আজকের পত্রিকার হেডলাইন:বিশিষ্ট শিল্পপতি তাওফিকুল আলমএর স্ত্রীর ছাদ থেকে লাফ দিয়া আত্মহত্যা ,,,
খবর এর বিস্তারিত পড়লাম কয়েক বার,এই মেয়েটা আমার একসময়কার প্রেমিকা ছিলো,কিন্তু আত্মহত্যা কেন করলো???
১৭/৯/১৫
মোবাইলে নোটিফিকেশন এর শব্দ হল,,মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি সিমলার মেসেজ,গুড মর্নিং
আমিও রিপ্লাই দিলাম,সুপ্রভাত
কল দিলো এবার
সিমলা:অই তোমার সমস্যা কি,আমি উইশ করলাম ইংরেজিতে তুমি বাংলায় কেন পাঠাইছো?
আমি:আমার কত যুবক ভাই ৫২' সালে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, আর তুমি কিনা বলো বাংলা কেন পাঠালাম?ছিঃ এটা তুমি বলতে পারলে
সিমলা:ওরা তোমার ভাই না নানা,আর তোমারে আমি বলি নাই আমার কমদামি মোবাইলে বাংলা সাপোর্ট করে না,,,
আমি: আচ্ছা নানা কেন হলো,দাদা হয় নাই কেন
সিমলা:তোমার উত্তর দিতে মন চাইতাছে না,এখন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজ গেটে আসো আজকে ক্লাস করবো না তোমার সাথে ঘুরবো,তোমার হাতে সময় মাত্র৩০মিনিট
আমি:ওকে,মহারানীর হুকুম কি অমান্য করতে পারি???
সিমলা:হইছে পাম মারা লাগবে না,বাই
আমি:ভালোবাসি,
সিমলা:আমিও,,
এতক্ষণ যার সাথে কথা বলছি সে হলো সিমলা আমার প্রেমিকা,আর আমি তানজিদ,পড়াশুনা শেষ করে বাবার ব্যবসা নিজের কাধে নিলাম,
এমেয়েটারে অনেক ভালোবাসি,মেয়েটাও অনেক ভালোবাসে,আমার অনেক কেয়ার করে, মেয়েটাকে যেদিন প্রথম দেখিছিলাম তখনি ভাল লেগে গেছিলো,
,,,,,
যখন সিমলাকে আমি প্রথমবার দেখেছিলাম তখন আমার এইচএসসি পরীক্ষার ১ না দেড় মাস আছে,আমার পড়াশুনার প্রচুর চাপ,আবার শুধু পড়াশুনা না সকালে একটা বিকালে একটা মোট দুইটা প্রাইভেট পড়াই শখের বসে,,তো রাত দিন এককরে পড়তেছি,একদিন সকালের ঘটনা,,,আমি আমাদের বাসার( (আমি আমার আব্বুর এক বন্ধুর বাসায় থাকি,লোকাটার ছেলে মেয়ে নাই তাই আমাকে তার ছেলের মত দেখে,উনি বলছে উনার বাসাকে নিজের বাসার মত মনে করতে))বাসাটার সামনে একটা চা দোকান আছে, খুব ভালো চা বানাইতে পারে,তো প্রতিদিন এসে চা খাই,সেদিন ও ব্যতিক্রম হয়নাই,
আমি:মামা চা দেন তো
মামা:দিতাছি মামা
আমি:মামা তোমার ব্যবসা কেমন চলতাছে
মামা:আলহামদুলিল্লাহ,
সেসময় হটাৎ কোথায় থেকে রায়হান আসলো
আমি:কিরে দোস্ত কি অবস্থা??
