What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইসলাম ধর্মে লিঙ্গান্তর (লিংগ পরিবর্তন) (1 Viewer)

sum

Member
Joined
Aug 8, 2018
Threads
9
Messages
142
Credits
2,205
ইসলাম ধর্মে লিঙ্গান্তর (লিংগ পরিবর্তন)

এটি জওয়াজ-এ দেখলাম বিষয়টা, ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

প্রশ্নঃ ইসলামিক দৃষ্টিভংগীতে লিংগান্তরকে কিভাবে দেখা হবে? কেউ কেউ আছেন, এদের যদিও পুরুষের শরীর কিন্তু তারা নিজেদেরকে নারীরূপে অনুভব করে, তারা মনে করে তারা পুরুষের শরীরের মধ্যে বন্দী! তারা সল্য চিকিতসা বা অস্ত্রপোচার করে লিংগান্তর করতে চাইলে ইসলামে কি এর অনুমতি আছে? যদি অনুমতি থাকে তাহলে কোরান হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা দিলে উপকৃত হই।

উত্তরে সেখ মূহাম্মাদ ইকবাল নাদভী, ইমাম, ক্যাল্গ্যারি মসজ্জিদ, কানাডা, ভুতপূর্ব অধ্যাপক কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি, সৌদি আরব বলেনঃ

প্রথমেই আমি কিছু মূলবিষয় আলোচনা করে নিতে চাই। যাতে ইসলামের ব্যাখ্যা বুঝতে সহজ হয়।


১. দুই জাতি (জেন্ডার)

মহান শক্তিমান আল্লাহ মানুষকে দুই জাতিতে সৃষ্টি করেছেন, পুরুষ এবং নারী। এই কথা কোরানে বিভিন্ন আয়াতে বলা হয়েছেঃ

হে মানবকূল! তোমরা তোমাদের রব্বকে ভয় কর, যিনি তোমাদিগে সৃষ্টি করিয়াছেন একব্যাক্তি হইতে, এবং তিনি তা হইতে তার সংগিনী পয়দা করেন, তিনি তাদের দুজন হইতে বহু নর-নারী করেন বিস্তার।
-সুরা আন-নিসাঃ আয়াত ১


হে মানব! এক পুরুষ ও এক নারী হইতে তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছি।
-সুরা আল হুজুরাতঃ আয়াত ১৩
তিনি সৃষ্টি করেন যুগল রুপে পুরুষ ও নারী।
-সুরা আন-নাজমঃ আয়াত ৪৫
আকাশ পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই তিনি যা ইচ্ছা তাই সৃজন করেন, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে কন্যা সন্তান দান করেন, এবং যাকে ইচ্ছা তিনি দানেন তাকে পুত্র সন্তান।
-সুরা আস-সুরাঃ আয়াত ৪৯
আল্লাহ সুরা আল ইম্রানের ৩৬ নাম্বার আয়াতে বলেছেন ছেলেতো কন্যার সমতুল্য নয়"


"কসম নর–নারীর সৃষ্টি কর্তার"।
-সুরা আল-লাইলঃ আয়াত ৩



২. ফিত্রা

আল্লাহ, সর্ব শক্তিমান আরো বলেছেন যে তিনি প্রত্যেক মানুষকে নিজস্ব ফিত্রা(স্বভাব) দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, আর যেহেতু স্বভাব এক্টি সহজাত প্রবৃত্তি, সবাই আলাদা আলাদা স্বভাব নিয়েই দুনিয়াতে এসেছে, এবং পুরুষের স্বভাব মেয়েদের থেকে আলাদা।


৩. সৃষ্টিতে পরিবর্তন

মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকালে সয়তানের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কেও পরিস্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষকে ভ্রান্ত পথে নেবার জন্য সয়তান আল্লাহ'র সৃষ্টিকে পরিবতর্ন করবে। আল্লাহ বলেছেন '………তারা পরিবর্তন ঘটাইবে আল্লাহ'র সৃষ্ট সৃষ্টি………"।
-সুরা আন-নিসাঃ আয়াত ১১৯



৪. 'উভয়লিংগ'রা ব্যাতিক্রম

প্রত্যেক নিয়মের ব্যাতিক্রম রয়েছে, সেই মত উভয়লিংগের অধিকারীরাও ব্যাতিক্রম, তারমানেই এটা স্বাভাবিক নয়, এটা শুধু আল্লাহ'র ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ, কেন! তা তিনিই ভাল জানেন।


