ছিয়াম দর্শন
'ছিয়াম' অর্থ বিরত থাকা। ছুবহে-ছাদিক হ'তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানা-পিনা ও যৌনসম্ভোগ হ'তে বিরত থাকার নাম 'ছিয়াম'। এ সময় মিথ্যা কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়, অন্যায় কাজ এমনকি অন্যায় চিন্তা থেকেও বিরত থাকতে হয়। এমনকি গোপনেও কেউ এক গ্লাস পানি পান করেনা। হঠাৎ কোন মিথ্যা বা গীবত করে ফেললেও সাথে সাথে তওবা করে কেন? কে তাকে নিষেধ করল? এ জন্য তার পিছনে কোনো গোয়েন্দা পুলিশ লাগানো হয়না। এগুলি না করলে তার জেল-ফাঁস হয় না বা দুনিয়াবী কোন শাস্তি হয়না। তবুও কোন দর্শন মানুষকে স্বেচ্ছায় ক্ষুৎ-পিপাসার এই কষ্ট হাসিমুখে বরণ করে নিতে উদ্বুদ্ধ করে? ছোট বাচ্চা পর্যন্ত ছিয়াম রাখার জন্য বে-ক্বারার হয়? কেন কোন সে শক্তি, কোন সে দর্শন?
মানুষের মধ্যে নফসানিয়াত ও রববানিয়াত অর্থাৎ প্রবৃত্তিমুখী ও আল্লাহমুখী দু'টি প্রবণতা সর্বদা কার্যকর রয়েছে। প্রবৃত্তিপরায়ণতা সব সময় মানুষকে দেহ সর্বস্ব চিন্তায় ব্যাকুল রাখে। পক্ষান্তরে রববানিয়াত সর্বদা মানুষকে তার স্রষ্টামুখী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। এ দু'য়ের অহরহ দ্বন্দ্বে মানুষের পরীক্ষা হয়। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে এ পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়। এপরীক্ষায় হার-জিতের উপরেই নির্ভর করে তার ইহকালীন মঙ্গল বা অমঙ্গল এবং পরকালীন জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আর এব্যাপারে তার শেষ আমলটাই কার্যকর হয়।
'ছিয়াম' অর্থ বিরত থাকা। ছুবহে-ছাদিক হ'তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানা-পিনা ও যৌনসম্ভোগ হ'তে বিরত থাকার নাম 'ছিয়াম'। এ সময় মিথ্যা কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়, অন্যায় কাজ এমনকি অন্যায় চিন্তা থেকেও বিরত থাকতে হয়। এমনকি গোপনেও কেউ এক গ্লাস পানি পান করেনা। হঠাৎ কোন মিথ্যা বা গীবত করে ফেললেও সাথে সাথে তওবা করে কেন? কে তাকে নিষেধ করল? এ জন্য তার পিছনে কোনো গোয়েন্দা পুলিশ লাগানো হয়না। এগুলি না করলে তার জেল-ফাঁস হয় না বা দুনিয়াবী কোন শাস্তি হয়না। তবুও কোন দর্শন মানুষকে স্বেচ্ছায় ক্ষুৎ-পিপাসার এই কষ্ট হাসিমুখে বরণ করে নিতে উদ্বুদ্ধ করে? ছোট বাচ্চা পর্যন্ত ছিয়াম রাখার জন্য বে-ক্বারার হয়? কেন কোন সে শক্তি, কোন সে দর্শন?
মানুষের মধ্যে নফসানিয়াত ও রববানিয়াত অর্থাৎ প্রবৃত্তিমুখী ও আল্লাহমুখী দু'টি প্রবণতা সর্বদা কার্যকর রয়েছে। প্রবৃত্তিপরায়ণতা সব সময় মানুষকে দেহ সর্বস্ব চিন্তায় ব্যাকুল রাখে। পক্ষান্তরে রববানিয়াত সর্বদা মানুষকে তার স্রষ্টামুখী চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। এ দু'য়ের অহরহ দ্বন্দ্বে মানুষের পরীক্ষা হয়। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে এ পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়। এপরীক্ষায় হার-জিতের উপরেই নির্ভর করে তার ইহকালীন মঙ্গল বা অমঙ্গল এবং পরকালীন জান্নাত অথবা জাহান্নাম। আর এব্যাপারে তার শেষ আমলটাই কার্যকর হয়।