ক্রিস গেইলের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির রাতে জয়টা ছুঁতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বল হাতে ব্যর্থ সাকিব পাঞ্জাবের বিপক্ষে জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে।
ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ১২ বলে খেললেন ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। দল হেরেছে ১৫ রানে। তবে সাকিব হোটেলে ফিরেছেন একটু স্বস্তি নিয়ে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ নেওয়ার দিনে সাকিব আল হাসান হয়েছেন 'সুপার স্ট্রাইকার অব দ্যা ম্যাচ'। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে টাটা নিক্সন সুপার 'স্ট্রাইকার অব দ্য ম্যাচ' পুরস্কার জেতেন টাইগার এ তারকা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মারকুটে ব্যাট করেন গেইল। মাত্র একটি চার কিন্তু এগারোটি ছক্কার সহায়তায় ৬৩ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন ১০৪ রান। এছাড়া করুণ নায়ার ২১ বলে ৩১, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৯ বলে ১৮ এবং লোকেশ রাহুল ২১ বলে আগারওয়ালের সমান রান করেন।
গেইলের ঝড়ের দিনে বল হাতে এদিন ম্লান ছিলেন হায়দরাবাদের সবাই। সাকিব আল হাসান ২ ওভার বল করে কোনো উইকেট শিকার না করেই বিলিয়ে দেন ২৮ রান। একটি করে উইকেট শিকার করেন ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান ও সিদ্ধার্থ কাউল।
১৯৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় হায়দ্রাবাদ। এছাড়া প্রথম ওভারেই ওপেনার শিখর ধাওয়ান রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মনিশ পান্ডের ৭৬ রানের জুটি জয়ের আশা জোগাচ্ছিল বটে। তবে রান তোলার গতিটা একটু কমই ছিল। ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৫৪ রান করেন উইলিয়ামসন। তারপর ব্যাট করতে নামেন সাকিব। তবে তিনি ও মনিশের পক্ষে শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ রান তোলা সম্ভব হয়নি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। অশ্বিনকে দুটি ছক্কা মেরে সাকিব শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। ১২ বলে ২ ছয় ও ১ চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি অল রাউন্ডার। মনিশ দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহিত শর্মা ও অ্যান্ড্রু টাই।
ম্যাচ হারলেও সাকিব পান ম্যাচের সুপার স্ট্রাইকার অব দ্যা ম্যাচের খেতাব। ম্যাচসেরা হন ক্রিস গেইল।