What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

নাগরিকের পাসপোর্ট ও ভিসার প্রয়োজন হয় কেন? (1 Viewer)

MECHANIX

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Apr 12, 2018
Threads
695
Messages
11,929
Credits
228,361
Audio speakers
Cake Chocolate
Soccer Ball
Profile Music
Bikini
FilISgS.jpg


আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে একটি পাসপোর্ট ও ভিসার, আমরা সবাই জানি এটা। একটি পাসপোর্ট যেকোনো দেশের নাগরিকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল বা প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে।

যেকোনো দেশই চায় সে স্থানে কি পরিমাণ লোক প্রবেশ করছে ও দেশ ছেড়ে যাচ্ছে তার সঠিক হিসাব ও তথ্যাদি সংরক্ষণ করতে। একটি পাসপোর্ট এই ব্যবস্থায় তথ্য সংরক্ষণ করার একক রূপে কাজ করে।

নিখুঁতভাবে এসব তথ্য সংরক্ষণের প্রধান কারণ হল নিরাপত্তা। আপনি কখন দেশ ছাড়ছেন, কখন দেশে আসছেন বা কখন এক বন্দর পাড়ি দিয়ে আরেক বন্দরে যাচ্ছেন এটি জানার অধিকার ও প্রয়োজন উভয়ই আছে একটি রাষ্ট্রের।

পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয় সরকারি একটি বিভাগের মাধ্যমে যেটি নাগরিকের ব্যক্তিগত ও জাতীয় তথ্যাদি একটি আন্তর্জাতিক রূপরেখায় নকশা, উন্নয়ন ও বিস্তার ঘটিয়ে থাকে একটি ছোট বইয়ে যা ব্যবহার করে কোনো নাগরিক অন্য দেশের ভিসা পেতে পারে অথবা প্রবেশ করতে পারে।

বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের চেহারা বিভিন্ন হলেও সব পাসপোর্টের নকশাই করা হয় একটা আন্তর্জাতিক কোড বা রীতি মেনে। পাসপোর্টের সকল নাম্বারিং ও কোড আর নিরাপত্তা-জনিত অংশগুলি পৃথিবীর সব রাষ্ট্র দ্বারাই গৃহীত হয়।

যেহেতু একটি আন্তর্জাতিক কোড মেনেই পাসপোর্টে তথ্য প্রদান করা হয়, যেকোনো নকল পাসপোর্ট সনাক্ত করতেও ঝামেলা পোহাতে হয় না কোনো রাষ্ট্রের।

পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে নিশ্চিত করতে হয় তিনি জন্মসূত্রে বা অন্য উপায়ে সে দেশেরই একজন বৈধ নাগরিক। এছাড়াও আরো বেশকিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান সাপেক্ষেই নাগরিকের জন্য পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে রাষ্ট্র।

আপনার পাসপোর্টের তথ্যাদি শুধু আপনার দেশের সরকারের কাছেই থাকে না। পৃথিবীর সব সরকারই প্রয়োজনে আপনার পাসপোর্ট এর সব তথ্য পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ করতে পারে কোনো সরকারি ডাটাবেজ শেয়ারের মাধ্যমে।

ভিসা হল পাসপোর্টে সংযুক্ত কোনো অনুমতিপত্র যা পাসপোর্টের মালিককে কোনো দেশে প্রবেশ, পড়াশোনা, ভ্রমণ বা কাজের দাপ্তরিক অনুমতি প্রদান করে। ভিসারও রয়েছে আলাদা আন্তর্জাতিক কোড যা সব রাষ্ট্রের জন্যই একই এবং সার্বরাষ্ট্রিক।

DUCLitp.jpg


Source: Pinterest

অনেক দেশই অন-এরাইভাল ভিসা প্রদান করে থাকে। এ ধরণের ভিসা ব্যবস্থায় কোনো ভ্রমণকারী কোনো দেশ বা বন্দরে প্রবেশ করে সেখানকার ভিসার প্রাপ্তির জন্য আবেদন করে থাকে। অন্য সকল ক্ষেত্রেই ভ্রমণের পূর্বেই নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রদান সাপেক্ষে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হয়।

একটি কনসার্টে প্রবেশের জন্য যেমন একটি টিকেট প্রয়োজন কিংবা এলকোহল কিনার জন্য আপনার লাইসেন্স প্রয়োজন, কোনো দেশ ভ্রমণের জন্য ভিসার কাজও তেমনি।

তুলনাটা হাস্যকর ঠেকলেও ব্যাপারটা এমনই তবে অনেক বেশি নিরাপদ ও গোছানো ধারার।

পড়াশোনা, ভ্রমণ, ব্যবসা বা কাজ যে প্রয়োজনেই ভিসা দেয়া হোক না কেন, ভিসা প্রাপ্তির পর যেকোনো ব্যক্তি ভ্রমণরত দেশের নাগরিকের মতই একই রকম কার্যকলাপ, সুযোগসুবিধা ও অধিকারে লিপ্ত হতে পারে।

কোনো দেশে ভ্রমণের সক্ষমতা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার পাসপোর্টটি কি ধরণের তার উপর। কিছু ব্যক্তি মাল্টিপল পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব লাভ করতে পারে কোনো হ্যাপা ছাড়াই বৈধভাবে।

একটানা অনেক দেশ ভ্রমণে এ ক্ষেত্রে আপনার সঠিক উপায়ে সময় নিয়ে সব দেশেরই ভিসা প্রাপ্তির পালা শেষ করতে হবে।

কোনো স্থায়ী নাগরিক যিনি এক দেশের বাসিন্দা কিন্তু কাজের সুবাদে অন্য দেশে থাকছেন তিনি অনেক ক্ষেত্রে চাইলে দুই দেশের দুটি পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন যদিও বাংলাদেশি সকল নাগরিক এ সুবিধা ভোগ করতে পারে না বাংলাদেশের গায়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশের তকমা আছে বলে।

আপনার স্টাডি ভিসা বা বিজনেস ভিসা থাকলেই যে আপনি যখন খুশি নিজ দেশে বা অপর দেশে অবাধ প্রবেশ করতে পারবেন, ব্যাপারটি এমন কিন্ত এমন নয়।

পাসপোর্ট ও ভিসা এভাবেই আপনার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিচয়ের মাপকাঠি রূপে কাজ করে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top