। কিন্তু ধীরে ধীরে তারাই জেঁকে বসেন জনগণের উপর। মুখে সব সময় গণতন্ত্রের কথা বললেও মনের মধ্যে তখন তৈরি হয়েছে এক স্বৈরশাসক। তাই, হঠাৎ একদিন গণভোট দিয়ে বা নির্বাচনে কারচুপি করে যখন ক্ষমতায় পাকাপাকি বসে যান, তখন দেশের সাধারণ জনগণের আর কিছু করার থাকে না। এমন কি, জার্মানির হিটলারও জনগণের ভোটের মাধ্যমেই প্রথম ক্ষমতায় আসেন।

এর কারণও গেম অফ থ্রোনসের মতোই। এই শাসকরা প্রথমদিকে যখন অপরাধীদেরকে বা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে বা দেশের নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীকে শত্রু আখ্যা দিয়ে তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার হরণ করেন, তাদেরকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেন, তখন এই শাসকদের আশেপাশের ক্ষমতাবান অনুগতরা এবং সাধারণ মানুষরা সেটার প্রতিবাদ করে না; ফলে তারা চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতা দখল করার সাহস পান। ডেনেরিসের মতোই তাদের ভ্রম হয় যে, দেশটা তাদেরই সম্পত্তি। কাজেই দেশ নিয়ে যা খুশি তাই করার অধিকার তারা রাখেন।


৮. সিংহাসন নিরাপদের জন্য শত্রুকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করা:

অনেক সময়ই দেখা যায়, মূল আন্দোলন দমন করে ফেলার পরেও ক্ষমতাসীনরা শান্ত হয় না। আন্দোলনের সাথে জড়িত একেবারে নিচের দিকের সদস্যদের বা সমর্থকদের বিরুদ্ধেও তারা অভিযান অব্যাহত রাখে। অথবা কোনো অভ্যুত্থান যখন সংগঠিত হয়, তখন দেখা যায় শুধুমাত্র রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করেই অভ্যুত্থানকারীরা নিষ্ক্রান্ত হয় না। অনেক সময়ই তারা তাকে সপরিবারে হত্যা করে। এমনকি পরিবারের শিশুদেরকেও রেহাই দেয় না।

এর কারণটা পরিষ্কার। শত্রুপক্ষের নিরীহ সদস্যদেরকে বাঁচিয়ে রাখলে একদিন তারাও প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ফিরে আসতে পারে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য শত্রুপক্ষকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। সেটা যত নিষ্ঠুর পদ্ধতিতেই হোক না কেন। গেম অফ থ্রোনস আমাদেরকে বিষয়টি বারবার মনে করিয়ে দেয়।

ওবেরিন মার্টেল গ্রেগর ক্লিগেন তথা মাউন্টেনকে পুরোপুরি হত্যা না করেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। তার প্রায়শ্চিত্ত তাকে করতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে। রাজা রবার্ট ব্যারাথিয়ন চেয়েছিলেন ডেনেরিস টারগারিয়ান ও তার ভাইকে হত্যা করতে। সেটা পারেননি বলেই পরবর্তীতে তার স্ত্রী সার্সির মৃত্যু হয়েছিল এবং তার রাজ্য পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল।

জফ্রির মতো খামখেয়ালি শাসকও বুঝতে পেরেছিলেন, সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে বাঁচিয়ে রাখতে নেই। সেজন্যই তিনি খুঁজে খুঁজে রবার্টের সম্ভাব্য জারজ সন্তানদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রামসি বোল্টন থিওনের উপর প্রচণ্ড নির্যাতন করার পরেও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। পরবর্তীতে সেই থিওনের সাহায্যেই সানসা তার হাত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এবং এই সানসার হাতেই শেষ পর্যন্ত রামসির করুণ মৃত্যু ঘটেছিল।

শেষ করছি সার্সি ল্যানিস্টার এর একটি উক্তি দিয়ে,

"সিংহাসনের খেলায় আপনি হয় জিতবেন, অথবা মৃত্যুবরণ করবেন। এখানে মাঝামাঝি কোনো ব্যাপার নেই।"
 
Last edited by a moderator:

Users who are viewing this thread

Back
Top