What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

অফিসের পরে বসের ফোন না ধরলে ধমক খাওয়ার দিন কি ভারতে শেষ হতে চলেছে? (1 Viewer)

Status
Not open for further replies.

simon

New Member
Joined
Sep 2, 2018
Threads
19
Messages
99
Credits
1,740
স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নামটা দেখেই চমকে গিয়ে বলে উঠলেন, "অফিসের ফোন, ধরতেই হবে, আসছি একটু।"

কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে কিংবা ছুটির মধ্যে অফিসের ফোন না ধরলে বা ইমেইলের উত্তর না দিলে বসের কাছে যে ধমক খেতে হবে, সেই ভয়ে সকলেরই আছে।

বেসরকারি সংস্থা বা তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সকলেই তটস্থ থাকে - বসের ফোন, মেসেজ বা ইমেইল যাতে মিস না হয়ে যায়।

কাজের শেষে বাড়িতে গিয়েও এই টেনশনে ভোগার দিন হয়তো ভারতে শেষ হতে চলেছে।

ভারতের পার্লামেন্টে পেশ হওয়া একটি বিল যদি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়, তবে যে কোনও ব্যক্তির অধিকার থাকবে কাজের সময় শেষ হয়ে গেলে ফোন না ধরার।

সংসদ সদস্য সুপ্রিয়া সুলের পেশ করা এই বেসরকারি বিলটির নাম 'রাইট টু ডিসকানেক্ট বিল, ২০১৮'।

প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, মালিক কোনও কর্মীকে তার কাজের সময়ের পরে ফোন বা ইমেইল করতেই পারেন, কিন্তু সেই কর্মী ফোন কেটে দিতে পারবেন এবং ইমেইলের উত্তরও না দিতে পারেন। এজন্য কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

"অফিসের পরে বসের ফোন না ধরলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হয়তো এখনও নেওয়া হয় না কোনও সংস্থাতেই, কিন্তু বসেরা পরের দিন নিশ্চিতভাবেই ধমক দেন। কথা শোনানো হয় যে কাজের সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও অফিসের ফোন না ধরাটা নাকি অপেশাদারি মনোভাব," বলছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ম্যানেজার অনুরাধা রায়চৌধুরী।

তবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যারা কর্মরত রয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে নিয়োগপত্রেই এরকম শর্ত থাকে - যে কোনও প্রয়োজনে ফোনে বা ইমেইলে যোগাযোগ করা যাবে।

প্রস্তাবিত আইনে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই ক্ষেত্রের জন্যও।

বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রগুলিতে ২৪ ঘণ্টার কাজ হয়, সেখানে একজন কর্মী অফিসের পরে ফোন যদি না ধরেন, এবং তার ফলে যাতে কাজ আটকে না যায়, সেটার ব্যবস্থা ওই সংস্থাকেই করতে হবে।

ওই প্রস্তাবিত আইনে ফোন না ধরার অধিকারের কথা যেমন বলা হয়েছ, তেমনই কর্মী কল্যাণ পরিষদ গড়ার কথাও লেখা হয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তি, শ্রম এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি হবে এই পরিষদ, যারা নিয়োগকর্তা এবং কর্মীদের মধ্যে নিয়োগের শর্তাবলী কীরকম হবে, সেটার একটা রূপরেখা তৈরি করে দেবে।

প্রতিটি সংস্থাকে সেই রূপরেখা অনুযায়ী নিজেদের নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top