What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কি!! ( এটা কি আমার জন্য, ঘরে বসে আয় কি সত্যি সম্ভব!!!) (1 Viewer)

Black Knight

Not Writer or Creator, Only Collector
Staff member
Supporter
Joined
Mar 6, 2018
Threads
265
Messages
25,763
Credits
560,024
Purse
Birthday Cake
Billed Cap
Rocket
Pizza
Mosque
FHSqDyb.jpg
বাংলাদেশের মত দেশ যেখানে চাকরির বাজার বেশ নাজুক অবস্থায় আছে, যেখানে ৪৭% শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকার, পর্যাপ্ত চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয় না, সেখানে বিকল্প পেশা হিসেবে সম্মানজনক অবস্থায় আছে ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্তপেশা, বা আরও বিস্তরভাবে বলতে গেলে অনলাইন প্রফেশন। অনেক গুলো অনলাইন প্রফেশনের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং একটি।

ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে আছে, বিশ্বে বাংলাদেশের দক্ষ পেশাদারদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে শত কোটি টাকার। হিসেব মতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার আছে ৫ লক্ষাধিক।
ফ্রিল্যান্সিং যেমন সম্ভাবনা, তেমনি এ নিয়ে আছে প্রচুর ভুল ধারণা, আবার ভুল ধারণাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাঁদ। এ সব নিয়েই আলোচনা হবে এই লেখাতে।

ফ্রিল্যান্সিং হল কোন প্রতিষ্ঠানে পার্মানেন্ট চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রজেক্ট বেসিসে কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে মানুষ শত বছর ধরে। যেমন একজন রিক্সাওয়ালাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ সে অন্যের রিক্সা চালায়, ইচ্ছা হলে প্যাসেঞ্জার নেয়, নাহলে নেয় না। তার ফ্রিডম আছে। ইদানিং ফটোগ্রাফাররাও ফ্রিল্যান্সার, কারণ তারা কোথাও ফটোগ্রাফার হিসাবে চাকরি না করে বরং অনুষ্ঠান বেসিসে শুট করে আর পারিশ্রমিক নেয়।
সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নয়, কাজ করার ধরণ মাত্র।


অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং!!!
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মানে হল, যে কাজ ক্লায়েন্ট অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে দিবে, আপনি সে কাজে চুক্তিবদ্ধ হবেন, নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজটা করবেন, আর সেটা অনলাইনের মাধ্যমেই ক্লায়েন্টকে ডেলিভার করবেন, আর ক্লায়েন্ট অনলাইনের মাধ্যমেই আপনাকে পেমেন্ট করবে। এখানে অনলাইনে কাজ করেননি, কাজ আপনার দক্ষতা দিয়েই করেছেন, শুধু মাধ্যমটা অনলাইন, যোগাযোগের মাধ্যম। যেমন ফোনে কোন কাজের ডিল হলে নিশ্চয় আপনি এটাকে ফোনে আয় করা বলেন না, তেমনি এটাও অনলাইনে ইনকাম নয়।

ফ্রিল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সার, আউটসোর্সিং কি??

ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং প্রথম শুরু হয়েছিলো ১৯৯৮ সালের দিকে। অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলা হয়েছিলো, সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরু। ব্যাপারটা বেশ মজাদার। ধরাবাধা অফিস টাইম নেই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়।

ধরুন, আপনি ভাল একাউন্টিং করেন। আমেরিকার এক ক্লায়েন্টের কোম্পানির ১৫ দিনের একাউন্ট অডিট করতে হবে। সে অনলাইনে একটা প্ল্যাটফর্মে অফার করল। অনেকের মত আপনি অ্যাপ্লাই করলেন। আপনি কাজটা পেলেন। একটা এমাউন্ট পেমেন্টে চুক্তিবদ্ধ হলেন। কাজটা আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে সম্পন্ন করলেন, অনালাইনের মাধ্যমে আপনি সেটা ডেলিভার করলেন, ক্লায়েন্ট আপনাকে পেমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে দিল।

তাহলে,

ফ্রিল্যান্স কাজ কে করল? আপনি!
ফ্রিল্যান্সার কে? আপনি!
ফ্রিল্যান্সিং কে করল? আপনি!
আউটসোর্স কে করল? ক্লায়েন্ট!
আউটসোর্সার কে? ক্লায়েন্ট

আউটসোর্সিং কে করল? ক্লায়েন্ট!

