ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী । ছোটবেলা থেকে এই নামটাই শুনে এসেছি মহানবীর জন্ম ও মৃত্যু দিনকে চিহ্নিত করতে। জ্ঞানতঃ এই দিনটাকে কখনও মুসলিম পরব এঁর দুই ঈদের সাথে কখনও তুলনা করতে দেখিনি বা শুনিনি বা সেই অনুকরণে পালন করে এটা একটা মুসলিম পরব হিসাবে মনে করতেও দেখিনি।
কোন কিছু অপ্রত্যাশিত পেলে বা বেশী পেলে উপমা দিতে দেখেছি আজতো তোমার ঈদ। সাধারন অর্থে খুশী। আরবিতে "ঈদ" শব্দের সাধারন অর্থ পরব। "ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী" কে কোনদিন কোন মুসলিম বা ইসলামিক পরব হিসাবে গ্রহন করে কাউকে 'পারবিক' খুশী হিসাবে পালন করতে দেখিনি বা শুনিনি। এটা জন্মদিন পালন করার মত কোন আনুষ্ঠানিকতাও নয়। যা অন্য ধর্মের অনুকরন হিসাবে অবিহিত করা যাবে। সেটা হলে আগে আমাদের মুসলিম পরিবারে ছেলেমেয়েদের জন্মদিন পালন নিয়ে আমাদের ধর্মীয় গুরুদের সোচ্চার হওয়া উচিত। অথচ হতে দেখিনি। আমার ছোটবেলায় হাতে গোনা কিছু সম্ভ্রান্ত বা ধনী পরিবারে ছেলেমেয়েদের জন্মদিন পালনের ক্রিস্টি দেখে থাকলেও এ বিষয়টা আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে অজানাই ছিল। তখন বা তার অনেক আগে থেকেই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী আমাদের দেশে পালন করা হত। এই দিবস পালনের সংস্কৃতিতে ছিল ইসলাম ধর্ম ও হজরত মুহাম্মদ সাঃ এঁর জীবন ও জীবনাদর্শ সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করে এই দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠান বা সভায় আলোচনা করে ছোট বড় সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়া। স্কুলে এই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি অনুষ্ঠানে মহানবী সাঃ এঁর জীবনী ও জীবনাদর্শ আলোচনা আমার বা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মনে যে প্রভাব বা ধর্মীয় চেতনার সৃষ্টি করেছিল, করত বা করে তা ধর্মের প্রচারে তুলনাহীন ও অপরিপুরক।
১২ই রবিউল আউয়াল হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ও মৃত্যু দিন। এই দিনে ওনাকে স্মরণ করে ওনার জীবনাদর্শ ও জীবনী সম্বন্ধে শ্রদ্ধাভরে আলোচনা, মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি ও সংহতি কামনা করার লক্ষে এই দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বা নামকরন করা হয়েছে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী হিসাবে। মুসলিম পরব এর সমকক্ষ কোন পরব হিসাবে নয়, এটা আমার ও সকলেরই বিশ্বাস। নামকরনে ভুল হতে পারে হয়ত। সে ক্ষেত্রে এই দিনটির অন্য কোন নাম করন করে দিবসটি পালন করে যাবার কোন প্রয়াস গ্রহন করা হয়নি। যারা এই দিবসটির নামকরন করেছিলেন তাঁরা কবে তা করেছেন সে সম্বন্ধে করেছিলেন সে সম্বন্ধে আমার ধারনা না থাকলেও নামকরনটি বুজুর্গ লোকেরাই করেছিলেন এবং এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই করেছিলেন বলে আমার বিশ্বাস।
নামকরনের বিষয়টি ই যদি ধর্মানুসারে এতো আপত্তিকর হয় তাহলে মানুষের নামে মহান আল্লাহ- তা-আলার বিভিন্ন নাম ব্যবহার করার বিষয়ে ধর্মগুরুদের কোন বাধা বা আপত্তি নাই কেন। আব্দুল বা আব্দুর ব্যবহার করে আল্লাহ্র নাম যোগ করে ছেলেদের নাম করন করা হয়। এটা ছাড়াও অন্য ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু আব্দুর রহমান কে কি আমরা আব্দুর রহমান বা আব্দুল করিম কে আমরা পুরো নামে ডাকি! ডাকি রহমান বা করিম বলে। রাগ বা বিরক্তিতে "ওই রহমানের বাচ্চা" বা "ওই শালা করিম" (আল্লাহ মাফ করুন) বলে ডাকি