What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানবে ফণী (1 Viewer)

Status
Not open for further replies.

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,649
Messages
117,051
Credits
1,241,096
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
DUjW3V6.jpg


প্রবল গতিতে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারারাত অবস্থান করে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও বলছে, 'জনসাধারণ যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের অবশ্যেই দ্রুত সাইক্লোন সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত।'

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড়ের যেদিক দিয়ে প্রবেশ করবে সেদিকে গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। সারাদেশে সর্বনিম্ন গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।

১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ফণী এগ্রিয়ে আসছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ফণী বলেও জানান পরিচালক।

এর আগে দুপুর ১২টায় আবহওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ফণী ৫৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করেছে। অতিক্রমের সময় এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। যা একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করেছে। আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশা উপকূল হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে হতে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে খুলনা উপকূল স্পর্শ করে সারারাত ধরে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই সময়ে ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সে কারণে খুলনাসহ আশপাশের জেলাগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছি। যেহেতু এটি একটি সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, ২০ থেকে ২২ বছর আগে এই ধরনের সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাণহানি হয়েছে, ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সেই অর্থে আমরা যেহেতু ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছি, সে কারণে জনসাধারণ যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে, তাদের অবশ্যেই দ্রুত সাইক্লোন সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত।'

'এ ছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে আমরা ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়ে যেতে বলেছি। চট্টগ্রাম ও আশপাশের নোয়াখালী, চাঁদপুর অঞ্চলগুলোর জন্য একই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে যেসব জনসাধারণ আছেন, সরকারের যে পরামর্শ আছে, সেই অনুযায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া উচিত।'- যোগ করেন তিনি।

শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় খুলনাসহ ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ অনেক দূরে যেসব দ্বীপ আছে, সেখানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top