What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন করণীয় (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,762
Messages
23,248
Credits
825,298
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
38K5wgr.gif


ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। এডিস মশকী এই ভাইরাস বহন করে। আমাদের দেশে বর্ষাকাল থেকে অর্থাৎ জুন-জুলাই মাসে এই জ্বরের বিস্তার বেশি হয়। সারাবিশ্বে বছরে ৪০০ মিলিয়নের মত লোক আক্রান্ত হয়। এখনও কোন টিকা আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা।

ডেঙ্গু জ্বরের কারণ: ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে চার ধরনের ভাইরাসজনিত ট্রপিক্যাল বা উষ্ণণ্ডলীয় রোগ। এটি সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত এডিস মশকী দ্বারা ছড়ায়।

লক্ষণ:ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়াই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। সাধারণত ডেঙ্গুর জীবাণু কম পরিমাণ হলে বা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হলে এ রকম হতে পারে।দুই ধরণের ডেঙ্গু রোগ লক্ষ্য করা যায়ঃসাধারণ ডেঙ্গু ও রক্তক্ষরণজনিত ডেঙ্গু।সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে রোগীর প্রচণ্ড শরীরব্যথা, মাথাব্যথা,চোখ লাল হয়ে যাওয়া ও চোখব্যথা,চোখ থেকে পানি পড়া,অরুচি বা বমি-বমিভাব ইত্যাদি উপসর্গ থাকে।সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের জ্বর চার-পাঁচ দিনের মধ্যে কমে গিয়ে গায়ে হামের মত রাশ হতে পারে।তারপর এ জ্বর সেরে যায়।কিন্তু হেমোরেজিক ডেঙ্গু সাধারণ ডেঙ্গুর তুলনায় বেশি মারাত্মক এবং সময়মতো সঠিক চিকিৎসার অভাবে তা রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।এ ক্ষেত্রে জ্বরের সাথে সাথে রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ষক্ষরণ হয়।রোগীর জ্বরের সাথে দাঁত ও মাড়ির গোড়া থেকে রক্ত পড়া,নাক দিয়ে বমির সাথে রক্ত পড়া,গায়ে রক্ত জমে ছিটা ছিটা দাগ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।এছাড়া পায়ুপথ দিয়ে রক্তপাত শুরু হতে পারে।আরো মারাত্মক আকার ধারণ করলে এ রোগ থেকে সার্কুলেটরি ফেইলিওর হয়ে আরো নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর রক্তে শ্বেত কণিকারস্বল্পতা লক্ষ করা যায়।

করণীয়ঃবেশির ভাগ ডেঙ্গু জ্বরই সাত দিনের মধ্যে সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়।প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান,বিশ্রাম ও যথেষ্ট পরিমাণ তরল খাবার।সঙ্গে জ্বর কমানোর জন্য এসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল) গ্রুপের ওষুধ। সাধারণ ডেঙ্গুর চিকিৎসা এ-ই।তবে ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।এতে রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে।হেমোরেজিক বা রক্তক্ষয়ী ডেঙ্গু,যা খুবই কম হয়ে থাকে এবং এটা বেশি ভয়াবহ।এতে মৃত্যুও হতে পারে।জ্বর কমানোর জন্য বারবার গা মোছাতে হবে ভেজা কাপড় দিয়ে।জ্বরের সঙ্গে রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখামাত্র হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে বিশেষ চিকিৎসার জন্য।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top