What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বর্ষায় সতেজ (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
VhFhwGb.gif


মডেল : বিদ্যা সিনহা মিম

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে ত্বক এবং চুল প্রাণহীন হয়ে যায়। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অন্য মৌসুমের তুলনায় বেশি থাকে। ফলে ত্বক ও চুলের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
কথায় আছে আষাঢ়ের রোদ বড় বেশী ছলনাময়ী। এই আছে তো এই নেই। রোদ দেখে বেরুলেন কিন্তু হঠাৎ এক পসলা বৃষ্টি এসে আপনাকে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। এমনিতে বর্ষাকালে সবকিছু স্যাঁতস্যাঁতে থাকে সহজে শুকাতে চায় না। পাশাপাশি বর্ষাকালে ত্বক কেমন যেন রুক্ষ অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ে। ত্বকে এ সময় র‌্যাশ ও ব্রণের প্রকোপ বাড়ে। তাই বর্ষাকালে ত্বকের ও চুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। বর্ষার সময়কার মেকওভার নিয়েই এই ফিচার…

বর্ষায় নাজুক ত্বক
ত্বক উজ্জ্বল, সুন্দর রাখতে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, পানি এবং পানি জাতীয় খাবার খাবেন।

তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

বার বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন।

বর্ষাকালে রোদ কম থাকলে ও সূর্যরশ্মির প্রতিফলন হয় তাই রোদে বেরুলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন।

মুখের ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দূর করতে পাকা পেঁপের ক্বাথ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখলে বিবর্ণ ত্বকে ফিরে আসবে উজ্জ্বলতা।

ব্রণ হলে নিমপাতা ও চন্দনবাটা লাগান। ব্রণের দাগ দূর করতে চন্দনবাটা, হলুদ ও লবঙ্গবাটা, জয়ফল গুঁড়োর সঙ্গে আপেল ও কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। বিশ মিনিট পরে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে মুছে নিন।

বর্ষার অবশ্যই ওয়াটার প্রুপ মেকআপ ব্যবহার করবেন।

গোসলের সময় গোলাপের পাপড়ি ও কাঁচা হলুদবাটা, বেসন ও দই একসঙ্গে মিশিয়ে গায়ে মাখলে ত্বকে যেমন উজ্জ্বল আভা আসে, তেমনই গোলাপের সুগন্ধ সারাটাদিন ঘিরে থাকবে আপনাকে। আর আপনার মন মেজাজ থাকবে ফুরফুরে।

ক্লেনজিংয়ের জন্য ময়দা ও দুধের সর সারা মুখ, গলা ও হাতে লাগিয়ে রাখুন। আধ শুকনো হলে অল্প ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হালকা গরম পানিতে কর্পূর মিশিয়ে তাতে তোয়ালে

ভিজিয়ে মুখ, গলা, ঘাড় ও কানের পাশ পরিষ্কার করে নিন।

ফুটন্ত পানিতে জুঁই এবং গোলাপের পাপড়ি সেদ্ধ করতে থাকুন। অনেকক্ষণ সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা করে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজন মত তুলোয় ভিজিয়ে মুখে লাগান স্কিন টনিক হিসেবে।

ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দুধের সর ও গোলাপের পাপড়িবাটা ব্যবহার করুন।

বর্ষাবেলায় চুলের যত্ন
বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে ভেবে ছাতা নিয়ে বের হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

চুল ভেজা রাখবেন না। চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল ওঠা শুরু হয়ে যায়। এছাড়া বেশিক্ষণ চুল ভেজা থাকলে চুলে ফাঙ্গাশ পড়তে পারে।
ভেজা চুল আচড়াবেন না। ফ্যানের বাতাসে কিংবা চুল শুকানো মেশিন দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন।

ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না। সপ্তাহে দু'দিন শ্যাম্পু করবেন।

তৈলাক্ত চুলে লাইট কান্ডিশনার লাগান, এছাড়া শুষ্ক চুলে ডিপ ময়শ্চারাইজিং কন্ডিশনারের প্রয়োজন।

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক এবং বর্ষায় ইস্ট থেকে খুসকি হয়। তাই অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত কন্ডিশনার লাগান।

চুল বেশি কর্কশ হয়ে পড়লে স্ট্রবেরি ও বেলের ক্বাথ, মধু ও ডাবের পানি মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু করে নিন।

যদি ঘাম জমে আপনার মাথায় ফোড়া বা ফুসকুড়ি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলের আগে বিঁচিছাড়া সামান্য বেলের শাঁস চটকে পুরো মাথার তালুতে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘন্টা পর রিঠা ও আমলা ভেজানো পানিতে শ্যাম্পু করুন।

জবাফুল, দূর্বা, নারিকেল তেল ও নিমপাতা বাটা লাগান পুরো চুলে।

মেথিদানা ও জিরে দুধে ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন বেটে এই মিশ্রণ নারকেল তেলে মিশিয়ে নিন। সঙ্গে জবা ফুল, তুলসীপাতা ও বেলপাতা বাটা মিশিয়ে নেবেন। এতে ঝরঝরে এবং খুসকিমুক্ত থাকবে আপনার চুল।

নারকেল তেলে নিশিন্দাপাতা, আনারস, তুলসী পাতা ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে লাগান। চুলের মসৃণতা ফিরে পেতে কচি আমলকির রস ক্যাস্টর অয়েলে মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। একঘন্টা পর চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

চুল চিকন করতে শ্যাম্পুর সঙ্গে ডিম ও পাউডার জিলেটিন মিশিয়ে নিন, ডিম, টকদই, পাকা পেঁপের ক্বাথ, মধু নারিকেল তেল, কেশুতপাতা ও আদার রস, আমলা, শিকাকাই পাউডার, পাতিলেবুর বীজ ও মরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। চল্লিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুলের রুক্ষতা কাটাতে এ প্যাকটি উপকারি।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top