What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

কোকাকোলা: বিশ্ব মাতানো অদ্বিতীয় পানীয় (1 Viewer)

Nagar Baul

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,152
Messages
13,339
Credits
547,766
Pen edit
Sailboat
Profile Music
বাজারে যে বছর প্রথম এসেছিলো সেইবার মাত্র ২৫ বোতল বিক্রি হওয়া পানীয়টির আজ সারা বিশ্বে একদিনে বিক্রির পরিমাণ প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনজন ব্যক্তি গোপনে পানীয়টির ফর্মুলা পেপসি নামের অন্য একটি পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বেঁচতে চেয়েছিলো তবে ভাগ্য সহায় ছিলো সেবার। খোদ পেপসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সেই পানীয় কোম্পানী এবং এফ.বি.আই'কে অবহিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বিশেষত ৮০ দশকের দিকে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খানাদানার পাশাপাশি বাঙ্গালীরা পাশ্চাত্য খানার প্রতি আগ্রহ বেড়ে ঝুঁকে পড়ে পানীয়টির দিকে। সে লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে আব্দুল মোনেম বেভারেজের হাত ধরে প্রবেশ করে কোকা কোলা কোম্পানী বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীরা পরিচিত হয় সেই ঝাঁঝালো স্বাদের কোমল পানীয়টির সাথে যার নাম কোকা কোলা যা অল্পসময়েই সারাবিশ্বে ব্যাপক সাড়া জাগায়।

দ্যা কোকা কোলা কোম্পানী:

৮৩.৮ বিলিয়ন ডলার নীট মূল্যের কোম্পানীটির ইতিহাস জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে প্রায় ১৩০ বছর আগে যখন ১৮৮৬ সালের দিকে আমেরিকান রসায়নবিদ জন পেম্বারটন আবিষ্কার করেন কোকা কোলার ফর্মূলাটি। প্রথমত পেম্বারটন আবিষ্কার করছিলো ঔষুধ হিসেবে তবে পরবর্তীতে এটি পানীয়তে রূপান্তর করে বাজারজাতকরণ করার উদ্যোগ নেন আসা গ্রিগস ক্যান্ডেলার। এক ধরণের ঘনীভূত ঘন চিনির ঝাঁঝালো পানীয় উপকরণ যা লোকজন পান করতো মূলত ক্লান্তি বা অবসাদ দূরীকরণের জন্য। পরবর্তীতে কোকা কোলার নামকরণ করেন পেম্বারটনের হিসাবরক্ষক ফ্রাঙ্ক রবিনসন। সংক্ষেপে এটিকে 'কোক' নামেই চেনা হয়।

FmdZFd5.jpg


কোকা কোলা - Source: Press24

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে অবস্থিত 'দ্যা কোকা কোলা কোম্পানী' নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত হয় এই পানীয়। লোকজন মাত্র ৫ সেন্ট ব্যয়ে কিনে নিতো পানীয় যা নিমেষেই দূর করতো ক্লান্তি এবং অবসাদ। বাড়তি সংযোজন হিসেবে বলে রাখি, কোকা কোলার জনক পেম্বারটন মৃত্যুবরণ করেন ১৮৮৮ সালে পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তবে তাঁর আবিষ্কৃত ফর্মুলা হতে উৎপাদিত পানীয় উত্তর কোরিয়া এবং কিউবা বাদে বর্তমান বিশ্বের প্রায় ২০০টিরও বেশি দেশে কোকা কোলা বাজারজাত করা হয় এবং বিশ্বের ৯৬ শতাংশ মানুষ কোকা কোলার লোগো দেখামাত্র শনাক্ত করতে সক্ষম। চিন্তা করা যায় কতোটা জনপ্রিয় কোকা কোলা সারা বিশ্বব্যাপী!!

কোকা কোলা তৈরীর উপাদান সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমত কোকা কোলায় ব্যবহৃত হতো পরিমিত পরিমাণের কোকেইন যার পরিমাণ ছিলো ৯ মিলিগ্রাম প্রতি গ্লাস যার কারণে প্রথমের দিকে কোকা কোলা ছিলো আংশিক মদ্যযুক্ত যা খেলে হতো আসক্তি। পরবর্তীতে ১৯০৩ সালের দিকে কোকা কোলার উৎপাদন সামগ্রী হতে কোকেইন সম্পূর্ণরুপে অপসারন করা হয় এবং এটিকে নন-এলকোহোলিক পানীয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

তবে বর্তমানের কোকা কোলায় পর্যাপ্ত পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি ১২ আউন্সের একটি কোকা কোলার ক্যানে থাকে ৩৯ গ্রামের মতো চিনি।

tt7r4Xq.jpg


কোকা কোলা - Source: YENİ.MOBİ

কোকা কোলা তৈরীতে প্রায় ৯০ শতাংশ থাকে পানি। সাধারণত কোকা কোলার ফিজ বা বাবল তৈরীতে ব্যবহৃত হয় পরিশোধিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এই পানীয়টির সর্বোৎকৃষ্ট মিষ্টি স্বাদ আনতে ব্যবহৃত হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি। এরপর কোকা কোলার রঙে ভিন্নতা আনতে ব্যবহৃত হয় ভিন্ন ধরণের ক্যারামেল কালার। এতে আরোও ব্যবহৃত হয় ফসফরিক এসিড যা পানীয়কে করে অম্ল বা কটু। তাছাড়া সামান্য পরিমাণে ক্যাফেইন এবং স্বাদে ভিন্নতা আনতে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক ফ্লেভার। তবে ডায়েট কোক আর কোকা কোলা জিরো সুগার এই দুই ধরণের কোলা থাকে সম্পূর্ণ চিনিমুক্ত।
 
These are the rules that are to be followed throughout the entire site. Please ensure you follow them when you post. Those who violate the rules may be punished including possibly having their account suspended.

যারা কমেন্ট করবেন, দয়া করে বানান ঠিক রাখুন। উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত কমেন্ট করতে গিয়ে বানান ভুল করবেন না। আমরা যারা কমেন্ট পড়তে আসি, আমাদের কমেন্ট পড়তে অনেক অসুবিধা হয়।

Users who are viewing this thread

Back
Top