হামহাম জলপ্রপাতঃ এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানাধীন কুরমা বন বিটের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে হাম হাম অথবা হামহাম নামে। আন্তনগর ট্রেনে ভানুগাছ স্টেশন অথবা বাসে হলে শ্রীমঙ্গল নেমে ভানুগাছ হয়ে কুরমা চা বাগানের একেবারে কুরমা বিট অফিস পর্যন্ত গাড়ীতে যাওয়া যায়। বিট অফিসে নাম এন্ট্রি করে অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হয়। সকাল ৯.০০ টা থেকে দুপুর ১২.০০ মধ্যে এন্ট্রি করতে হয়ে। কারণ দেরী হলে ফিরে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। বিট অফিস থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় ৭ থেকে ৭.৫ কিলোমিটার উঁচু-নিচু ও আঁকা-বাঁকা পথে হাঁটতে হয়। জলপ্রপাত পৌঁছতে প্রায় ১.৫ থেকে পৌনে ২ ঘণ্টা সময় লাগবে। ফিরার সময় সোয়া ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টায় আসা যায়। কারণ, যাবার সময় আপনাকে বেশিরভাগ উঁচুতে উঠতে হবে। সর্বশেষ সবচেয়ে উঁচু টিলা পার হয়ে ঝর্ণার পানি প্রবাহিত একটা খাল ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার পার হতে হয়। যাবার পথে শেষ টিলার মাথায় একটি দোকান পাওয়া যাবে। যেখানে- চা, কলা ও বিস্কুট পাওয়া যায়। আবার ঝর্ণায় পৌঁছেও দুই মাথায় দুইটা চায়ের দোকান পাওয়া যাবে। যেখানে খিচুড়ি ও ডিম পাওয়া যায়। সরু রাস্তা ছাড়াও কখনও বাঁশঝাড়ের মাঝখান দিয়ে, কখনও খাড়া ঢাল বেয়ে শুধুমাত্র বাঁশের লাঠি ভর করে যেতে হবে। খালের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় বড় বড় পাথর পার হয়ে যেতে হয়। এত কষ্ট করে যাবার পরে খালের বাঁক ঘুরে যখনই ঝর্ণা দেখা যায়, তখনই সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।
গাড়ী থেকে নামলেই স্থানীয় একদল শিশু ঘিরে ধরে বাঁশের লাঠি কেনার জন্য। দাম মাত্র ৫ টাকা। স্থানীয় যুবকরা ঘিরে ধরে গাইড হিসেবে নেয়ার জন্য। পারিশ্রমিক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। আবার কিছু দোকানী ঘিরে ধরে খাবার অর্ডার নেয়ার জন্য। এরা নানাভাবে দূরত্ব, রাস্তা না চেনা, পথে ক্ষুধা লাগা ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে প্রলোভিত করার চেষ্টা করে। তবে, গাইড না নিয়েও যাওয়া যায়। কারণ, ঝর্ণায় যাবার রাস্তা একটাই।
এডিটঃ সকলের অনুরোধে ৫ম পাতায় ঝর্ণা ও সেখানে যাওয়ার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিগুলো কান্টাস মামার নিজের তোলা।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানাধীন কুরমা বন বিটের দুর্গম এলাকায় অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছে হাম হাম অথবা হামহাম নামে। আন্তনগর ট্রেনে ভানুগাছ স্টেশন অথবা বাসে হলে শ্রীমঙ্গল নেমে ভানুগাছ হয়ে কুরমা চা বাগানের একেবারে কুরমা বিট অফিস পর্যন্ত গাড়ীতে যাওয়া যায়। বিট অফিসে নাম এন্ট্রি করে অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে হয়। সকাল ৯.০০ টা থেকে দুপুর ১২.০০ মধ্যে এন্ট্রি করতে হয়ে। কারণ দেরী হলে ফিরে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। বিট অফিস থেকে পায়ে হেঁটে প্রায় ৭ থেকে ৭.৫ কিলোমিটার উঁচু-নিচু ও আঁকা-বাঁকা পথে হাঁটতে হয়। জলপ্রপাত পৌঁছতে প্রায় ১.৫ থেকে পৌনে ২ ঘণ্টা সময় লাগবে। ফিরার সময় সোয়া ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টায় আসা যায়। কারণ, যাবার সময় আপনাকে বেশিরভাগ উঁচুতে উঠতে হবে। সর্বশেষ সবচেয়ে উঁচু টিলা পার হয়ে ঝর্ণার পানি প্রবাহিত একটা খাল ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার পার হতে হয়। যাবার পথে শেষ টিলার মাথায় একটি দোকান পাওয়া যাবে। যেখানে- চা, কলা ও বিস্কুট পাওয়া যায়। আবার ঝর্ণায় পৌঁছেও দুই মাথায় দুইটা চায়ের দোকান পাওয়া যাবে। যেখানে খিচুড়ি ও ডিম পাওয়া যায়। সরু রাস্তা ছাড়াও কখনও বাঁশঝাড়ের মাঝখান দিয়ে, কখনও খাড়া ঢাল বেয়ে শুধুমাত্র বাঁশের লাঠি ভর করে যেতে হবে। খালের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় বড় বড় পাথর পার হয়ে যেতে হয়। এত কষ্ট করে যাবার পরে খালের বাঁক ঘুরে যখনই ঝর্ণা দেখা যায়, তখনই সব কষ্ট দূর হয়ে যায়।
গাড়ী থেকে নামলেই স্থানীয় একদল শিশু ঘিরে ধরে বাঁশের লাঠি কেনার জন্য। দাম মাত্র ৫ টাকা। স্থানীয় যুবকরা ঘিরে ধরে গাইড হিসেবে নেয়ার জন্য। পারিশ্রমিক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। আবার কিছু দোকানী ঘিরে ধরে খাবার অর্ডার নেয়ার জন্য। এরা নানাভাবে দূরত্ব, রাস্তা না চেনা, পথে ক্ষুধা লাগা ইত্যাদির ভয় দেখিয়ে প্রলোভিত করার চেষ্টা করে। তবে, গাইড না নিয়েও যাওয়া যায়। কারণ, ঝর্ণায় যাবার রাস্তা একটাই।
এডিটঃ সকলের অনুরোধে ৫ম পাতায় ঝর্ণা ও সেখানে যাওয়ার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিগুলো কান্টাস মামার নিজের তোলা।