মানবাধিকার ও ইসলাম
প্রারম্ভিকা :
অশান্ত পৃথিবীর বিক্ষুব্ধ জনতার আর্তচিৎকারের ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে উন্মুক্ত গগনের মুক্ত পবন আজ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। বিশ্বে কোটি কোটি অভুক্ত বনু আদমের অমানবিক জীবন প্রবাহের নিদারুণ চিত্র সচেতন মানুষকে ব্যথিত করছে। পাশাপাশি তথাকথিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের ডামাডোলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মারণাস্ত্র ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতা আজ বিবেকবান সকল মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। অথচ (প্রায় ১৪ বছর পূর্বের) এক রিপোর্টে দেখা যায় বিশ্বে প্রতিদিন ১শ' ১৫ কোটি শিশু অভুক্ত অবস্থায় রাত কাটায়। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৪ই আশ্বিন, সোমবার, ১৪০৪ বাংলা।) কি চমৎকার বৈপরীত্য? শক্তিধর দেশগুলোর কাছে দরিদ্র ও ৩য় বিশ্বের জনগণ যেন বড় অসহায়। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের জনগণের অবস্থা আজ ত্রাহি ত্রাহি। বর্তমানে যারাই তথাকথিত মানবাধিকারের সবক দিতে আসে তাদের দ্বারাই তা পদলিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবার তারাই ঐসব দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্যের লোভ দেখিয়ে এগিয়ে আসে। এ যেন সেই নীরিহ ছাগলের জন্য বাঘের সাহায্যের (?) হাত দেখানো। বিশ্বে শত শত বিলিয়ন ডলার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ব্যয় হচ্ছে। অথচ ঐসব টাকা দিয়ে যদি গরীব মিসকীন অসহায় মানুষের খেটে খাওয়ার জন্য গরীব দেশগুলোতে মিল, কলকারখানা, হাসপাতাল প্রভৃতি কর্মমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হ'ত তাহ'লে লক্ষ কোটি মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের জীবন পরিচালনা করতে পারত। প্রশ্ন হ'ল, এগুলো করলে শক্তিধর মোড়ল ধনী দেশগুলো তথাকথিত 'মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যিকির' তো আর করতে পারবে না।
প্রারম্ভিকা :
অশান্ত পৃথিবীর বিক্ষুব্ধ জনতার আর্তচিৎকারের ধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে উন্মুক্ত গগনের মুক্ত পবন আজ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। বিশ্বে কোটি কোটি অভুক্ত বনু আদমের অমানবিক জীবন প্রবাহের নিদারুণ চিত্র সচেতন মানুষকে ব্যথিত করছে। পাশাপাশি তথাকথিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের ডামাডোলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মারণাস্ত্র ব্যবসায়ের প্রতিযোগিতা আজ বিবেকবান সকল মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। অথচ (প্রায় ১৪ বছর পূর্বের) এক রিপোর্টে দেখা যায় বিশ্বে প্রতিদিন ১শ' ১৫ কোটি শিশু অভুক্ত অবস্থায় রাত কাটায়। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৪ই আশ্বিন, সোমবার, ১৪০৪ বাংলা।) কি চমৎকার বৈপরীত্য? শক্তিধর দেশগুলোর কাছে দরিদ্র ও ৩য় বিশ্বের জনগণ যেন বড় অসহায়। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের জনগণের অবস্থা আজ ত্রাহি ত্রাহি। বর্তমানে যারাই তথাকথিত মানবাধিকারের সবক দিতে আসে তাদের দ্বারাই তা পদলিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবার তারাই ঐসব দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্যের লোভ দেখিয়ে এগিয়ে আসে। এ যেন সেই নীরিহ ছাগলের জন্য বাঘের সাহায্যের (?) হাত দেখানো। বিশ্বে শত শত বিলিয়ন ডলার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ব্যয় হচ্ছে। অথচ ঐসব টাকা দিয়ে যদি গরীব মিসকীন অসহায় মানুষের খেটে খাওয়ার জন্য গরীব দেশগুলোতে মিল, কলকারখানা, হাসপাতাল প্রভৃতি কর্মমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হ'ত তাহ'লে লক্ষ কোটি মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের জীবন পরিচালনা করতে পারত। প্রশ্ন হ'ল, এগুলো করলে শক্তিধর মোড়ল ধনী দেশগুলো তথাকথিত 'মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যিকির' তো আর করতে পারবে না।