এবং মনের অজানিতে পাপ করছি। এখানে তো কোন বয়ান শুনি নাই যে মহান আল্লাহ তা আলার নাম মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। যেটা করে আমরা চরম অধার্মিক কাজ করছি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আব্দুর বা আব্দুল নামের আগে যোগ করে মহান আল্লাহ্র সেবক বা চাকর হিসাবে আমরা আমাদের মউলানা সাহেবদের কে ছেলেদের নাম রাখতে আল্লাহ্র বিভিন্ন নাম ব্যবহার করার বিষয়টি জায়েজ করার বয়ান দিতে দেখেছি। কিন্তু এই নামের অপব্যবহার এর কারনে যে পাপ হতে পারে সেটার বয়ান বা পরিহার করার বিষয়ে কিছু বলতে শুনিনি। সবচেয়ে বড় কথা মানুষ আল্লাহ তা আলার সেবা করা বা চাকর হবার বিষয়টাও একটা ধৃষ্টতা। আমাদের ধর্মে কোথাও কি উল্লেখ আছে যে আল্লাহ্র কোন দাস বা সেবা কারির প্রয়োজনীয়তা আছে। আর শুধু ছেলেদের নামেই আল্লাহ্র নাম ব্যবহার করা হয়। মেয়েদের নয়। মনের গহীনে আমরা মহান আল্লাহকে কি পুরুষ হিসাবে স্থান দিয়েছি। বরং পবিত্র কুরআন শরিফে নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের চিন্তা করাটাই মনে হয় বিদাত। অথচ এ নিয়ে কোন মাথা বেথা নাই কারও। মাথা বেথা ঈদ-ই-মিলাদুন নবী দিবস নামকরন নিয়ে ও এই দিবসটি পালন বন্ধ করা নিয়ে। যে দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়া গুলিতে আলোচনা ও লেখালিখির মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এঁর জীবনাদর্শ ও জীবনী চর্চার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি, সংহতি ও প্রচারের একটা সমৃদ্ধ সম্ভাবনা বা অবকাশ ছিল তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইসলাম ধর্মের প্রচার বন্ধ করার জন্য এটা একটা ইসলাম ধর্ম বিরোধীদের সুক্ষ পরিকল্পনার অংশ বলেই আমার বিশ্বাস।
(পবিত্র কুরআন শরিফ হতে আহরিত আমার ধর্মীয় চেতনাই আমার এই বিশ্বাসের উৎস।কোন রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হল)
কোন কিছু অপ্রত্যাশিত পেলে বা বেশী পেলে উপমা দিতে দেখেছি আজতো তোমার ঈদ। সাধারন অর্থে খুশী। আরবিতে "ঈদ" শব্দের সাধারন অর্থ পরব। "ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী" কে কোনদিন কোন মুসলিম বা ইসলামিক পরব হিসাবে গ্রহন করে কাউকে 'পারবিক' খুশী হিসাবে পালন করতে দেখিনি বা শুনিনি। এটা জন্মদিন পালন করার মত কোন আনুষ্ঠানিকতাও নয়। যা অন্য ধর্মের অনুকরন হিসাবে অবিহিত করা যাবে। সেটা হলে আগে আমাদের মুসলিম পরিবারে ছেলেমেয়েদের জন্মদিন পালন নিয়ে আমাদের ধর্মীয় গুরুদের সোচ্চার হওয়া উচিত। অথচ হতে দেখিনি। আমার ছোটবেলায় হাতে গোনা কিছু সম্ভ্রান্ত বা ধনী পরিবারে ছেলেমেয়েদের জন্মদিন পালনের ক্রিস্টি দেখে থাকলেও এ বিষয়টা আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে অজানাই ছিল। তখন বা তার অনেক আগে থেকেই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী আমাদের দেশে পালন করা হত। এই দিবস পালনের সংস্কৃতিতে ছিল ইসলাম ধর্ম ও হজরত মুহাম্মদ সাঃ এঁর জীবন ও জীবনাদর্শ সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করে এই দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠান বা সভায় আলোচনা করে ছোট বড় সবার মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়া। স্কুলে এই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি অনুষ্ঠানে মহানবী সাঃ এঁর জীবনী ও জীবনাদর্শ আলোচনা আমার বা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মনে যে প্রভাব বা ধর্মীয় চেতনার সৃষ্টি করেছিল, করত বা করে তা ধর্মের প্রচারে তুলনাহীন ও অপরিপুরক।