রায়হান:ভালো দোস্ত,
আমি :আচ্ছা তোর তো এ টাইমে ঘুমানোর কথা,উঠে আসলি যে,,সারারাত চ্যাট করে দিনে ১১টা পর্যন্ত ঘুমাস,,মামা আরেকটা চা দেন তো
রায়হান:ভাই আর কইস না,আজকে সুমাইয়ার পরীক্ষা শুরু হবে বল্ল।আমি যেভাবে হোক আসতে হবে,,,
আমি:এত প্যারা কেমনে সহ্য করস
মামা:এ নেন চা,আর মামা কারোরে মন থেকে ভালোবাসলে যেসব প্যারা মনে হয় তা প্যারা লাগে না
আমি:তা ঠিক,তা দোস্ত এক্সাম কয়টায় শুরু
রায়হান:১০টায় তবে ৯:৩০টায় হলে ডুকতে হবে,,৯:০০টায় বের হবে
আমি তাহলে তো ১৫ মিনিট আছে আর
রায়হান::হুম
কিছুক্ষন পর সুমাইয়া আসলো,সাথে আরেকটা মেয়েছিলো,,,রুপের বর্ণনা দিলে শেষ হবে না,,,
রায়হান রে কইলাম:দোস্ত ভাবিরে বল না মেয়েটা কে??আমিতো ক্রাস খাওয়ার জন্য এমন একটা মেয়ে খুঁজতেছি
রায়হান::এই তোর পছন্দ কি মেয়ে একটু মোটাসোটা হওয়া লাগে,আর এটার দাঁত একটার উপড় আরেকটা উঠে রইছে,ছোটবেলা ঠিক মত দাঁত পেলে নাই,,,
আমি:তোরে এত কথা কইতে কইছি,,,তুইতো মোটা তোর গফ ও মোটা এখন আমার গফ এর বদনাম করে,
রায়হান:গফ কয় আবার নামটাই জানে না আবার গফ
এবার রায়হান গেলো মেয়েটারে দোয়া করি দিলো আর আমার স্বপের রানীর পরিচয় আনলো,
মেয়েটার নাম সিমলা সুমাইয়ার ফ্রেন্ড,
আমি:ভাই ভাবিরে কো লাইন করায় দিতে
সুমাইয়ার কারণ এ এত দৌড়াইতে করতে হয় নাই অল্প দিনে লাইন হয়ে যায় তবে শর্ত ছিলো আমার পরীক্ষা তার পরীক্ষা শেষ হলে তারপর রিলেশন এর আগে নাহ আমি অ রাজি
তো এক সময় এক্সাম শেষ হলো প্রেম শুরু কেয়ারিং শেয়ারিং ভালোই চলছিল,,,
তারপর ১৭/৯/১৫ তারিখটা আমার জন্য কাল ছিল,,,আমি ভাবতে পারি নাই সিমলা আমার সাথে এমন একটা প্রতারণা করবে সেদিন আমরা সারাদিন ঘুরার প্ল্যান করলাম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলামও
সব শেষে আসলাম একটা পার্কে,গোধুলিবেলা সূর্য ডুবে যাবে আর একটা দিন শেষ হবে সাথে কালো রাত শুরু ঠিক আমারো সেদিন মনে হয়ে ছিলো জীবনের বেচে থাকার ইচ্ছা সুর্য ডুবার সাথে ডুবে গেলো
সিমলা:আজকের বিকেলটা খুব সুন্দর তাই না??
আমি:হুম তার থেকেও তুমি বেশি সুন্দর
সিমলা:পাম দিতে হবে না,আচ্ছা আমি যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যাই কি করবে
আমি:মারা যাবো আমি
সিমলা চোখ থেকে পানি পরতেছে আর ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করলো
সিমলা:আব্বু আমাকে না বলে বিয়ে ঠিক করে পেলেছে,আমি জানতাম না সত্যি বলছি
আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো সেদিন দুজন দুজনকে ধরে অনেক কান্না করছিলাম,,তারপর শহরটা ছেড়ে নিজের শহরে চলে আসলাম, নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু বার বার সিমলা আমার মনের ভিতর চলে আসতো
তবে এখন আসে না,আর আজকের পত্রিকার যে হেডলাইনে বল্লা আত্মহত্যা এটা আত্মহত্যা নয়,ঠান্ডা মাথায় খুন,,খুনটা আমি করেছি কারণ টা বলি
,
সিমলার বিয়ের একবছর পর,
,
তাওফিক সাহেবের সাথে ব্যবসায়িক কাজে বেশ খাতির হয়,সে তার বাড়িতে দাওয়াত দিলে আমি যাই,আর সেখানে সিমলাকে দেখতে পাই,,আমিতো অবাক,, সে আগের সুন্দর চেহারা কোনো পরিবর্তন নেই,
তাওফিক সাহেব:আমার বউ,আমাদের প্রেমের বিয়ে বুজলেন ভাইসাব
আমি:আপনি প্রেম করে বিয়ে করছেন??