অর্থাৎ আপনি কখনই আউটসোর্সিং করছেন না। সেটা করছে ক্লায়েন্ট! কেউ যদি ক্লেইম করে সে আউটসোর্সিং শেখাবে, তাকে প্রতারক বলে গণ্য করুন, কারণ সে নিজেই জানে না আউটসোর্সিং কি। সে প্রতারণা করছে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং কোনো কাজ না, কেউ যদি ক্লেইম করে সে ফ্রিল্যান্সিং শেখাবে, সে ক্ষেত্রে সে-ও প্রতারক।
তেমনি এখন বেশ জমজমাট আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং এর নামে ট্রেইনিং প্রতারণা। বেশিরভাগ ট্রেনিং সেন্টার গুগল-ইউটিউব বা অন্যান্য ভাল মেন্টরের লেখা পড়ে মুখস্থ করে সেটা শেখানোর জন্য ট্রেনিং খুলে বসে।

একটু ভাবুন, আপনাকে সফল হওয়ার মেন্টরশিপ সে-ই দিতে পারবে, যে ঐ কাজে নিজে সফল। কিন্তু যে নিজেই কাজ করেনা বা করেনি, সে কি করে আপনাকে ট্রেইনিং দিতে পারবে?

আর যে দক্ষ, যে নিজে সফল, অনেক টাকা আয় করে, অনেক রেপুটেশন, সে কেন ট্রেনিং ব্যবসা করে ৫-১০ হাজার ইনকাম করতে আসবে? সে আরেকজনকে সফল করার মূল-মন্ত্র দিতে পারলে সে নিজে তো লক্ষ-লক্ষ আয় করার কথা। তার এত সময় কোথায়?

এসব ট্রেনিং সেন্টারের মালিক / ট্রেইনারদের ব্যাকগ্রাউন্ড খোঁজ নিলে দেখবেন, তারা নিজেরা অন্য ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করেছিল, নিজেরা ঐ কাজে দক্ষ হতে পারেনি, সফল হতে পারেনি। তো কি করবে? যা শিখেছে তা অন্যকে শিখিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়, আর ট্রেনিং করার জন্য অর্থলোভী মানুষের তো দেশে অভাব নেই।


আর খেয়াল করলে দেখবেন, এসব ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং বলে SEO কে বুঝানো হয়। কিন্তু একজন এক্সপার্ট এসিও প্রফেশনাল বলতে পারবেন এই ট্রেইনিং এ SEO এর ১০% ও শেখানো হয়না। কারণ ট্রেইনাররা ডাউনলোড করা কোর্স থেকে শেখায়, যা কিনা কয়েক বছর আগেই আউটডেটেড। আর এই খাতে প্রতিদিন নতুন আপডেট আসছে।

আবার সম্পূর্ণ SEO এর কাজ পুরো মার্কেটের কাজের ১% এর চেয়ে কম। তার মানে আরও ৯৯% কাজ আছে, যেগুলোতে বাংলাদেশি মানুষ নেই বললেই চলে।

একবার ভাবুন, ১% কাজ ধরলাম ১০ হাজার জব। কিন্তু অলিতে গলিতে ট্রেইনিং সেন্টাররা SEO ই শেখায়। সে হিসাবে SEO শেখা মানুষ লাখের উপরে। তার মানে এ খাতেও বেকারত্ব দেখা যাবে।

