What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

স্মার্টফোনে ভালো ছবি তোলার জন্য চমৎকার ৫ টি টিপস (1 Viewer)

SHEIKH SHAMIM

Member
Joined
Mar 14, 2019
Threads
37
Messages
103
Credits
2,105
ফোকাস
এখনকার বেশির ভাগ স্মার্টফোনের ক্যামেরায় আর আগের সেই ফিক্সড ফোকাস প্রযুক্তিটি নেই। এখন আপনি ইচ্ছে করলে ছবি তোলার সময় অটো-ফোকাস বা ম্যানুয়াল ফোকাস নির্ধারন করে ছবি তুলতে পারেন। আশা করি এই ব্যাপারটি কারও অজানা নেই, তবুও যদি এই টার্মটি আপনার কাছে নতুন লাগে তাহলে বিষয়টি আপনাকে আরও সহজে বুঝিয়ে বলছি। ছবি তোলার সময় ফোকাস ব্যাপারটি হচ্ছে, ধরুন আপনি আপনার বন্ধুর ছবি তুলছেন যেখানে আপনার বন্ধুর দশ ফিট দূরে একটা গাছ আছে... এখন আপনি ম্যানুয়াল ফোকাসের মাধ্যমে ছবি তোলার সময় যদি আপনার বন্ধুকে ফোকাস করেন তবে বন্ধুর পেছনের সেই গাছটি কিছুটা ঝাপসা (Blur) আসবে যাকে ফটোগ্রাফির ভাষায় 'বোকেহ' বলা হয়। আর যদি আপনি গাছটি সিলেক্ট করেন তবে আপনার বন্ধুটি কিছুটা ঝাপসা আসবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ফোকাসের মাধ্যমে আপনি চমৎকার ছবি তুলতে পারবেন। আরও একটি রিয়েল লাইফ উদাহরণ টেনে এই পয়েন্টটি শেষ করছি। নাটক বা ছায়াছবি দেখার সময় নিশ্চয়ই এরকম দৃশ্য দেখেছেন যেখানে প্রথমে ক্যামেরার কাছাকাছি দাঁড়ানো নায়ককে আপনি পরিষ্কার দেখছেন এবং হঠাৎ করে নায়কের মুখটা ঝাপসা হয়ে নায়কের পেছনে থাকা নায়িকাকে আপনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। এটাই হচ্ছে ফোকাসিং-এর একটি উদাহরণ। হ্যাঁ, শুধু স্থির চিত্রই নয়, ভিডিওতেও ফোকাস করা যায়, এমনকি আপনার মোবাইলেও তা সম্ভব।
জুম করবেন না
অনেকেই আছেন যারা পুরাতন পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট ক্যামেরাতে ছবি তুলতে অভ্যস্ত ছিলেন এবং এখন স্মার্টফোনের ভালো ক্যামেরা ইউনিটের কারণে এখন স্মার্টফোন দিয়েই ছবি তুলে থাকেন। তাদের জন্য একটি কথা বলছি, পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট ক্যামেরা গুলোতে দুই প্রকারে জুম থাকতো। একটি অপটিক্যাল এবং অন্যটি ডিজিটাল বা সফটওয়্যার জুম। সে সব ক্যামেরায় আপনি যতক্ষন অপটিক্যাল জুমের সাহায্যে ছবি তুলবেন ততক্ষণ ছবির কোয়ালিটি ভালো থাকবে। কিন্তু ডিজিটালে যখনই যাবেন তখন ছবির কোয়ালিটি কমে যাবে, এর কারণ একটু পরে বলছি। এখন আসি, স্মার্টফোনের জুমিং টেকনোলোজিতে। এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ লো-এন্ড এবং মিড-রেঞ্জের ডিভাইস গুলোতে ডিজিটাল জুমিং ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই, স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ছবি তোলার সময় অবশ্যই যতটা সম্ভব জুম ব্যবহার করবেন না। ডিজিটাল জুমে সমস্যা কি? অপটিক্যাল জুমে ফিজিক্যাল লেন্স ব্যবহার করা হয় যা ম্যাগনিফাই-এর জন্য মুভ করতে সক্ষম। কিন্তু ডিজিটালে তা সম্ভব হয়না কেননা এতে কোন প্রকার মুভিং ফিজিক্যাল লেন্স থাকে না। বরং ডিজিটাল জুম অনেকটা ক্রপ করার মতই। আমরা একটি ছবি তুলে যেমন সেই ছবিটার একটি অংশ মাঝে মাঝে ক্রপ করি ঠিক সেরকমটাই ডিজিটাল জুম করার অর্থ হচ্ছে ছবি তোলার আগে ক্রপ করে নেয়া! এতে করে ছবির ডিটেইলস হারিয়ে যায়। এর চাইতে বরং অবজেক্টের যতটা সম্ভব কাছে গিয়ে ছবি তোলা উচিৎ। এরপরও হয়তো অনেক সময় আপনাকে ডিজিটাল জুমের সাহায্য নিতে হতে পারে, যেমন আপনি দ্রুত একটি অবজেক্টের ছবি তুলছেন যেখানে আপনার ডিটেইলস বা কোয়ালিটি নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। তবে, আমার মতে এরকম কন্ডিশন ছাড়া ছবি তুললে ডিজিটাল জুম বর্জন করাই ভালো।
ফ্ল্যাশের বদলে প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন
এই পয়েন্টটি শুধু মাত্র যে স্মার্টফোনের জন্যই – এমনটা কিন্তু নয়। বরং, এটি স্মার্টফোনের সাথে সাথে পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট ক্যামেরার জন্যেও প্রযোজ্য। প্রকৃতপক্ষে ফ্ল্যাশ খুব বেশি উপকারী নয় বা কাজে আসে না, আর যদি আপনি না জানেন যে আসলেই আপনি কিসের ছবি তুলতে চাচ্ছেন বা কি ধরনের ছবি তুলতে যাচ্ছেন তবে সে সব ক্ষেত্রে ফ্ল্যাশ ব্যবহার না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ফ্ল্যাশের উজ্জ্বল আলো মূলত একটি কালো স্থানের ছবি তুলতে সক্ষম হয় – কিন্তু আসলেই কি সব সময় এটা খুব প্রয়োজনীয়? কেননা, অধিকাংশ সময়েই আপনি ফ্ল্যাশ ব্যবহার করে ছবি তুললে খুবই খারাপ মানের ছবি পাবেন। তাই শুধুমাত্র প্রয়োজন না হলে ফ্ল্যাশ বন্ধ করে ছবি তুলুন। আর দিনের বেলায় কিছুটা অন্ধকার স্থানেও আপনি ভালো ছবি তুলতে পারেন ফ্ল্যাশ ছাড়াই। কম্পিউটারের সাহায্যেই ছবির ব্রাইটনেস কন্ট্রোল করতে পারবেন। তাই, খুব বেশি দরকার না হলে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করবেন না।
ফ্রন্ট নয়, ব্যবহার করুন রেয়ার ক্যামেরা
এখন সেলফি ক্রেজ চলছে। সবাই পারফেক্ট লুকের জন্য তাদের স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরা ব্যবহার করে সেলফি তুলছেন। কিন্তু, যদি আসি 'মানের' কথায় – তাহলে কিন্তু এখনও স্মার্টফোন গুলোর ফ্রন্ট ক্যামেরা গুলো মার খেয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান গুলো স্মার্টফোনের সামনে বং পিছনে ক্যামেরা যুক্ত করলেও মূলত পেছনে ভালো মানের ক্যামেরা যুক্ত করে থাকেন। যে ক্যামেরা গুলো ফ্রন্ট ক্যামেরার চাইতে অনেক বেশি ডিটেইল ধারণ করতে সক্ষম হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি সেলফিও তুলতে চান তবে আপনার উচিৎ পেছনের ক্যামেরা ব্যবহার করা, যদিও এভাবে পারফেক্ট সেলফি তোলা কষ্টকর। তবুও মান অনেক অনেক ভালো পাবেন। যদিও এখন বাজারে হাই কোয়ালিটির ফ্রন্ট ক্যামেরা সমৃদ্ধ স্মার্টফোন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তবে তা এখনও রেয়ার ক্যামেরা কোয়ালিটি থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। এছাড়াও, সেলফি ফোন ব্যানারের সেই ফোনগুলো এখনও সবার হাতে গিয়ে পৌছায়নি। এবং পৌছলেও ব্যবহারকারীরা এর কোয়ালিটি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না।
ম্যানুয়াল কন্ট্রোল আছে এমন ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহার করুন
গুগলের অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপলের আইওএস-এর লেটেস্ট ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে নতুন ক্যামেরা এপিআই। থার্ড-পার্টি ক্যামেরা অ্যাপ গুলো এই এপিআই ব্যবহার করতে পারবে খুব সহজেই এবং এর ফলে পূর্বের চাইতে আরও বেশি অ্যাডভান্স ক্যামেরা কন্ট্রোল দেয়া সম্ভব হবে। ম্যানুয়ালি আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে ছবি তুলতে সক্ষম হন, যেমন – এক্সপোজার কনট্রোল, অ্যাপারচার – ইত্যাদি, তাহলে আপনার ছবি তোলার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পাবে বহু গুণে। তাই, ম্যানুয়াল কনট্রোল করার সুবিধা দেয় এমন কোন ভালো ক্যামেরা অ্যাপ ব্যবহার করুন। তাহলে, ডিএসএলআর এর মত না হলেও কিছুটা অন্তত রঙ নিয়ে আপনিও খেলা করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
মনে রাখবেন, 'ডিএসএলআর' কিছুই নয়! কিছুটা হচ্ছে আপনি নিজেই। একজন ভালো ফটোগ্রাফারের হাতে এখনকার একটি চমৎকার স্মার্টফোন ধরিয়ে দিলে দেখা যাবে তিনি চমৎকার সব ছবি নিয়ে আপনার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন, যা দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আবার একজন সাধারণ মানুষকে ডিএসএলআর দিলেও তিনি ভালো ছবি তুলতে পারবেন না। তাই, যখন ছবি তুলছেনই তখন আপনার কি নেই কি আছে না ভেবে চেষ্টা করুন। অবশ্যই পারবেন।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top