আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানা সমস্যা থাকে, থাকে এর সমাধানও। প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সঠিক কর্মপরিকল্পনা না থাকায় প্রায় সময় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসে না। কিন্তু ক্ষুদ্র জীবনে মানুষের পরিকল্পিত কাজই তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। আর সাফল্য মানুষকে অমর করে রাখে। সাফল্যই হোক পরিকল্পিত জীবনের চাবিকাঠি। তাই এই পথে যে বাধাগুলো আসে আর তার সমাধান নিয়েই আজকের আয়োজন।
আর্থিক সমস্যাঃ কাজে বা সাফল্যের প্রথাগত প্রধান সমস্যা হিসেবে দাঁড়ায় আর্থিক সমস্যা। অল্প টাকা বা টাকা না থাকলে অনেক কাজে ইচ্ছা থাকলেও হাত দেয়া যায় না। 'পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি' বলা হলেও একেবারেই টাকা ছাড়া জীবন চালানো অসম্ভব। এই সমস্যা থেকে বের হতে আপনাকে পরিশ্রমের পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে হবে। এতে করে প্রয়োজনে মানসিক সাপোর্টের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা পাবেন।
ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমস্যাঃ ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে 'জীবনের লক্ষ্য' নির্ধারণ করতে না পারা। আপনি কোন কাজে সাফল্য পাবেন তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার লক্ষ্যের উপর। এই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারলে সারাজীবন আপনাকে ভুল কাজটি করে যেতে হবে যা কোনদিন সাফল্য বা সুখ এনে দেবে না।
আমরা অনেক সময় লক্ষ্য বোঝাতে বা বুঝতে ব্যর্থ হই। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ধরা দেয় না আমাদের। আবার অনেক সময় এমন কিছু ব্যাপার থাকে যা নিজে বুঝতে পারলেও বোঝাতে পারি না কাউকে। তাই আশেপাশে কোনো সাহায্য পাই না। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, লক্ষ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হলেও সেখানে পৌছাতে অক্ষম হই। নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলো মিলিয়ে নিতে চাইলেও অনেক সময় লক্ষ্য অধরাই থেকে যায়।
সামাজিক সমস্যাঃ সফলতা অর্জনের সামাজিক সমস্যার মধ্যে ক্যারিয়ার বা কাজের সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব, পরিবার থেকে সাপোর্ট না পাওয়া, আশেপাশে বা কোনো সহায়তাকারীর সাহায্য না পাওয়া ইত্যাদি প্রধান।
সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য জ্ঞান জরুরি। তাই প্রচুর পড়তে হবে, জানতে হবে সফল ব্যক্তিদের জীবনী। এখন তো ইন্টারনেটের যুগ চাইলে সফল ব্যক্তিদের সম্পর্কে জেনে নেয়া যায়। আবার অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারে নিজের পরিবার। পরিবারকে যেমন জানতে হবে আপনি কী চান বা আপনার কিসে তৃপ্তি, ঠিক তেমনি তাদেরকেও ইতিবাচক মাধ্যমে জানাতে হবে আপনার মনের কথাগুলো। এভাবে সাহায্য অব্যহত থাকলে অনেক অনেক সমস্যার সমাধান বের হয়ে আসে খুব সহজেই।
ক্যারিয়ার বিষয়েই হোক বা পড়াশোনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাহায্যকারী থাকে না। এক্ষেত্রে পরিবারকেই মুখ্য ভূমিকা রাখতে হলেও বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়রাও সাহায্য করতে পারে। তবে বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে।
সময় বণ্টনঃ সফল মানুষদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি হচ্ছে 'সময় বণ্টন'। সময়ের সঠিক বণ্টনে একই সাথে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় একাধিক কাজ সামনে আসে, কিন্তু সময় নেই আপনার হাতে। তখন কোন কাজে হাত দিবেন বা কোন কাজটা আগে করা যায়, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে কাজের কাজ কিছুই হয় না কিন্তু সময় ঠিকই চলে যায়। এমন হলে এতো না ভেবে একটা কাজ শেষ করে অন্যটিতে হাত দেয়া উচিত। আবার সময় না পাওয়া সমস্যার ক্ষেত্রে কোন কাজটি কতক্ষণ করবেন তা নির্ধারণ করে নিতে পারেন। তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ করে শেষ করুন।
প্রতিদিনের রুটিন করে নিতে হবে। কাজ জমিয়ে রাখার অভ্যাস থাকলে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। গুছিয়ে কাজ করলে সময়ের স্বল্পতা অনেকটাই দূর হবে।