অন্যদিকে এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট, গেইম ডেভেলপমেন্ট, থ্রিডি, অটোক্যাড, এনিমেশন, ডেটা সাইন্স এরকম কাজ গুলোতে এদেশের খুব কমই স্কিল্ড আছে। এই খাতে কম্পিটিশনও কম। ডিমান্ডিং কাজ গুলোর একটা স্টাডি কমেন্টে দিচ্ছি।

বলে রাখা ভাল, ফেসবুক গ্রুপ, ব্লগ, ইউটিউব এবং অনেক ক্ষেত্রে ফ্রি ট্রেনিং এর মাধ্যমে অনেক সফল ব্যক্তিরাই ফ্রি-মেন্টরিং করছে বাংলাদেশে।


আরেকদল আরও এক ধাপ এগিয়ে। তারা অবৈধ-সাইবারক্রাইমকে ফ্রিল্যান্সিং বলে চালিয়ে দেয়, আর এ সম্পর্কে জানেনা এমন ছেলেমেয়েদের কাজ করায় তাদের প্রতিষ্ঠানে।
CAPTCHA এন্ট্রি, ফেসবুক ফেইক লাইক, পিটিসি (Clicksense, trafficmonsoon), আর এখন নতুন যুক্ত হয়েছে Bet365.
এগুলো পিওর সাইবারক্রাইম এবং অবৈধ। এগুলোর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন যোগসূত্র নেই। বছর কয়েক আগে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর নামে এসব অবৈধ কাজ হচ্ছে বলে বিশ্বের নামকরা কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রতিবেদনও আসে।



আচ্ছা, এত নেগেটিভ দিক কেন আলোচনা করা হল?
আমার একটা বিশ্বাস হল, মানুষ কোন কাজে সফল না হতে পারার কারণ হল তারা সঠিক পথে না গিয়ে ভুল পথে যায়। আপনি যদি তাদের ভুল পথ সম্পর্কে সাবধান করে দিতে পারেন, তারা কোন না কোনভাবে সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।

এবার চলুন সঠিক পথ নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আগে যেমন বলেছি, ফ্রিল্যান্সিং মানে কোন একটা ফিল্ডে দক্ষ হওয়া যে কাজটা অনলাইনের মাধ্যমে অন্য দেশের ক্লায়েন্টরা অফার করে থাকে। কয়েকশ ক্যাটাগরির কাজ অনলাইনে আছে। আইটি, নন-আইটি, বিজনেস, ক্রিয়েটিভ, ইঞ্জিনিয়ারিং সব খাতের জন্যই কাজ আছে। এই লেখার শেষে কাজের ক্যাটাগরি গুলোর লিংক অ্যাটাচ করা থাকবে। সাথে এখনকার সময়ে ডিমান্ডিং জব ফিল্ড গুলার একটা স্টাডি।

ফ্রিল্যান্সিং সহজ কাজ নয়। তেমনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের আয় ও কম নয়।

ফ্রিল্যান্সিং লাইফ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সফল হওয়ার পেছনের গল্প শুনলে আপনি তাকে ‘লিজেন্ড’ খেতাব দিবেন। কারণ সফলতার পেছনের গল্প আনন্দের হয়না, অনেক স্ট্রাগল থাকে। রাতের পর রাত কোন কাজ শেখা, ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখা, বই পড়া, কাজ গুলো প্র্যাক্টিস করা, ধৈর্য ধরে টাকার আশা না করে কাজে দক্ষ হওয়ার জন্য মাসের পর মাস সময় দেয়া, এসব থাকে একজনের সফলতার পেছনে।

একটা উদাহরণ দেয়া যাক।
আপনি ধরুন বিবিএ পড়ছেন। ফিন্যান্স নিয়ে। পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে ২০ বছর। ২০ বছর পড়াশোনা করা আপনি একটা জবে ফ্রেশার হিসেবে এপ্লাই করেন, যার সেলারি ১৫ হাজারের মত। অনেকবার রিজেক্ট হতে হয়, কারণ আরও শত-শত এপ্লাই করছে। শেষমেশ একটা জব পান।

