ইসলামের আলোকে জ্ঞান চর্চা
ইসলামে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। এগুরুত্বের কারণেই আল্লাহ তা'আলা প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সর্বপ্রথম শিক্ষা দান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, وَعَلَّمَآدَمَالْأَسْمَاءَكُلَّهَاثُمَّعَرَضَهُمْعَلَىالْمَلاَئِكَةِفَقَالَأَنْبِئُوْنِيْبِأَسْمَاءِهَـؤُلاَءِإِنْكُنْتُمْصَادِقِيْنَ- 'আর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দেন। তারপর সেসমস্ত বস্ত্ত ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। অতঃপর আল্লাহ বলেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক' (বাক্বারাহ ৩১)। জ্ঞানই সব কিছুর ভিত্তিমূল। জ্ঞানের আলোকেই মানুষ ন্যায়-অন্যায় ও ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। জ্ঞান তথা শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই রচিত হয় জাতিসত্তা। কোন জাতির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হ'ল শিক্ষা। জাতীয় আশা-আকাঙ্খা পূরণ, জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে চরিত্র গঠন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে ও বিভাগে নেতৃত্বদানের উপযোগী ব্যক্তিত্ব তৈরি করা কেবলমাত্র উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। জাতীয় ঐক্যও সংহতির প্রধান উপকরণও শিক্ষা।
কোন জাতিকে একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হ'লে সেই জাতির লোকদেরকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। যখন তারা সেই আদর্শ অনুযায়ী তৈরি হবে তখনই একটি সফল সামাজিক বিপ্লব সাধন সম্ভব। মহানবী (ছাঃ) মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে জাহেলিয়াতের গাঢ় অন্ধকারে নিমজ্জিত ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন জাতিকে একটি বিশ্ববিজয়ী জাতিতে পরিণত করতে সক্ষম হন। আর এজন্য তিনি হেরা পর্বতের চূড়া থেকে নেমে আসা ইসলামের সর্বপ্রথম বাণী 'ইক্বরা'র পথ ধরেই সামনে অগ্রসর হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন, اقْرَأْبِاسْمِرَبِّكَالَّذِيْخَلَقَ- خَلَقَالْإِنْسَانَمِنْعَلَقٍ- اقْرَأْوَرَبُّكَالْأَكْرَمُ- الَّذِيْعَلَّمَبِالْقَلَمِ- عَلَّمَالْإِنْسَانَمَالَمْيَعْلَمْ- 'পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। পড় এবং তোমার প্রতিপালক মহা সম্মানিত। যিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না' (আলাক্ব ১-৫)।
ইসলামে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। এগুরুত্বের কারণেই আল্লাহ তা'আলা প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সর্বপ্রথম শিক্ষা দান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, وَعَلَّمَآدَمَالْأَسْمَاءَكُلَّهَاثُمَّعَرَضَهُمْعَلَىالْمَلاَئِكَةِفَقَالَأَنْبِئُوْنِيْبِأَسْمَاءِهَـؤُلاَءِإِنْكُنْتُمْصَادِقِيْنَ- 'আর আল্লাহ আদমকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দেন। তারপর সেসমস্ত বস্ত্ত ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। অতঃপর আল্লাহ বলেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক' (বাক্বারাহ ৩১)। জ্ঞানই সব কিছুর ভিত্তিমূল। জ্ঞানের আলোকেই মানুষ ন্যায়-অন্যায় ও ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। জ্ঞান তথা শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই রচিত হয় জাতিসত্তা। কোন জাতির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হ'ল শিক্ষা। জাতীয় আশা-আকাঙ্খা পূরণ, জাতীয় আদর্শের ভিত্তিতে চরিত্র গঠন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে ও বিভাগে নেতৃত্বদানের উপযোগী ব্যক্তিত্ব তৈরি করা কেবলমাত্র উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্ভব। জাতীয় ঐক্যও সংহতির প্রধান উপকরণও শিক্ষা।
কোন জাতিকে একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হ'লে সেই জাতির লোকদেরকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। যখন তারা সেই আদর্শ অনুযায়ী তৈরি হবে তখনই একটি সফল সামাজিক বিপ্লব সাধন সম্ভব। মহানবী (ছাঃ) মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে জাহেলিয়াতের গাঢ় অন্ধকারে নিমজ্জিত ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন জাতিকে একটি বিশ্ববিজয়ী জাতিতে পরিণত করতে সক্ষম হন। আর এজন্য তিনি হেরা পর্বতের চূড়া থেকে নেমে আসা ইসলামের সর্বপ্রথম বাণী 'ইক্বরা'র পথ ধরেই সামনে অগ্রসর হয়েছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন, اقْرَأْبِاسْمِرَبِّكَالَّذِيْخَلَقَ- خَلَقَالْإِنْسَانَمِنْعَلَقٍ- اقْرَأْوَرَبُّكَالْأَكْرَمُ- الَّذِيْعَلَّمَبِالْقَلَمِ- عَلَّمَالْإِنْسَانَمَالَمْيَعْلَمْ- 'পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। পড় এবং তোমার প্রতিপালক মহা সম্মানিত। যিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন, যা সে জানত না' (আলাক্ব ১-৫)।