৫. বিপরীত লিঙ্গের অনুকরন নিষিদ্ধ

প্রিয় মহানবী সাল্লালাহু আলাইহেস সালাম যে ব্যাক্তি বিপরীত লিঙ্গের পোষাক আসাকের অনুকরন করে তাদের প্রতি আল্লাহ'র লানতের কথা বলেছেন। হাদিসটিতে যদিও পোশাকের কথা উল্লেখিত হয়েছে, কিন্তু এখানে নারী পুরুষের ভিন্নতার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। যেখানে পোশাকেই নিষেধাজ্ঞা জারী হয়েছে, পাপের কথা বলা হয়েছে সেখানে লিঙ্গান্তরতো আরো বড় পাপ।


৬. লোভ ও ইর্ষা করিও না

আল্লাহ পাক বলেছেনঃ "তোমাদের কাউকে কাউর দ্বারা আল্লাহ সম্মানিত করিয়াছেন তার লোভ করিও না, পুরুষ যা অর্জে তার অংশ তার এবং নারী যা অর্জে তাও তার প্রাপ্য; আল্লাহর অনুগ্রহ কামনা কর।আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।
-সুরা আন-নিসাঃ আয়াত ৩২



তাহলে বলা যায়, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের মানুষজাতির প্রতিজনকে একটি বিশেষ জাতিভুক্ত(পুরুষ/নারী)করে, এক্টি বিশেষ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, সে হয়ত বিপরীত লিংগের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে,কিন্তু একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের এই বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহ যে ভাবে চেয়েছেন তিনি সেই ভাবেই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।

উপরের অনুসৃতিগুলি থেকে মূল বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়, ইসলাম ধর্মে লিঙ্গান্তর অনুমোদিত নয়। তা করা হলে আল্লাহ'র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করা হবে।

একটি মাত্র ব্যাতিক্রম আছে এই ব্যবস্থার তা'হল, যদি কোন ব্যাক্তি উভয় লিঙ্গ নিয়ে জন্মায়, তা হলে সল্য চিকিতসার মাধ্যমে এক লিংগে রুপান্তর করা যাবে, এটা পরিবর্তন নয় এটা সংশোধন।


এই বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে শেখ এম এস আল-মুনাজ্জিদ, প্রখ্যাত সৌদি ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বক্তা বলেনঃ

'মেয়ে থেকে পুরুষে অথবা পুরুষ থেকে মেয়েতে রুপান্তরের জন্য সল্য চিকিতসা বা অস্ত্রপোচার অনুমোদিত নয়' প্রত্যেক মুসলমানের আল্লাহ কতৃক তার জন্য নির্ধারিত সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। আল্লাহ ভাল জানেন তার বান্দার কিসে মংগল। কোন কোন মহিলা ম নে করেন যদি আল্লাহ তাদেরকে পুরুষ করে তৈরী করতেন তাহলে তারা আল্লাহ'র রাস্তায় যুদ্ধ করতে পারতেন। এটা তাদের মনঃকামনা, তাদের মনঃকামনার জবাব আল্লাহ সুরা আন নিসার ৩২ নাম্বার আয়াতে দিয়েছেন। "তোমাদের কাউকে কাউর দ্বারা আল্লাহ সম্মানিত করিয়াছেন তার লোভ করিও না, পুরুষ যা অর্জে তার অংশ তার এবং নারী যা অর্জে তাও তার প্রাপ্য; আল্লাহর অনুগ্রহ কামনা কর। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।

যদি মনঃকামনাই নিরুতসাহিত করা হয়ে থাকে তা হলে লিংগান্তর অনেক দুরের কথা।

সেখ আব্দুল কারিম আল খুদাইর বলেন 'লিঙ্গান্তর আল্লাহ সৃষ্টিকে পরিবর্তনের সামিল, যেমন সয়তান প্রতিজ্ঞা করেছিল যে সে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তিত করবে।'………তারা পরিবর্তন ঘটাইবে আল্লাহ'র সৃষ্ট সৃষ্টি………"।
-সুরা আন-নিসাঃ আয়াত ১১৯ )


আমরা আল্লাহ'র সাহায্য চাই।

কেমন লাগলো দু-একটা শব্দ হলেও প্লিজ লিখে জানান। আপনাদের মহামূল্যবান মন্তব্যই আমার লেখা শেয়ার করার মূল উদ্দেশ্য।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top