একদিন সকালবেলা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে পত্রিকাটা খুলতেই শিরোনামে দেখলেন নতুন এক আবিষ্কারের খবর। কিন্তু একি! আবিষ্কারক এক ডলফিন। টিভি খুলতেই চোখে পড়লো একজন মানুষ উপস্থাপকের পাশে বসে খবর পড়ছেন এক হাতি। আর অফিসে গিয়ে দেখলেন আপনার সহকর্মীর জায়গায় একটি গরু চশমা পরে বেশ গুরুগম্ভীরভাবে কাজ করছে।
না, বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কারণ এটি একটি থট এক্সপেরিমেন্ট বা চিন্তন পরীক্ষা। কোনো প্রাণীই মানুষের মতো বুদ্ধিমান নয়। তবে কেমন হতো যদি আমাদের এই পৃথিবীর পুরো প্রাণীজগৎটাই মানুষের মতো বুদ্ধিমান হতো?
কেমন হতো যদি মাদাগাস্কার, জুটোপিয়া, সিং কিংবা আইস এজের মতো জনপ্রিয় সব অ্যানিমেশন ফিল্ম বাস্তবতায় পরিণত হতো? সিনেমার সেই চরিত্রগুলোর মতো সব বুদ্ধিমান প্রাণীদের বন্ধুত্বসুলভ এক জগৎ গড়ে উঠতো মানুষের সাথেও? নাকি ফলাফল হতো ভয়ঙ্কর? প্ল্যানেট অফ দ্য এপস মুভি সিরিজের মতো মানবজাতিকে দাস বানিয়ে রাজত্ব করতে চাইতো কোনো প্রাণী? নাকি মানুষকে পেছনে ফেলে কোনো প্রাণী বসতো রাজার আসনে? আর মানুষ হতো তার প্রজা? শিকার করার নীতি নৈতিকতার বিষয়টি কেমন হতো? শেষ পর্যন্ত জয়টা কি মানুষের হতো? নাকি শিকারি প্রাণীদের অথবা অনুজীবীদের?
শুনতে কিম্ভুতকিমাকার আর আজগুবি মনে হলেও অদ্ভুত এই চিন্তন পরীক্ষা থেকে পৃথিবীর বিশিষ্টতম প্রভাবশালী প্রাণী হিসেবে মানুষের সম্বন্ধে হতাশাজনক কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। অদ্ভুত এই চিন্তার ফলাফল কী হতে পারে তা নিয়েই আজকের এই লেখা।