তাই জীবনের সফলতা বলেন, ক্যারিয়ার বা সংসারধর্ম, পড়াশুনা যে যেখানেই সফল হতে চান এই বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করলে সাফল্য আসবেই। সাফল্য মনের তৃপ্তির উপর নির্ভর করে। আপনি তৃপ্ত হতে পারলে জীবনের সবটুকুই সাফল্য।
নেট ঠেকে সংগৃহীত
আর্থিক সমস্যাঃ কাজে বা সাফল্যের প্রথাগত প্রধান সমস্যা হিসেবে দাঁড়ায় আর্থিক সমস্যা। অল্প টাকা বা টাকা না থাকলে অনেক কাজে ইচ্ছা থাকলেও হাত দেয়া যায় না। 'পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি' বলা হলেও একেবারেই টাকা ছাড়া জীবন চালানো অসম্ভব। এই সমস্যা থেকে বের হতে আপনাকে পরিশ্রমের পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে হবে। এতে করে প্রয়োজনে মানসিক সাপোর্টের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা পাবেন।
ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমস্যাঃ ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে 'জীবনের লক্ষ্য' নির্ধারণ করতে না পারা। আপনি কোন কাজে সাফল্য পাবেন তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার লক্ষ্যের উপর। এই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে না পারলে সারাজীবন আপনাকে ভুল কাজটি করে যেতে হবে যা কোনদিন সাফল্য বা সুখ এনে দেবে না।
আমরা অনেক সময় লক্ষ্য বোঝাতে বা বুঝতে ব্যর্থ হই। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ধরা দেয় না আমাদের। আবার অনেক সময় এমন কিছু ব্যাপার থাকে যা নিজে বুঝতে পারলেও বোঝাতে পারি না কাউকে। তাই আশেপাশে কোনো সাহায্য পাই না। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, লক্ষ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হলেও সেখানে পৌছাতে অক্ষম হই। নিজের চাওয়া-পাওয়াগুলো মিলিয়ে নিতে চাইলেও অনেক সময় লক্ষ্য অধরাই থেকে যায়।
সামাজিক সমস্যাঃ সফলতা অর্জনের সামাজিক সমস্যার মধ্যে ক্যারিয়ার বা কাজের সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব, পরিবার থেকে সাপোর্ট না পাওয়া, আশেপাশে বা কোনো সহায়তাকারীর সাহায্য না পাওয়া ইত্যাদি প্রধান।
সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য জ্ঞান জরুরি। তাই প্রচুর পড়তে হবে, জানতে হবে সফল ব্যক্তিদের জীবনী। এখন তো ইন্টারনেটের যুগ চাইলে সফল ব্যক্তিদের সম্পর্কে জেনে নেয়া যায়। আবার অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারে নিজের পরিবার। পরিবারকে যেমন জানতে হবে আপনি কী চান বা আপনার কিসে তৃপ্তি, ঠিক তেমনি তাদেরকেও ইতিবাচক মাধ্যমে জানাতে হবে আপনার মনের কথাগুলো। এভাবে সাহায্য অব্যহত থাকলে অনেক অনেক সমস্যার সমাধান বের হয়ে আসে খুব সহজেই।
ক্যারিয়ার বিষয়েই হোক বা পড়াশোনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাহায্যকারী থাকে না। এক্ষেত্রে পরিবারকেই মুখ্য ভূমিকা রাখতে হলেও বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়রাও সাহায্য করতে পারে। তবে বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে।
সময় বণ্টনঃ সফল মানুষদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি হচ্ছে 'সময় বণ্টন'। সময়ের সঠিক বণ্টনে একই সাথে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় একাধিক কাজ সামনে আসে, কিন্তু সময় নেই আপনার হাতে। তখন কোন কাজে হাত দিবেন বা কোন কাজটা আগে করা যায়, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে কাজের কাজ কিছুই হয় না কিন্তু সময় ঠিকই চলে যায়। এমন হলে এতো না ভেবে একটা কাজ শেষ করে অন্যটিতে হাত দেয়া উচিত। আবার সময় না পাওয়া সমস্যার ক্ষেত্রে কোন কাজটি কতক্ষণ করবেন তা নির্ধারণ করে নিতে পারেন। তারপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ করে শেষ করুন।
প্রতিদিনের রুটিন করে নিতে হবে। কাজ জমিয়ে রাখার অভ্যাস থাকলে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। গুছিয়ে কাজ করলে সময়ের স্বল্পতা অনেকটাই দূর হবে।
তাই জীবনের সফলতা বলেন, ক্যারিয়ার বা সংসারধর্ম, পড়াশুনা যে যেখানেই সফল হতে চান এই বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করলে সাফল্য আসবেই। সাফল্য মনের তৃপ্তির উপর নির্ভর করে। আপনি তৃপ্ত হতে পারলে জীবনের সবটুকুই সাফল্য।