What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

দেশে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্রের নামে কি নির্যাতন আর ব্যবসা চলছে ? (1 Viewer)

Status
Not open for further replies.

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,762
Messages
23,230
Credits
813,578
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
Ic5l0rC.jpg


বীথি আক্তারঃ মনের গভীরে একটা গভীর অপরাধ বোধ থেকে লিখছি হয়ত। মনের ভেতর যে প্রশ্ন গুলু ঘুরছে সেগুলু হলঃ
বাংলাদেশে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্রে গুলুর ভেতর কি হচ্ছে? কিভাবে রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে? এটার কি কোন জবাবদিহিতার ব্যাবস্থা রয়েছে ? দেখার দায়িত্ব কার? জনগণের কি অধিকার আছে স্বচ্ছ ধারনা পাবার? সম্প্রতি আমরা টিভিতে কিশোর অপরাধ কেন্দ্রের কিছু ঘটনা জানতে পেরেছি তা কি যথেষ্ট?
তাহলে কি করব আমরা যখন আমাদের কিশোর কিশোরীরা যখন ঘাতক মাদক দ্রব গাঁজা, ফেন্সিডিল বা ইয়াবার কবলে পরলে? কোথায় যাব? কিভাবে বাঁচাব আমাদের যুব সমাজকে ? এই প্রশ্নই বা কাকে করব?
ধরে নিচ্ছি বাংলাদেশে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্রে অনেকে ভাল হয়ে ফিরছে। কিন্তু তাদের পিছনে কত টাকা খরচ করে কি সার্ভিস পাচ্ছি তা অজানাই থেকে যাচ্ছে অভিবাবকদের। বাংলাদেশের মানুষের সেই নুন্যতম অধিকারটুকু নেই যে সে তার প্রাপটুকু বুঝে নিবে।
বাংলাদেশের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের রুগিদের মধ্য সিংভাগ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের । তারা রুগিদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই সব কেন্দ্রে দিয়ে থাকেন মাসিক ১০ থেকে ৪০ হাজার ( ভাল পরিবেশ চাইলে আরও বেশি ) টাকার বিনিময়। যেখানে ৩ থেকে ৬ মাসের কোর্সে লাখ টাকার বেশি । বিনিময় কি খাবার পাচ্ছে ? কি ডাক্তার পাচ্ছে ? অথবা ঘুমানোর একটু ভাল জায়গা পাচ্ছে কি ? না অজানা গোপন এই বিষয়গুলা । মানবধিকার সংস্থা কিংবা পুলিশ এখানে নিরব। কিছু কিছু কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেল ভেতরে পুলিশ সাংবাদিক বা টিভি রিপোর্টার প্রবেশ নিষেধ।
এবার কিছু ঘটনার দিকে তাকাইঃ
ঘটনার ১। মিরপুরে একটি স্বনামধন্য মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্রে ছেলেটি উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে নতুন এসেছে এখনও নিয়ম গুলা জানে না। খাওয়ার অযোগ্য খাবার থেকে বলল খেতে পারবে না, তার জন্য তাকে ৪ দিন কোন খাবার দেয়া হল না। ৩ দিন পর তার অভিবাবক এসেছে কোন ভাল খাবার নিয়ে কিন্তু তাকে দেখা করতে দেয়া হল না। খাবার রেখে দেয়া হল যা অফিস রুম থেকেই সব শেষ । ছেলেটি জানতেও পারল না কিছু। এদিকে যে ছেলেটি সারাজীবন ভাল খেয়ে অভ্যস্থ যার মাদকাসক্তি চিকিৎসায় লাখ টাকা খরচ করে এখানে দেয়া হয়েছে সে ৩ য় দিন থেকে কারও পরে যাওয়া খাবার খেতে শুরু করল। স্টাফরা পরোটা হালুয়া খেয়ে প্যাকেট গুলা ফেলে রাখলে তা থেকে চেটে চেটে খেতে শুরু করল। চিকিৎসা হল :( কিন্তু এটা কতটা মানবতাপুর্ন আমার জানা নেই। নাম মাত্র ডাল আর আলু সিদ্ধ যাকে ভর্তা বলা যায় না
সেটা দিয়েই খেতে হয়।এমন একটা সময় আসে যখন উচ্চ বিত্ত ঘরের ছেলেও এই সিদ্ধ আলু চুরি করে খায় :( লাখ লাখ টাকা দিয়ে তারা জেল থেকেও কষ্টে থাকে।
ঘটনার ২। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে বলেছিল পেট ব্যথা করছে তার নাকি গ্যাস্টিক আছে , যাইহোক সাথে সাথে সিনিয়র রা পিটানোর জন্য লাঠিতে গামছা পেঁচান (যাতে দাগ না হয়) কিছু একটা নিয়ে এল। এই পেট ব্যথার চিকিৎসা হচ্ছে ৩ জগ পানি খেতে হবে। একই চিকিৎসা মাথা ব্যাথার জন্য সেক্ষেত্রে দেয়া হয় দেয়ালে মাথায় ঢুয়া । এভাবে যেই ফলাফল পাওয়া যাক না কেন বাকি ৪ মাস যে আর অসুখ হবেই না সেটাতে গ্যরান্টি আছে। তবে গুরুতর অসুখে ব্যতিক্রম আছে।