১৫ হাজারের জব করার জন্য ২০ বছর পড়াশোনা করলেন দু-বার না ভেবে। পড়াশোনা শেষ করে একটা লোকাল জবের জন্য প্রতিযোগীতায় নামলেন একই শহরের অন্যদের সাথে, যারা কিনা আপনার লেভেলের পড়াশোনাই করেছে।

এবার ভাবুন ফ্রিল্যান্সিং এর কথা, এমেরিকার একটা কোম্পানি তাদের একটা জব আউটসোর্স করল মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। ২ সপ্তাহের প্রজেক্ট, ১ হাজার ডলার। এপ্লাই করল কারা? সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ওপেন, (ছোট শহর নয়), বিশ্বের টপ প্রফেশনালরা এপ্লাই করল, আপনিও করলেন। তার মানে? এবার আপনার প্রতিযোগীতার লেভেল কোথায়?

এবার ভাবুন, এই লেভেলে প্রতিযোগিতার জন্য আপনি শুধু ২ মাসের কোর্স করেই দক্ষ হতে পারবেন? অবাস্তব নয়?


হ্যাঁ এটা সত্যি যে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয় করা যায়, সার্ভেতে দেখা যায়, এ দেশে ২০% এর বেশি ফ্রিল্যান্সার মাসে ২ লাখের উপর আয় করে। কিন্তু তারা ২ মাসে কোর্স করে এত দূর আসেনি। তারা অন্তত এক বছর সময় নিয়ে টাকা আয়ের কথা না ভেবে শেখার উপর জোর দিয়েছিল!

যেখানে ১৫ হাজার টাকার জবের জন্য ২০ বছর পড়াশোনা করলেন, মাসে কয়েক লক্ষ আয় করতে, বিশ্বের টপ-লেভেল প্রফেশনালদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে ১-২ বছর সময় দিয়ে কাজ শিখবেন না?

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলেঃ
প্রথমে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সে বিষয়ে ছোটখাটো একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে যেতে হবে আপনাকে। আপনি যদি কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেশি কাজ পাবেন। এখানে বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই অবাঙ্গালী হয়ে থাকেন। তাই তাদের সাথে যোগাযোগের জন্যে ইংরেজি ভাষাটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যতো অভিজ্ঞতা, কাজ পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি।


কাদের জন্য এই মুক্ত-পেশা?
– যাদের অতিরিক্ত লোভ নেই।
যারা কাজ শেখার ধৈর্য রাখে।
– যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার মত কমিউনিকেশন জানে।
যারা শর্টকাটে টাকা আয় করতে চায় না।
– যাদের জীবনে কিছু করার প্রবল ইচ্ছে আছে।
– যারা সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করতে চায়।
যাদের শেখার প্রবণতা আছে।



যারা এ পথে না আসলে ভাল করবেনঃ
– যারা কাজের চেয়ে টাকাকে মূল্যায়ন করেন।
– যারা সহজে আয়ের পথ খুঁজছেন।
যারা চাকরির বা অন্য পেশার পাশাপাশি সাইড ইনকাম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কে ভাবছেন।
যারা মনে করছেন শেখা শুরুর ১৫দিন – ১ মাসের মধ্যেই কারিকারি টাকা আয় করবেন।
যারা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেইনিং সেন্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন ‘ঘরে বসে লাখ টাকা’ দেখে এই পেশার জন্য আগ্রহী হয়েছন।
যারা ফ্রিল্যান্সিং কে খুব সহজ ভাবেন।



