ফ্লোরিডার সমুদ্র সৈকতে নাকি ইতিহাসের সাক্ষীর দেখা মিলে। সেই ইতিহাসের সাক্ষীকে দেখার জন্য যেকোনো সময়ে সেখান ঢুঁ মারলেই হবে না। সেজন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পূর্ণিমার চাঁদের জন্য। জ্যোৎস্নার আলোয় স্নাত সেই সৈকতের চিকচিক করা বালিতে সেই ইতিহাসের সাক্ষীরা ধীরে ধীরে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। প্রায় ৪৪৫ মিলিয়ন বছরের ইতিহাস প্রত্যক্ষ করে এসেছে এদের পূর্বপুরুষেরা। এদের চোখের সামনে পৃথিবীর বুকে দাপটের সাথে রাজত্ব করেছে বিশালদেহী ডায়নোসররা। এরা তখন নীরব দর্শক হিসেবে শুধু তাদের গর্জন শুনেছে। এরপর পৃথিবীর বুকে হাজারো প্রাণীর উত্থান আর পতন হয়েছে। যুগের আবর্তে পৃথিবীতে আসলো দু'পায়ে হাঁটা মানুষ। আদিম বন্য প্রাণী থেকে সেই মানুষ আজ সভ্যতার ভাস্কর হিসেবে পৃথিবীর সিংহাসনে আসীন হয়েছে। সবকিছু বদলে গেছে। শুধু বদলায়নি সেই ইতিহাসের সাক্ষী আর তার বংশধরেরা। অশ্বখুরের ন্যায় দেখতে উপবৃত্তাকার এই 'জীবন্ত ফসিল' খ্যাত ইতিহাসের সাক্ষীর নাম 'Horseshoe Crab' কিংবা নাল কাঁকড়া।
পৃথিবীর সৃষ্টির প্রথমদিকে আবির্ভূত হওয়া জীবগুলোর মাঝে এই প্রজাতির প্রাণীগুলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে নয়, এরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এদের রক্তের ঔষধি গুণে জীবন বাঁচছে লক্ষ লক্ষ মুমূর্ষ রোগীর। আমাদের আজকের আলোচনায় থাকছে সেই ঐতিহাসিক দর্শকদের জীবনবৃত্তান্ত।