What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,574
Messages
119,132
Credits
374,289
Computer
Glasses sunglasses
Compass
Compass
Camera photo
Logitech Mouse
সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক

আল্লাহ তা'আলা মানুষকে এ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে একমাত্র তাঁরই ইবাদতের নিমিত্তে সৃষ্টি করেছেন (যারিয়াত ৫৬)। যুগে যুগে তিনি অসংখ্য নবী ও রাসূলকে প্রেরণ করেছেন, কিতাবসমূহ অবতরণ করেছেন যাতে মানবজাতি তাঁর স্পষ্ট পরিচয় লাভ করতে সক্ষম হয় এবং তাঁর ইবাদত করে এবং তাঁর একত্বের স্বীকৃতি দেয়। ফলে সম্পূর্ণরূপে একমাত্র তাঁরই বিধান যেন বাস্তবায়িত হয়। সমস্ত প্রার্থনা নিবেদন যেন তাঁরই উদ্দেশ্যে হয়। আর এসবের বিপরীতমুখী কোন কর্মকান্ড যেন সম্পন্ন না করা হয়। কারণ এগুলোর বিপরীত বিশ্বাস ও কর্মকান্ডই শিরক তথা তাঁর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করা।
অন্য কথায়, আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ইলাহ বা মা'বূদ সাব্যস্ত করা শিরক। মূলতঃ শিরক হচ্ছে সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ করা। স্রষ্টা হওয়ার জন্য যেসব গুণাবলী প্রয়োজন, সেগুলোর ক্ষেত্রে কোন সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে তুলনা করলে, সে মুশরিক হয়ে যাবে। ক্ষতি করা, উপকার করা, দান করা ও দান না করার একক অধিকারী হওয়া ইলাহী বৈশিষ্ট্য, তথা একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট গুণাবলীর অন্তর্ভুক্ত। আর এসব গুণাবলীর একক অধিকারী হওয়ার কারণে প্রার্থনা করা, ভয় করা, কোন কিছুর আশা করা এবং ভরসা করা কেবলমাত্র তাঁর সাথেই সম্পৃক্ত। সুতরাং যদি কোন ব্যক্তি এসব গুণকে কোন সৃষ্টির সাথে সম্পৃক্ত করে, তাহ'লে সে যেন সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে শরীক সাব্যস্ত করল।
আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে কোন প্রকার মাধ্যম দাঁড় করানো তাঁর প্রভুত্ব, রবূবিয়্যাত ও একত্বের প্রতি চরম আঘাত এবং তাঁর সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করার শামিল। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য এরূপ ধারণা করাকে কিছুতেই অনুমোদন করেন না। তাছাড়া স্বাভাবিক জ্ঞান ও নিষ্কলুষ প্রকৃতিও একে পরিত্যাগ করে এবং সুস্থ প্রকৃতি ও উন্নত স্বভাবের নিকট এটা সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় বলে বিবেচিত।
শিরক হল জঘন্যতম গোনাহ। যার কোন ক্ষমা নেই। শিরক মিশ্রিত যেকোন আমল ইসলামের দৃষ্টিতে মূল্যহীন এবং আল্লাহর নিকটে তা প্রত্যাখ্যাত। কেউ যদি জীবনে একটি শিরকও করে এবং তওবা না করে মৃত্যুবরণ করে, তাহ'লে এই একটিমাত্র শিরকই তার ঈমান ও জীবনের যাবতীয় সৎকর্মকে নিষ্ফল করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। এ ধরনের লোকদের ঈমান ও আমলের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِيْنَ أَعْمَالاً ، الَّذِيْنَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُوْنَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُوْنَ صُنْعاً-
'বলুন, আমি তোমাদেরকে কি সংবাদ দেব নিজেদের আমলের ক্ষেত্রে কারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত? তারা সেসব লোক দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা-সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে আর তারা নিজেরা মনে করছে যে, তারা সৎকর্ম করছে'
(কাহফ ১৮/১০৩-১০৪)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَنْثُوْراً-
'আর আমি তাদের আমলের দিকে অগ্রসর হব, অতঃপর তা (তাওহীদ শূন্য হওয়ার কারণে) বিক্ষিপ্ত ধূলিকণার ন্যায় উড়িয়ে দিব'
(ফুরক্বান ২৫/২৩)।
কেবলমাত্র আল্লাহর তাওহীদের স্বীকৃতি দান, এর সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। ফলে এ পৃথিবীতে আগমনকারী প্রতিটি নবী বা রাসূল সর্বপ্রথম তাওহীদের দিকেই আহবান করেছেন এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য বারবার তাকিদ জানিয়েছিলেন (নাহল ৩৬)। তাওহীদের মর্মবাণী প্রচারের জন্য জীবনের সবচেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত করেছেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। এ বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এ সম্পর্কে খুব কমই গুরুত্বারোপ করা হয়। এমনকি ইসলামের অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় এ বিষয়ে তেমন লেখালেখিও হয় না। ফলে তাওহীদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে তাওহীদের পরিপন্থী বিষয় শিরক মুসলিম সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তার লাভ করেছে। আর শিরক এমনই ভয়াবহ ও জঘন্যতম পাপ যা থেকে বেঁচে থাকা প্রতিটি মানুষের আবশ্যিক কর্তব্য। শিরকের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ)-কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَقَدْ أُوْحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ- '(হে নবী) কিন্তু তোমার কাছে আর তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে ওহী করা হয়েছে যে, তুমি যদি (আল্লাহর) শরীক স্থির কর, তাহ'লে তোমার কর্ম অবশ্য অবশ্যই নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে'
(যুমার ৩৯/৬৫)। পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলা হয়েছে (বাক্বারাহ, ২/২২; নিসা /১১৬; মায়েদাহ ৫/৭২; আন'আম ৬/৮৮)।
এ কারণে বান্দার ওপর সর্বপ্রথম অপরিহার্য বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হ'ল তাওহীদ সম্পর্কে বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জন করা। নিজের ঈমান, আক্বীদা ও যাবতীয় আমল শিরক মুক্ত রাখা, যাতে কোন আমল বরবাদ না হয়। তাওহীদের প্রকৃত জ্ঞান না থাকলে, কোন জ্ঞানই পরিপূর্ণ নয়। তাওহীদবিহীন কোন আমলও গ্রহণীয় নয়। তাছাড়া ইক্বামতে দ্বীনের মূলকথাই হচ্ছে তাওহীদকে সঠিকভাবে হৃদয়ঙ্গম করা ও এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত থাকা। আর এজন্য তাওহীদকে বিনষ্টকারী শিরক নামের মহা অপরাধ সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান রাখা। অন্যথা যেকোন সময় শয়তানের খপ্পরে পড়ে যে কারো ঈমান ও জীবনের সৎকর্মের যাবতীয় সাধনা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। এহেন গুরুতর পরিণতির হাত থেকে যেমন নিজেকে রক্ষা করা আবশ্যক, তেমনি এত্থেকে অন্য সকল মুসলমানকেও রক্ষা করা আবশ্যক। নিম্নে আমাদের বাস্তব জীবনে ও সমাজে প্রচলিত নানা ধরণের শিরক সম্পর্কে আলোচনা করা হ'ল:
আমাদের সমাজে প্রচলিত শিরক : আমাদের দেশের গ্রাম ও শহরে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে শিরক, বিদ'আত ও নানাবিধ কুসংস্কার। কুসংস্কারজনিত এমন শিরক রয়েছে যা এসব দেশের লোকজন ধর্মীয় বিধান বা নিয়ম মনে করেই পালন করে থাকে। যেমন-
 

Users who are viewing this thread

Back
Top