সিল্ক রোড ছিলো পৃথিবীর দীর্ঘতম ও ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন বাণিজ্য পথের একটি নেটওয়ার্ক, যা চীনের "হান" সাম্রাজ্যের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ব- পশ্চিমের সংযোগ স্থাপনকারী সিল্ক রোড চীনের সাথে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল সমূহের মধ্যে বানিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি শত শত বছর ধরে এটি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০ অব্দ থেকে ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সিল্ক রোড ছিলো ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য বানিজ্য পথ। বর্তমানে পৃথিবীর প্রাচীনতম এই বাণিজ্য পথটি ইউনেস্কো এর "ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট" এর অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এমনকি, চীনা সরকার ঐতিহাসিক এই বাণিজ্য পথটি পুনঃনির্মাণের ও ঘোষণা দিয়েছেন।
সিল্ক রোড এর কি ও সিল্ক রোডের নামকরণঃ
সিল্ক রোড মূলত একক কোনো পথ নয়। এটি অনেক গুলো স্থলভিত্তিক বাণিজ্য পথের সমষ্টি যা চীন, মধ্য এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকার কিছু দেশ ও ইউরোপ কে যুক্ত করেছে। সিল্ক রোড নামটি এসেছে লাভজনক এশিয়ান সিল্ক থেকেই। ঐ সময়ে সিল্ক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই সিল্ক রোডের যাত্রা শুরু হয়। বিলাস বহুল ও মূল্যবান এই পণ্যটি ইউরোপীয় ও মধ্য এশিয়ান্ বণিকদের ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করতে থাকে এবং তারা স্বর্ণ, আইভরি, পশম, কাঁচের জিনিসপত্র , ঘোড়া ইত্যাদির বিনিময়ে চীন থেকে সিল্ক ক্রয় করে নিয়ে যেতো। চীনা সিল্ক বা রেশমকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে উঠে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য। ফলে, পণ্য-দ্রব্য আনা-নেয়া ও সহজ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন হয়ে উঠে একটি নিরবিচ্ছিন্ন বানিজ্য পথের।
প্রাচীন সিল্ক রোডে বিনিময়কৃত বাণিজ্য পণ্য
এই চাহিদা থেকেই খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০ অব্দে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় সিল্ক রোডের। ১৪৫৩ সালে বিখ্যাত অটোমান সাম্রাজ্য চীনের সাথে বানিজ্য বয়কটের পূর্ব পর্যন্ত সিল্ক রোড ব্যবহৃত হতো। এরপর চীন এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। সিল্ক বা রেশম বানিজ্যকে কেন্দ্র করে এই রাস্তা নির্মাণ করা হয় বলে এর নামকরণ করা হয় সিল্ক রোড। সিল্ক রোড কে "সিল্ক রুট" নামেও অভিহিত করা হয়। ১৮৮৭ সালে এই নামকরণ করেন জার্মান ভূতত্ত্ববিধ ফার্ডিন্যান্ড ভন রিথোফেন। সিল্ক রোডের অন্তর্ভূক্ত ছিলো কৌশল্গতভাবে তৈরি কিছু বানিজ্য কেন্দ্র, বাজার, পন্য কেনা-বেচা, বিতরন, গুদামজাতকরণ এবং বানিজ্য কাফেলা গুলোর জন্য পানি সর্বরাহের উৎস হিসেবে তৈরিকৃত জলের প্রবাহ ইত্যাদি।
সিল্ক রোড এর কি ও সিল্ক রোডের নামকরণঃ
সিল্ক রোড মূলত একক কোনো পথ নয়। এটি অনেক গুলো স্থলভিত্তিক বাণিজ্য পথের সমষ্টি যা চীন, মধ্য এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকার কিছু দেশ ও ইউরোপ কে যুক্ত করেছে। সিল্ক রোড নামটি এসেছে লাভজনক এশিয়ান সিল্ক থেকেই। ঐ সময়ে সিল্ক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই সিল্ক রোডের যাত্রা শুরু হয়। বিলাস বহুল ও মূল্যবান এই পণ্যটি ইউরোপীয় ও মধ্য এশিয়ান্ বণিকদের ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করতে থাকে এবং তারা স্বর্ণ, আইভরি, পশম, কাঁচের জিনিসপত্র , ঘোড়া ইত্যাদির বিনিময়ে চীন থেকে সিল্ক ক্রয় করে নিয়ে যেতো। চীনা সিল্ক বা রেশমকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে উঠে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য। ফলে, পণ্য-দ্রব্য আনা-নেয়া ও সহজ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন হয়ে উঠে একটি নিরবিচ্ছিন্ন বানিজ্য পথের।
প্রাচীন সিল্ক রোডে বিনিময়কৃত বাণিজ্য পণ্য
এই চাহিদা থেকেই খ্রিষ্টপূর্ব ১৩০ অব্দে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় সিল্ক রোডের। ১৪৫৩ সালে বিখ্যাত অটোমান সাম্রাজ্য চীনের সাথে বানিজ্য বয়কটের পূর্ব পর্যন্ত সিল্ক রোড ব্যবহৃত হতো। এরপর চীন এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। সিল্ক বা রেশম বানিজ্যকে কেন্দ্র করে এই রাস্তা নির্মাণ করা হয় বলে এর নামকরণ করা হয় সিল্ক রোড। সিল্ক রোড কে "সিল্ক রুট" নামেও অভিহিত করা হয়। ১৮৮৭ সালে এই নামকরণ করেন জার্মান ভূতত্ত্ববিধ ফার্ডিন্যান্ড ভন রিথোফেন। সিল্ক রোডের অন্তর্ভূক্ত ছিলো কৌশল্গতভাবে তৈরি কিছু বানিজ্য কেন্দ্র, বাজার, পন্য কেনা-বেচা, বিতরন, গুদামজাতকরণ এবং বানিজ্য কাফেলা গুলোর জন্য পানি সর্বরাহের উৎস হিসেবে তৈরিকৃত জলের প্রবাহ ইত্যাদি।