What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মরণ বাঁধ ফারাক্কা (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,573
Messages
119,092
Credits
385,676
Glasses sunglasses
Compass
Compass
Camera photo
Logitech Mouse
Recipe sushi
মরণ বাঁধ ফারাক্কা

মরণ বাঁধ ফারাক্কা। বাংলাদেশ তথা উত্তরাঞ্চলের গলার ফাঁস। যার নাম শুনলেই মরা পদ্মা ডুকরে মাথা কুটে মরে বিস্তীর্ণ বালিগর্ভে। এক কালের প্রমত্তা পদ্মা এখন স্রেফ মরুভূমি।

ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ :

কলিকাতা বন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষা করার অজুহাতে রাজশাহী-চাঁপাই নবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে মাত্র ১১ মাইল (১৮ কিলোমিটার) ভিতরে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ যেলার জঙ্গীপুর গ্রামের ফারাক্কা নামক স্থানে ভারত ১২৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৩ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন এই অভিশপ্ত বাঁধ ১৫৬ কোটি রূপী ব্যয়ে ১৯৭৪ সালে নির্মাণ করে। গঙ্গা নদীর উপরে দেওয়া এ বাঁধটি চালু হয় ১৯৭৫ সালে। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এ সম্পর্কে একটি চুক্তি সম্পাদন করেন, যা 'মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি' নামে পরিচিত। মুজিব-ইন্দিরা যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ফারাক্কা বাঁধ সম্পূর্ণরূপে চালু করার আগে শুষ্ক মৌসুমে প্রাপ্ত পানির পরিমাণ নিয়ে উভয় পক্ষ যাতে সমঝোতায় আসতে পারে, সেজন্য ভারত প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ফিডার ক্যানেল চালু করবে। যুক্ত ইশতেহারের এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারত ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৪১ দিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করেছিল। ভারত বাংলাদেশের কাছে এ মর্মে ওয়াদা করেছিল যে, ৪১ দিনের নির্ধারিত সময়ে ভারত ১১ হাযার থেকে ১৬ হাযার কিউসেক পানি ফিডার ক্যানেল দিয়ে হুগলী নদীতে নিয়ে যাবে। কিন্তু ৪১ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভারত ফিডার ক্যানেল দিয়ে পানি প্রত্যাহার অব্যাহত রাখে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কোন সমঝোতা বা চুক্তি না করেই ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুমে একতরফাভাবে গঙ্গার পানি নিজ দেশের অভ্যন্তরে প্রত্যাহার করে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top