তেল এমন একটা রান্নার উপাদান যা না থাকলে চলবেই না। আমরা রান্নায় সাধারণত দুই ধরণের তেল ব্যবহার করি। কেউ পছন্দ করেন সয়াবিন তেল আবার অনেকে সরিষার তেলে রান্না সারেন। তবে সয়াবিনটা রান্নাতে বেশি ব্যবহৃত হয়। আর ভর্তা জাতীয় খাবারে সরিষার তেল।
আমরা সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়াতেই তেল ব্যবহার করি। তেলের উপকারিতা/অপকারিতা নিয়ে তেমন একটা মাথা ব্যথা নেই। অথচ সবার আগে জানা জরুরী তেলের কার্যক্ষমতা।
সরিষা ও সয়াবিন তেল সম্পর্কে কিছু অজানা কথা-
নেট থেকে সংগ্রহ করা
সরিষা ও সয়াবিন তেল সম্পর্কে কিছু অজানা কথা-
- সরিষার তেলকে বলা যেতে পারে প্রাকৃতিক লোশন। অনেকে সারাবছর সরিষার তেল গায়ে মাখেন। গায়ের তাপমাত্রা কমাতে সরিষার তেল বেশ কার্যকরী। সরিষার তেলে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ছত্রাক প্রতিরোধক উপাদান। যা রক্ষা করে ছোঁয়াচে জাতীয় রোগ থেকে ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
- রুপচর্চাতে সরিষার তেলের জুড়ি নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ দূরীকরণে সরিষার তেলের কার্যকরিতা অপরিসীম। তবে একটানা বেশি দিন ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। রমণীরা দীর্ঘ কালো চুল পেতে চাইলে নিয়মিত ব্যবহার করুন খাটি সরিষার তেল।
- সরিষার তেলে যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমন কিছু অপকারিতাও রয়েছে। সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ইউরিক এসিড। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সরিষা তেল লাং ক্যানসারের যেমন ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে তেমনি হার্টের জন্যেও বেশ ক্ষতিকর। আর গর্ভবতী মায়েরা অবশ্যই সরিষা তেল থেকে দূরে থাকবেন।
- সরিষার তেলে রয়েছে ১৯২৭ ক্যালোরি ও এক কাপ তেলে চর্বি থাকে ২১৮ গ্রাম পরিমাণ।
- সয়াবিন তেলে রয়েছে ১৬৬৩ ক্যালোরি ও এক কাপ তেলে চর্বি থাকে ২১৮ গ্রাম পরিমাণ।
- সয়াবিন তেল ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। ত্বক, হাড় ও চোখের জন্য বেশ উপকারী সয়াবিন তেল। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি ভূমিকা রাখে সয়াবিন তেল।
- অপকারিতা হিসেবে সয়াবিন অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস হিসেবে কাজ করে থাকে। অতিরিক্ত সয়াবিন তেল সেবনে ক্যানসার, হার্টের রোগ ও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।