১২ই রবিউল আউয়াল হজরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম ও মৃত্যু দিন। এই দিনে ওনাকে স্মরণ করে ওনার জীবনাদর্শ ও জীবনী সম্বন্ধে শ্রদ্ধাভরে আলোচনা, মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি ও সংহতি কামনা করার লক্ষে এই দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বা নামকরন করা হয়েছে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী হিসাবে। মুসলিম পরব এর সমকক্ষ কোন পরব হিসাবে নয়, এটা আমার ও সকলেরই বিশ্বাস। নামকরনে ভুল হতে পারে হয়ত। সে ক্ষেত্রে এই দিনটির অন্য কোন নাম করন করে দিবসটি পালন করে যাবার কোন প্রয়াস গ্রহন করা হয়নি। যারা এই দিবসটির নামকরন করেছিলেন তাঁরা কবে তা করেছেন সে সম্বন্ধে করেছিলেন সে সম্বন্ধে আমার ধারনা না থাকলেও নামকরনটি বুজুর্গ লোকেরাই করেছিলেন এবং এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই করেছিলেন বলে আমার বিশ্বাস।
নামকরনের বিষয়টি ই যদি ধর্মানুসারে এতো আপত্তিকর হয় তাহলে মানুষের নামে মহান আল্লাহ- তা-আলার বিভিন্ন নাম ব্যবহার করার বিষয়ে ধর্মগুরুদের কোন বাধা বা আপত্তি নাই কেন। আব্দুল বা আব্দুর ব্যবহার করে আল্লাহ্র নাম যোগ করে ছেলেদের নাম করন করা হয়। এটা ছাড়াও অন্য ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু আব্দুর রহমান কে কি আমরা আব্দুর রহমান বা আব্দুল করিম কে আমরা পুরো নামে ডাকি! ডাকি রহমান বা করিম বলে। রাগ বা বিরক্তিতে "ওই রহমানের বাচ্চা" বা "ওই শালা করিম" (আল্লাহ মাফ করুন) বলে ডাকি এবং মনের অজানিতে পাপ করছি। এখানে তো কোন বয়ান শুনি নাই যে মহান আল্লাহ তা আলার নাম মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। যেটা করে আমরা চরম অধার্মিক কাজ করছি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আব্দুর বা আব্দুল নামের আগে যোগ করে মহান আল্লাহ্র সেবক বা চাকর হিসাবে আমরা আমাদের মউলানা সাহেবদের কে ছেলেদের নাম রাখতে আল্লাহ্র বিভিন্ন নাম ব্যবহার করার বিষয়টি জায়েজ করার বয়ান দিতে দেখেছি। কিন্তু এই নামের অপব্যবহার এর কারনে যে পাপ হতে পারে সেটার বয়ান বা পরিহার করার বিষয়ে কিছু বলতে শুনিনি। সবচেয়ে বড় কথা মানুষ আল্লাহ তা আলার সেবা করা বা চাকর হবার বিষয়টাও একটা ধৃষ্টতা। আমাদের ধর্মে কোথাও কি উল্লেখ আছে যে আল্লাহ্র কোন দাস বা সেবা কারির প্রয়োজনীয়তা আছে। আর শুধু ছেলেদের নামেই আল্লাহ্র নাম ব্যবহার করা হয়। মেয়েদের নয়। মনের গহীনে আমরা মহান আল্লাহকে কি পুরুষ হিসাবে স্থান দিয়েছি। বরং পবিত্র কুরআন শরিফে নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের চিন্তা করাটাই মনে হয় বিদাত। অথচ এ নিয়ে কোন মাথা বেথা নাই কারও। মাথা বেথা ঈদ-ই-মিলাদুন নবী দিবস নামকরন নিয়ে ও এই দিবসটি পালন বন্ধ করা নিয়ে। যে দিবস পালনের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়া গুলিতে আলোচনা ও লেখালিখির মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এঁর জীবনাদর্শ ও জীবনী চর্চার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি, সংহতি ও প্রচারের একটা সমৃদ্ধ সম্ভাবনা বা অবকাশ ছিল তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইসলাম ধর্মের প্রচার বন্ধ করার জন্য এটা একটা ইসলাম ধর্ম বিরোধীদের সুক্ষ পরিকল্পনার অংশ বলেই আমার বিশ্বাস।
(পবিত্র কুরআন শরিফ হতে আহরিত আমার ধর্মীয় চেতনাই আমার এই বিশ্বাসের উৎস।কোন রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হল)