কিভাবে আসবেন এ পথে?
– আগে জানুন এ খাতে কোন কোন ফিল্ড আছে। (রেফারেন্সে লিংক)
– তারপর ভেবে দেখুন আপনার এখন যে ব্যাকগ্রাউন্ড, স্কিল এবং ইন্টারেস্ট; সেটার সাথে কোন ফিল্ড মিলে যায়।
– বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ঐ ফিল্ড গুলোর এখন পোস্ট করা জব গুলো ঘেঁটে দেখুন, বুঝার চেষ্টা করুন এ ধরণের কাজে কি কি স্কিল লাগে।
– ঠিক করার পর এবার চেষ্টা করুন কোথা থেকে শেখা যায়, অনলাইনেই শেখা যায় ধৈর্য থাকলে। এদেশে প্রথম সারির ফ্রিল্যান্সাররা নিজে নিজেই শিখে সফল।
– কারও কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন এই সময়ে এসে, স্কিল্ড হওয়ার পর পরামর্শ নিন কিভাবে ফিল্ডে নামা যায়। প্রথমেই ‘ভাই, ইনকাম করার সহজ পথ বলেন’ বলে কাউকে ইরিটেট করবেন না।
– চেষ্টা করতে থাকেন, ফেইল করলে ভুল গুলো শুধরে আবার ট্রাই করেন। যে কাজে আপনাকে এক্সেপ্ট করেনি, সে কাজ নিজেই করুন, সেম্পল প্রজেক্ট হিসেবে প্র্যাক্টিসও হবে, পোর্টফোলিও হবে।
– ধৈর্য ধরে নিজেকে আরও স্কিল্ড বানানোর জন্যে নতুন নতুন কিছু স্টাডি করুন।



কিছু ভুল ধারণাঃ
– ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং শেখা যায়!
৫ হাজার টাকা দিয়ে ২ মাস কোর্স করলেই হাজার টাকা আয় করা যায়!
– ট্রেইনিং সেন্টারে গেলেই সফল হওয়া যায়!
CAPTCHA এন্ট্রি, ফেইক লাইক, পিটিসি, BET365 এগুলো ফ্রিল্যান্সিং!
ফ্রিল্যান্সিং করা খুব সহজ, দিনে ২ ঘন্টা সময় দিলেই হাজার টাকা!
– ফ্রিল্যান্সিং মানে SEO.
ফ্রিল্যান্সিং আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য, বিজনেস, নন-আইটি বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছেলে মেয়েদের জন্য না।
– ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আইটি ওরিয়েন্টেড ফিল্ডে কাজ করতে হবে।



***কিছু অপ্রকাশিত তথ্যঃ***
– দেশে ৬ লক্ষ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং অথবা অনলাইন প্রফেশনাল।
– নাম-সর্বস্ব ট্রেইনিং সেন্টারের সংখ্যা ১১০০০ +
– ট্রেইনিং প্রাপ্ত নাম-সর্বস্ব স্কিল্ড ছেলেমেয়ের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি (এর অর্থ হল ১৪ লক্ষ বেকার, কারণ তারা সত্যিকার অর্থে স্কিল্ড না)।
– নন-আইটি, বিজনেস, ক্রিয়েটিভ, ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই ছাড়া) ব্যাকগ্রাউন্ড এর জন্য কাজের সংখ্যা মোট মার্কেটের ৫৩%।
– আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের বাইরের সবার ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আইটির কাজ শিখতে হবে না, তাদের নিজেদের ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজই আছে মার্কেটে অনেক।



কিছু পরামর্শঃ
ট্রেইনিং সেন্টার থেকে দূরে থাকুন, নিজে শেখার চেষ্টা করুন।
– ট্রেইনিং সেন্টারে যদি যেতেই হয়, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড, ট্রেক রেকর্ড চেক করুন। প্রয়োজনে এই খাতে সফল কারও পরামর্শ নিন।
অল্প দিনে অনেক টাকা আয় করার কথা যারা বলে তাদের থেকে দূরে থাকুন।
– পুরোদমে ফ্রিল্যান্সিং করবেন, তবে ৩ বছরের বেশি না, এর পর উদ্যোক্তা হবার চেষ্টা করবেন।


