ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর মোজাম্মেলে গভীর রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় আসাসিদের গ্রেফতারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তজুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহমেদ।
ভিকটিমের মা-বাবা জানান, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এক ব্যক্তি তাদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে পানি খেতে চায়। দরজা খুলে পানি দিতে গেলে ৪ থেকে ৫ জন লোক ঘরে ঢুকেই তাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপর তাদের কিশোরী মেয়েকে (১৬) টেনে হিচড়ে ঘর থেকে বাহিরে নিয়ে যায়। পরে ৬ ব্যক্তি ওই কিশোরীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে কিশোরীর গোঙানির শব্দ পেয়ে পার্শ্ববর্তী লোকজন লাইট নিয়ে বের হলে ৬ লম্পট মেয়েটিকে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় তারা দুইজনকে চিনতে পেরেছে বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে। পরদিন মঙ্গলবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবা, মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তজুমদ্দিন উপজেলা শহরে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে চরমোজাম্মেলের ৬নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম মাঝির ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫) ও একই এলাকার রহিম সারেংয়ের ছেলে মনির (২৭) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ এর (সংশোধিত) ২০০৩ এর ৯এর (৩)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৪।
জুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহাম্মদ জানান, পুলিশ কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।