ধরুন প্রশ্নটা এমন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্যানভাস কোনটি ? তবে উত্তরে বলে দেওয়া যায় বার্লিন প্রাচীরের কথা । কেননা ১৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রাচীর একটা সময় রঙ্গিন ক্যানভাসেই রুপ নিয়েছিলো। বিভিন্ন দেশের পর্যটক, স্বাধীন চিত্র শিল্পীরা এই প্রাচীরকে রঙ-তুলি দিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় ।
গ্রাফিতি কি ? এর লিখাতে বা চিত্র অঙ্কনের রকমফের কেমন ? জনসম্মুখে আছে এমন দেয়াল – রাস্তা বা কোন সার্ফেসে জানান দেওয়ার জন্য কিছু লিখা বা চিত্র অঙ্কন করার মাধ্যমেই হল গ্রাফিতি । সেই গুহা চিত্রের সময়কালের যোগাযোগ থেকেই গ্রাফিতির জন্ম বলা যায়, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গ্রাফিতির লিখা ও চিত্রের বক্তব্যের সাথে রাজনীতি,দর্শন, সমাজ, মনস্তাত্ত্বিক বিবিধ বার্তার প্রকাশ ঘটতে থাকে যা রচনা করে আধুনিক গ্রাফিতির নতুন যাত্রা।
Source: Lonely Planet
আমেরিকার রেভ্যুলিওশনের জন্য বিখ্যাত শহর ফিলাডেলফিয়ায় চোরাগুপ্তাভাবে আধুনিক গ্রাফিতি চর্চার শুরু যা নিউইয়র্ক হয়ে শিকাগো পরে বার্লিনের প্রাচীরে গিয়ে শিল্প মর্যাদা পায় আর স্নায়ুযুদ্ধের পর বার্লিন প্রাচীরের গ্রাফিতি ছড়িয়ে পরে সারাবিশ্বময়।
Source: Luiz C. Ribeiro
১৯৬৭ তে শহর ফিলাডেলফিয়ার দেয়ালে দেয়ালে 'কর্নব্রেড' ছব্দনামে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোর গোপনে গ্রাফিতি করতে থাকে, সেই কিশোরের নাম ডেরেল ম্যাক্রেই । ম্যাক্রেই আধুনিক সময়ের প্রথম গ্রাফিতি শিল্পী যদিও তার গ্রাফিতি ছিলো শুধুই ব্যাক্তিকেন্দ্রিক তবে এই কর্ম আমেরিকার অন্যান্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে পরে কিছুদিনের মধ্যেই, গ্রাফিতি হয়ে উঠে বক্তব্য প্রকাশের মাধ্যম। গ্রাফিতি রুপ নেয় আন্দোলনে ।
১৯৭১ সালে ডেরেল ম্যাক্রেই