এখানেই শেষ নয়, এই সব কেন্দ্রে রয়েছে ৫০ জনের অধিক লোকের জন্য একই রুমে ফ্লোর এ ঘুমানোর সুব্যবস্থা যা কতটা সাস্থস্মমত বলা মুশকিল । এটা স্লোগান হয়ে গেছে "এক সাথে এতগুলা ভাল মানুষ থাকতে পারত না মাদকাসক্ত বলেই সম্ভব" তাছারা অপচয় কারি শয়তানের ভাই স্লোগানে সারাদিন বিদ্যুৎ তো বন্ধ থাকছেই রুগিদের গোপন রুমে দেখার কেউ নেই।:( তা ছারা চলে কিছু অন্তরালের অপরাধও। গোপনে জানা গেল এখানে অনেক ফেরারি আসামিরা নিরাপদ আশ্রয় নেন আর পুলিশের তো ভেতরে যাবার অনুমতি টাকা দিয়ে বন্ধ করাই আছে :( তাছারা কোন অভিবাবক টাকা আর মাদকসেবী বলে তথ্য দিলে তাকে তারা নিজ দায়িত্তে ধরে নিয়ে আটকে রাখবে তা সে মাদকাসক্ত হোক বা না হোক । কারন এক এক জনের পিছনে রয়েছে রয়েছে ভাল ব্যাবসা। এভাবে দিনের পর দিন চলে নির্যাতন আর এতো ভয় দেখানো হয় যাতে তারা বাসায় ফিরেও সত্যি কথা না বলে। বললেও অভিবাবক তা নিয়ে আর ফিরে তাকায় না কারন তারা তাদের সন্তানদের গোপনে ওখানে দেয় যাতে কেউ পরে ওই মাদকাসক্তি ছেলেটি সমাজে স্বাভাবিক ভাবে মিশতে পারে। আর এইভাবে অভিযোগ গুলুও গোপন হয়ে যায় ।
আর যদিও কার কোন অভিযোগ থাকে তা ওদের ক্ষমতার জোড়ে নগণ্য হয়ে যায়।
তাছারা এটাও স্বাভাবিক এই সব ভরসা হারানো ছেলেদের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।
সেই সুযোগে এরা হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। তাছারা ভাববেন না এই সব কেন্দ্রের ছেলেরা বেকার থাকে তারা কিন্তু বেস কর্মঠ যেমন মিরপুরে গোল্ডেন লাইফ মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও নিরাময় কেন্দ্রের পাশে বুশরা ক্লিনিক এর সব কাপড় কোন লন্ড্রি তে দেয়া হয় না সেগুলু ধোয়ানো হয় এই মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রে । গোপন খবরে জানা গেল এলাকার বড় বড় লোক এমন কি ট্রাফিক পুলিশ ও ভাগ পায় এই লাভের তাহলে আর মুখ চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা কি ? এদের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে কেউ জানে কি ? ব্যাবসা কতটা হালাল তার হিসেব বাংলাদেশ সরকারকে দিতে তারা ভুলে যায় কিন্তু এই হিসেব উপরওয়ালাকে একদিন দিতে হবে ।
তো কি করবেন ? যখন আপনার ছেলে বা পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পরলে ? মাদকাসক্ত থেকে মুক্ত করা একটি জটিল ও দুঃসাহসিক ব্যাপার তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না । হাল না ছেরে বিভিন্ন উপায়ে চেস্টা করে দেখা যেতে পারে।
পরিবার মানুষের সকল শিক্ষার উৎস তাই পরিবারেই রেখে পুনর্বাসন করতে হবে। দরকারে পারিবার নিয়ে পরিবেশ পরিবর্তনে দূরে স্থায়ী সম্ভব না হলেও অস্থায়ী ভাবে চলে যাওয়া যেতে পারেন। তার সাথে কথা বলে সিধান্ত নিন সে কি চায় ? বেকার না রেখে কোন কাজে যুক্ত করাতে হবে দ্রুত। এমন কি পড়াশুনা করতে না চাইলে জোর না করে কোন কাজে দিয়ে দেয়া যেতে পারে। কোন ভাল মনোবিজ্ঞানের ডাক্তার এর সাথে রুগিকে নিয়ে কথা বলে দেখা যেতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আবার খুব কমার্শিয়াল ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ভাল কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া যেতে পারে যেমন সরকারি কোন বড় হাসপাতালের ডাক্তার। তাছারা ভালবাসার কোন বিকল্প নাই ভালবেসে অনেক কিছুই সম্ভব তাই ভালবেসে চেস্টা করতে হবে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম কে সঠিক পথ দেখাতে। সর্বপরি বাংলাদেশের জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। সর্বসহা না হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে রক্ষা করতে হবে নিজেদের পরিবার নিজেদের সমাজ আর নিজেদের দেশকে।
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top