তাওফিক সাহেব :২বছর প্রেম করছি তারপর বিয়ে করছি,
সিমলা আমার সামনে একবার আসলো,, তারপর কাজের মেয়েকে দিয়ে নাস্তা পাঠালো,,,
তাওফিক সাহেব:বুয়া তোমাকে কে পাঠাইছে
কাজের বুয়া:আপামনি
তাওফিক সাহেব:আপামনিকে পাঠাও
কাজের বুয়া:আচ্ছা,
তাওফিক সাহেব:মেহমানকে কেউ কাজের মেয়েকে দিয়ে খাবার পাঠায়,বলেন
আমি:তাওফিক সাহেব উত্তেজিত হওয়ার দরকার নাই,
আমার মাথায় ঘুরতেছে সিমলা কিভাবে আমার সাথে এটা করতে পারলো,,,সিমলা এসেই তাওফিক সাহেবকে বল্ল
:::তাওফিক তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো তিনি চলে গেলেন
আমি:এটা কেন করলে
সিমলা:সেদিন তোমার কিছু ছিলো না,তুমি অন্যের বাড়িতে থাকতে,প্রাইভেট পড়াই হাত খরছ করতে আমি কিভাবে বাবার সামনে তোমায় নিতাম,,,
আমি :অ
রাসা:আমায় ক্ষমা করে দিও
আমি যা বুঝার বুজে গেলাম আর কিছু বললাম না,মনে।মনে ভাবলাম তুই তাওফিকের মত সহজ সরল ছেলেটার জন্যে না তোর জন্যে এখন মৃত্যু,,,,,,,তারপর ঐ বাড়িতে আরেকদিন যেতে হোলো তাকে ক্লোরোফম দিয়া বেহুশ করে ছাদ থেকে পেলে দিলাম,,ভাগ্য ভালো সেদিন তাওফিক সাহেব বাড়ির কাজের লোক কেউ ছিলো নানা,,কিন্তু তাওফিক সাহেব কেন ময়নাতদন্ত করতে দেয় নাই রহস্য থেকে গেল
পরে একদিন তিনি আমায় বলে:আপনার প্রতিশোধ তো নিলেন, এ মেয়েটা লোভী,এর বিয়ের পরও আরেক নাম করা ব্যবসায়ী)র সাথে রিলেশন ছিলো আমার থেকে তার সম্পদ বেশি তাই,,,
আর আজ আমি খুশি আমার সাথে প্রতারণারর প্রতিশোধ নিছি,,,,,,(সমাপ্তি)
খবর এর বিস্তারিত পড়লাম কয়েক বার,এই মেয়েটা আমার একসময়কার প্রেমিকা ছিলো,কিন্তু আত্মহত্যা কেন করলো???
১৭/৯/১৫
মোবাইলে নোটিফিকেশন এর শব্দ হল,,মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি সিমলার মেসেজ,গুড মর্নিং
আমিও রিপ্লাই দিলাম,সুপ্রভাত
কল দিলো এবার
সিমলা:অই তোমার সমস্যা কি,আমি উইশ করলাম ইংরেজিতে তুমি বাংলায় কেন পাঠাইছো?
আমি:আমার কত যুবক ভাই ৫২' সালে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, আর তুমি কিনা বলো বাংলা কেন পাঠালাম?ছিঃ এটা তুমি বলতে পারলে
সিমলা:ওরা তোমার ভাই না নানা,আর তোমারে আমি বলি নাই আমার কমদামি মোবাইলে বাংলা সাপোর্ট করে না,,,
আমি: আচ্ছা নানা কেন হলো,দাদা হয় নাই কেন
সিমলা:তোমার উত্তর দিতে মন চাইতাছে না,এখন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজ গেটে আসো আজকে ক্লাস করবো না তোমার সাথে ঘুরবো,তোমার হাতে সময় মাত্র৩০মিনিট
আমি:ওকে,মহারানীর হুকুম কি অমান্য করতে পারি???