ফ্রিল্যান্সিংক্যারিয়ারের সুবিধাঃ
– একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার পচ্ছন্দের কাজ বেছে নেয়, এক্ষেত্রে কেউ তাকে জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে দিতে পারে না।
– আপনি কত পারিশ্রমিক মূল্যে কাজ করবেন এটা অনেক সময় আপনি নিজেই নির্ধারন করে থাকেন।
– আপনি ফ্রিল্যান্সিং যেকোনো সময় শুরু করতে পারেন। এর জন্য খুব বেশী কোনো পূর্ব প্রস্তুতি দরকার পরেনা। শুধুমাত্র আপনি কোন একটি নির্দ্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হলে ঐটা নিয়েই কাজ শুরু করতে পারবেন।
– একজন ফ্রিল্যান্সার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করবে এটি সে নিজেই নির্ধারন করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে তার পূর্ণ ইচ্ছা স্বাধীনতা রয়েছে।
– আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হলে আপনি নিজেই নিজের কাজের সময় নির্ধারন করবেন। এখানে কাজের সময় নির্ধারনে স্বাধীনতা রয়েছে।
– এককথায়, একজন ফ্রিল্যান্সার নিজেই তার কাজের ছক অংকন করে এবং নিজেই সেটি পরিচালনা করে থাকে।


ফ্রিল্যান্সিংক্যারিয়ারের অসুবিধাঃ
– অনেক বেশী প্রতিযোগীতা করে টিকে থাকতে হয়। বর্তমানে কেউ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে তাকে অনেক বেশী প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে হবে। কেননা, প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
– একজন ফ্রিল্যান্সার যেহেতু তার পচ্ছন্দমত কাজ বেছে নেয়, তাই তার কাছে সবসময় কাজ নাও থাকতে পারে।
– বিভন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্ট নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে। তাই সকলকে সমান ভাবে সন্তুষ্ট রাখাটা একটু কঠিন হয়ে পরে, অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং।
– প্রথম কাজ পেতে হয়ত আপনার অনেক বেশী সময় লাগতে পারে এবং আপনার কাজের রেটও তুলনামূলক কম হতে পারে।
– কিছু ভালো ক্লায়েন্ট বেজ তৈরি করা সময় সাপেক্ষ কাজ, এক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।



গুরুত্বপূর্ণঃ
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় যে গুণটা দরকার, তা হল নিজ থেকে বুঝে নেয়ার ক্ষমতা, কাউকে জিজ্ঞাসা করার আগে নিজে সময় দিয়ে মাথা খাটিয়ে নেট ঘেঁটে শিখে নেয়ার চেষ্টা। কারণ যে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবে, অবশ্যই সে নিজে অনেক ব্যস্ত, তাকে ছোট খাটো সব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তাকে বিরক্ত করা ছাড়া কোন কাজ হবেনা। কিন্তু আপনি যদি নেট ঘেঁটে কিছু শেখার-জানার দক্ষতা রাখেন, আপনি যে কোন ফিল্ড নিয়ে কাজ শুরু করে নিমিষেই সফল হতে পারবেন।

কোন প্রকার দক্ষতা ছাড়া Online এর কাজের মধ্যে রয়েছে-
Advertising
Picture Marketing
Data Entry
AW Survey
Video Marketing
Sign up/Comments
Twitter Marketing
Facebook Marketing


দক্ষ বা প্রফেশনালদের Online কাজের মধ্যে রয়েছে-
Web Design
PHP
Java Script
Java
XHTML
XML
C Programming
ASP.Net
Perl
CMS
Graphics Design
Multimedia
Flash
SEO
Marketing
Writing
CGI
Theme Markin

এখানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কয়েকটি কাজের ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হল:
Web Development
• Web Design
• Web Programming
• Ecommerce
• UI Design
• Website QA
• Website Project Management
• Other - Web Development
Software Development
• Desktop Applications
• Game Development
• Scripts & Utilities
• Software Plug-ins
• Mobile Apps
• Application Interface Design
• Software Project Management
• Software QA
• VOIP
• Other - Software Development
Networking & Information Systems
• Network Administration
• DBA - Database Administration
• Server Administration
• ERP / CRM Implementation
• Other - Networking & Information Systems
Writing & Translation
• Technical Writing
• Website Content
• Blog & Article Writing
• Copywriting
• Translation
• Creative Writing
• Other - Writing & Translation
Administrative Support
• Data Entry
• Personal Assistant
• Web Research
• Email Response Handling
• Transcription
• Other - Administrative Support
Design & Multimedia
• Graphic Design
• Logo Design
• Illustration
• Print Design
• 3D Modeling & CAD
• Audio Production
• Video Production
• Voice Talent
• Animation
• Presentations
• Engineering & Technical Design
• Other - Design & Multimedia
Customer Service
• Customer Service & Support
• Technical support
• Phone Support
• Order Processing
• Other - Customer Service
Sales & Marketing
• Advertising
• Email Marketing
• SEO - Search Engine Optimization
• SEM - Search Engine Marketing
• SMM - Social Media Marketing
• PR - Public Relations
• Telemarketing & Telesales
• Business Plans & Marketing Strategy
• Market Research & Surveys
• Sales & Lead Generation
• Other - Sales & Marketing


কিছু বড় বড় মার্কেটপ্লেসের টপ কাজগুলোঃ
১. Freelancer.com এ সব ফিল্ড গুলোঃ

টপ ফিল্ড গুলোঃ

Data Entry
Logo Design
Graphic Design
Website Design
Mobile Phone
Translation
Software Development
HTML
PHP
Internet Marketing
WordPress
Articles
SEO
CSS
Photoshop
Software Architecture
Excel
Android


২. Upwork এ সব ফিল্ড গুলোঃ

Browse top freelancers by category



টপ ফিল্ড গুলোঃ

Android Developers
AngularJS Developers
Bookkeepers
C# Developers
Content Writers
Copywriters
Customer Service Representatives
Data Entry Specialists
Email Marketing Consultants
Excel Experts
Facebook Marketers
Graphic Designers
iOS Developers
JavaScript Developers
jQuery Developers
Mobile App Developers
Objective-C Developers
PHP Developers
Python Developers
Sales Consultants
SEO Experts
Social Media Consultants
Swift Developers
Technical Writers
UI Designers
UX Designers
Virtual Assistants
Web Designers
WordPress Developers
Writers



বি.দ্র.: এই গাইডলাইনের লেখক নিজে ৮ -১২ বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আছে, কিন্তু মূল ধারায় ফ্রিল্যান্সিং করেছেন ৫ বছর, এর পর উদ্যোক্তা হয়েছেন। আমি @Black Knight নিজেও ছোট খাট কাজ করি মার্কেটপ্লেসে, অনেকেরই এটা নিয়ে অনেক আগ্রহ তাই তার পোস্টটি আপনাদের কাছে তুলে ধরা।
 
Last edited:
বিস্তারিত বিবরন দেয়ায় Post দাতাকে thanks...
আপনাকেও ধন্যবাদ
এগুলো সবার জন্যে না। খুব প্রফেশনাল না হলে কোনো লাভ নেই।
কিছুটা সত্য কিছুটা না,
কাজ অনেকেই অনেক জানে কিন্তু মার্কেটপ্লেসে আসে না ভয়ে।
ভাবুন ডাটা এন্ট্রির কাজ বায়ারই আপনাকে তথ্য ও সব দেবে আপনি শুধু এক্সেলশিটে সাজিয়ে দেবেন এইটুকুই কাজ।
আর কাজে প্রফেশনাল হবার চেয়ে আমার মনে হয় Attitude এ প্রফেশনাল হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
i need to know more detail about freelancing...
ভাই আমার মনে হয় এর চেয়ে ডিটেলস আর হয় না।
 
খুব ভালো লাগলো।
ডাটা এন্ট্রির কাজ কিভাবে করবো?
 
খুব ভালো লাগলো।
ডাটা এন্ট্রির কাজ কিভাবে করবো?
To view this content we will need your consent to set third party cookies.
For more detailed information, see our cookies page.
 

Users who are viewing this thread

Back
Top