What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

অবশেষে... (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,566
Messages
118,695
Credits
383,315
Compass
Compass
Camera photo
Logitech Mouse
Recipe sushi
Coca Cola Can
অবশেষে...

রফিক মিয়া আর মুক্তার দীর্ঘ কুড়ি বৎসরের সংসার। এতোদিন ভালোই চলছিলো তাদের "খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে "চলা এই সংসার জীবন। সেদিন হঠাত করেই রফিক মিয়া কোনো এক ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হলেন স্ত্রী মুক্তার উপর। রফিক মিয়ার এতোদিনের অভ্যাসের বিপরীত এই হঠাত পুরুষ হয়ে যাওয়াটা মুক্তা আর সহ্য করতে পারলো না। মনে মনে ভাবলো, কি! এতো বড় সাহস! আমার উপর চড়াও হওয়া! কেঁচো হয়ে ছিলো এত্তোটি বছর, এখন সাপের ভুমিকায় এলে তো আর তা মানা যায় না!
তাইতো সে আদালতে নালিশ ঠুকে দিলো রফিক মিয়ার বিরুদ্ধে! যে সে মামলা না! একেবারে নারী নির্যাতন আইনের মামলা! আদালতের সমন পেয়ে নির্দ্ধারিত দিনে রফিক মিয়া আদালতের কাঠগড়ায় নিজেকে উপস্থিত করলো। মনে মনে প্রতিজ্ঞা- যদি এইবার এসপার না হয়ে ওসপার হয়ে যায়, তবে সে কোনো আপত্তিই করবে না। আপত্তি কেনো, বরং সেটাই রফিক মিয়ার জন্য ভালো হবে বলে মনে মনে চিন্তা করলো। আদালতের কার্য্যাদী সমাপান্তে হাকিম রায় ঘোষনা করলেন-
"রফিক মিয়া, তুমি তোমার স্ত্রীর প্রতি যে ব্যবহার করেছো, তাতে তোমাদের দু'জনের আর এক সাথে থাকা নিরাপদ নয়। তাই আজ থেকে বাকি জীবন তোমরা দু'জন আলাদা ভাবে বসবাস করবে।"
রায় শুনে রফিক মিয়া মনে মনে খুবই খুশী। যাক, শেষ পর্যন্ত রায়টা ওসপারই হলো! কিন্তু তখনো হাকিমের রায় পড়া শেষ হয়নি। একটুখানি থেমে হাকিম আবার যোগ করলেন-
"যেহেতু তুমি অন্যায় করেছো, আর এই কারনেই তোমাদের এই বিচ্ছেদ-তাই তোমাকে এর জরিমানা দিতে হবে। আর এই জরিমানাটা হলো- বাকী জীবন তুমি তোমার বেতনের অর্দ্ধেক টাকা তোমার স্ত্রী মুক্তার হাতে তুলে দিতে হবে। এটাই এই মামলার চুড়ান্ত রায়।"
রায় শুনেই কাঠগড়ায় রফিক মিয়া অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। হাকিম সহ উপস্থিত সবাই তো ব্যাপারটায় একেবারে তাজ্জব বনে গেলো! ঘটনা কি? বিরহের রায় শুনে কি রফিক মিয়া পাগল হয়ে গেলো নাকি!! কিঞ্চিৎ হতবাক হাকিম রফিক মিয়াকে ধমকের স্বরে জিজ্ঞেস করলেন-
"এই, তোমার কি হয়েছে? এভাবে পাগলের মতো হাসছো কেনো?"
রফিক মিয়া তার অট্টহাসির সাময়ীক বিরতি দিয়ে বললো-

"হুজুর গতো কুড়ি বৎসর মাস গেলে বেতন শুধু উঠাতামই। একটি পয়সাও নিজের কাছে রাখার ক্ষমতা ছিলো না। এইবার এই যুগান্তকারী রায়ের বদৌলতে পুরো না হউক, অর্দ্ধেক বেতন হলেও নিজের করে পাবো। অবশেষে আমার বেতনের অংশ যে আমি দেখতে পাবো, সে খুশীতে হাসছি, হুজুর! হাঃ হাঃ হাঃ..."
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top