সিমলা:হইছে পাম মারা লাগবে না,বাই
আমি:ভালোবাসি,
সিমলা:আমিও,,
এতক্ষণ যার সাথে কথা বলছি সে হলো সিমলা আমার প্রেমিকা,আর আমি তানজিদ,পড়াশুনা শেষ করে বাবার ব্যবসা নিজের কাধে নিলাম,
এমেয়েটারে অনেক ভালোবাসি,মেয়েটাও অনেক ভালোবাসে,আমার অনেক কেয়ার করে, মেয়েটাকে যেদিন প্রথম দেখিছিলাম তখনি ভাল লেগে গেছিলো,
,,,,,
যখন সিমলাকে আমি প্রথমবার দেখেছিলাম তখন আমার এইচএসসি পরীক্ষার ১ না দেড় মাস আছে,আমার পড়াশুনার প্রচুর চাপ,আবার শুধু পড়াশুনা না সকালে একটা বিকালে একটা মোট দুইটা প্রাইভেট পড়াই শখের বসে,,তো রাত দিন এককরে পড়তেছি,একদিন সকালের ঘটনা,,,আমি আমাদের বাসার( (আমি আমার আব্বুর এক বন্ধুর বাসায় থাকি,লোকাটার ছেলে মেয়ে নাই তাই আমাকে তার ছেলের মত দেখে,উনি বলছে উনার বাসাকে নিজের বাসার মত মনে করতে))বাসাটার সামনে একটা চা দোকান আছে, খুব ভালো চা বানাইতে পারে,তো প্রতিদিন এসে চা খাই,সেদিন ও ব্যতিক্রম হয়নাই,
আমি:মামা চা দেন তো
মামা:দিতাছি মামা
আমি:মামা তোমার ব্যবসা কেমন চলতাছে
মামা:আলহামদুলিল্লাহ,
সেসময় হটাৎ কোথায় থেকে রায়হান আসলো
আমি:কিরে দোস্ত কি অবস্থা??
রায়হান:ভালো দোস্ত,
আমি :আচ্ছা তোর তো এ টাইমে ঘুমানোর কথা,উঠে আসলি যে,,সারারাত চ্যাট করে দিনে ১১টা পর্যন্ত ঘুমাস,,মামা আরেকটা চা দেন তো
রায়হান:ভাই আর কইস না,আজকে সুমাইয়ার পরীক্ষা শুরু হবে বল্ল।আমি যেভাবে হোক আসতে হবে,,,
আমি:এত প্যারা কেমনে সহ্য করস
মামা:এ নেন চা,আর মামা কারোরে মন থেকে ভালোবাসলে যেসব প্যারা মনে হয় তা প্যারা লাগে না
আমি:তা ঠিক,তা দোস্ত এক্সাম কয়টায় শুরু
রায়হান:১০টায় তবে ৯:৩০টায় হলে ডুকতে হবে,,৯:০০টায় বের হবে
আমি তাহলে তো ১৫ মিনিট আছে আর
রায়হান::হুম
কিছুক্ষন পর সুমাইয়া আসলো,সাথে আরেকটা মেয়েছিলো,,,রুপের বর্ণনা দিলে শেষ হবে না,,,
রায়হান রে কইলাম:দোস্ত ভাবিরে বল না মেয়েটা কে??আমিতো ক্রাস খাওয়ার জন্য এমন একটা মেয়ে খুঁজতেছি
রায়হান::এই তোর পছন্দ কি মেয়ে একটু মোটাসোটা হওয়া লাগে,আর এটার দাঁত একটার উপড় আরেকটা উঠে রইছে,ছোটবেলা ঠিক মত দাঁত পেলে নাই,,,
আমি:তোরে এত কথা কইতে কইছি,,,তুইতো মোটা তোর গফ ও মোটা এখন আমার গফ এর বদনাম করে,
রায়হান:গফ কয় আবার নামটাই জানে না আবার গফ
এবার রায়হান গেলো মেয়েটারে দোয়া করি দিলো আর আমার স্বপের রানীর পরিচয় আনলো,
মেয়েটার নাম সিমলা সুমাইয়ার ফ্রেন্ড,
আমি:ভাই ভাবিরে কো লাইন করায় দিতে
সুমাইয়ার কারণ এ এত দৌড়াইতে করতে হয় নাই অল্প দিনে লাইন হয়ে যায় তবে শর্ত ছিলো আমার পরীক্ষা তার পরীক্ষা শেষ হলে তারপর রিলেশন এর আগে নাহ আমি অ রাজি
তো এক সময় এক্সাম শেষ হলো প্রেম শুরু কেয়ারিং শেয়ারিং ভালোই চলছিল,,,
তারপর ১৭/৯/১৫ তারিখটা আমার জন্য কাল ছিল,,,আমি ভাবতে পারি নাই সিমলা আমার সাথে এমন একটা প্রতারণা করবে সেদিন আমরা সারাদিন ঘুরার প্ল্যান করলাম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলামও
সব শেষে আসলাম একটা পার্কে,গোধুলিবেলা সূর্য ডুবে যাবে আর একটা দিন শেষ হবে সাথে কালো রাত শুরু ঠিক আমারো সেদিন মনে হয়ে ছিলো জীবনের বেচে থাকার ইচ্ছা সুর্য ডুবার সাথে ডুবে গেলো
সিমলা:আজকের বিকেলটা খুব সুন্দর তাই না??
আমি:হুম তার থেকেও তুমি বেশি সুন্দর
সিমলা:পাম দিতে হবে না,আচ্ছা আমি যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যাই কি করবে
আমি:মারা যাবো আমি
সিমলা চোখ থেকে পানি পরতেছে আর ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করলো
সিমলা:আব্বু আমাকে না বলে বিয়ে ঠিক করে পেলেছে,আমি জানতাম না সত্যি বলছি
আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো সেদিন দুজন দুজনকে ধরে অনেক কান্না করছিলাম,,তারপর শহরটা ছেড়ে নিজের শহরে চলে আসলাম, নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু বার বার সিমলা আমার মনের ভিতর চলে আসতো
তবে এখন আসে না,আর আজকের পত্রিকার যে হেডলাইনে বল্লা আত্মহত্যা এটা আত্মহত্যা নয়,ঠান্ডা মাথায় খুন,,খুনটা আমি করেছি কারণ টা বলি
,
সিমলার বিয়ের একবছর পর,
,
তাওফিক সাহেবের সাথে ব্যবসায়িক কাজে বেশ খাতির হয়,সে তার বাড়িতে দাওয়াত দিলে আমি যাই,আর সেখানে সিমলাকে দেখতে পাই,,আমিতো অবাক,, সে আগের সুন্দর চেহারা কোনো পরিবর্তন নেই,
তাওফিক সাহেব:আমার বউ,আমাদের প্রেমের বিয়ে বুজলেন ভাইসাব
আমি:আপনি প্রেম করে বিয়ে করছেন??
তাওফিক সাহেব :২বছর প্রেম করছি তারপর বিয়ে করছি,
সিমলা আমার সামনে একবার আসলো,, তারপর কাজের মেয়েকে দিয়ে নাস্তা পাঠালো,,,
তাওফিক সাহেব:বুয়া তোমাকে কে পাঠাইছে
কাজের বুয়া:আপামনি
তাওফিক সাহেব:আপামনিকে পাঠাও
কাজের বুয়া:আচ্ছা,
তাওফিক সাহেব:মেহমানকে কেউ কাজের মেয়েকে দিয়ে খাবার পাঠায়,বলেন
আমি:তাওফিক সাহেব উত্তেজিত হওয়ার দরকার নাই,
আমার মাথায় ঘুরতেছে সিমলা কিভাবে আমার সাথে এটা করতে পারলো,,,সিমলা এসেই তাওফিক সাহেবকে বল্ল
:::তাওফিক তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো তিনি চলে গেলেন
আমি:এটা কেন করলে
সিমলা:সেদিন তোমার কিছু ছিলো না,তুমি অন্যের বাড়িতে থাকতে,প্রাইভেট পড়াই হাত খরছ করতে আমি কিভাবে বাবার সামনে তোমায় নিতাম,,,
আমি :অ
রাসা:আমায় ক্ষমা করে দিও
আমি যা বুঝার বুজে গেলাম আর কিছু বললাম না,মনে।মনে ভাবলাম তুই তাওফিকের মত সহজ সরল ছেলেটার জন্যে না তোর জন্যে এখন মৃত্যু,,,,,,,তারপর ঐ বাড়িতে আরেকদিন যেতে হোলো তাকে ক্লোরোফম দিয়া বেহুশ করে ছাদ থেকে পেলে দিলাম,,ভাগ্য ভালো সেদিন তাওফিক সাহেব বাড়ির কাজের লোক কেউ ছিলো নানা,,কিন্তু তাওফিক সাহেব কেন ময়নাতদন্ত করতে দেয় নাই রহস্য থেকে গেল
পরে একদিন তিনি আমায় বলে:আপনার প্রতিশোধ তো নিলেন, এ মেয়েটা লোভী,এর বিয়ের পরও আরেক নাম করা ব্যবসায়ী)র সাথে রিলেশন ছিলো আমার থেকে তার সম্পদ বেশি তাই,,,
আর আজ আমি খুশি আমার সাথে প্রতারণারর প্রতিশোধ নিছি,,,,,,(সমাপ্তি)