তুষার ঢাকা অথবা সূর্যস্নাত বিস্তীর্ণ তৃণভূমি ও সারি সারি পাইন এর বন, গোবি মরুভূমির চোখ ঝলসানো রূপ আর চীনের মহাপ্রাচীর-ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথে ভ্রমণ জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা আর সৌন্দর্যানুভূতির পূর্ণতা এনে দিতে যেন সদা প্রস্তুত। ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক যা রাশিয়ার দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অঞ্চল সাইবেরিয়ার সাথে মস্কোকে যুক্ত করেছে। ৯২৮৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পৃথিবীর দীর্ঘতম এই রেলপথটি দুটি শাখার মাধ্যমে চীন, মঙ্গোলিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে ও যুক্ত করেছে। ১৯১৬ সাল থেকে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ মস্কোকে ভ্লাদিভস্টক এর সাথে সংযুক্ত করেছে এবং এখনো পর্যন্ত এই রেলপথটিকে বর্ধিত করা হচ্ছে। বর্তমানে এটি ভ্লাদিভস্টক থেকে আরো ১৫২ কিলোমিটার বর্ধিত হয়ে ভ্লাদিভস্টক এর সাথে নাখোদকা পোর্ট স্টেশনকে সংযুক্ত করেছে।
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথটিকে প্রায়ই রাশিয়ার প্রধান আন্তঃমহাদেশীয় রেলপথটির সাথে জড়িয়ে ফেলা হয় যা রাশিয়ার ইউরোপ ও এশিয়া অংশের ছোট বড় শত শত শহরকে যুক্ত করেছে। অন্যদিকে, ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথটি মস্কোর সাথে পূর্ব সাইবেরিয়ার দূর্গম অঞ্চল সমূহকে যুক্ত করেছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথটি আটটি টাইম জোন অতিক্রম করেছে।
মস্কো থেকে ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ source: brickerz
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের প্রধান লাইনটি মস্কো থেকে শুরু হয়ে সাইবেরিয়ার দক্ষিনাঞ্চল হয়ে ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত গিয়েছে। ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের প্রধান লাইন থেকে দ্বিতীয় আরেকটি রেলপথ, ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান শাখা সাইবেরিয়ার সাথে চীনের মাঞ্চুরিয়া ও বেইজিং কে যুক্ত করেছে। বৈকাল হ্রদের ১০০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত তার্সকায়া থেকে শুরু হয়ে ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়ে চীনের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রবেশ করেছে, যেখান থেকে একটি রূট বেইজিং কে যুক্ত করেছে। এই রুটটি চীন থেকে পুনরায় বের হয়ে ভ্লাদিভস্টকের উত্তরে আবার সাইবেরিয়ায় এসে সংযুক্ত হয়েছে। এই রেলপথটিই ভ্লাদিভস্টকের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও পুরাতন রেলপথ। এই রেলপথটি একদিক দিয়ে চীনে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে পুনরায় রাশিয়ায় ফিরে আসা সত্বেও এই লাইনে কোনো গমন-নির্গমন যাত্রিসেবা নেই। কিন্তু তা সত্বেও এই পথে চীন ও রাশিয়ার অনেক যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন।
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের তৃতীয় সংযুক্ত রেললাইন টি ট্রান্স-মঙ্গোলিয়ান রেলওয়ে যা বৈকাল হ্রদের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু হয়ে মস্কোর সাথে মঙ্গোলিয়া হয়ে চীনের বেইজিং কে যুক্ত করেছে। মূল রেললাইনের কাজ সমাপ্ত হওয়ার প্রায় পাঁচ দশক পরে ১৯৯১ সালে, চতুর্থ একটি রেলপথ ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথে যুক্ত হয় যা "বৈকাল-আমুর মেইন লাইন" নামে পরিচিত। এই লাইনটি বৈকাল হ্রদ থেকে কয়েকশ মাইল পশ্চিমে তাইশেত থেকে শুরু করে বৈকাল হ্রদ ও তার সর্ব উত্তরের অঞ্চল সমূহকে যুক্ত করেছে।এই রেলপথটি আমুর নদী পার হয়ে তাতার সমভূমিতে এসে শেষ হয়েছে। এছাড়া ২০১১ সালে, ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের খাসান অঞ্চল থেকে একটি ট্রেন উত্তর কোরিয়ায় প্রথম যাত্রা করে।
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথটিকে প্রায়ই রাশিয়ার প্রধান আন্তঃমহাদেশীয় রেলপথটির সাথে জড়িয়ে ফেলা হয় যা রাশিয়ার ইউরোপ ও এশিয়া অংশের ছোট বড় শত শত শহরকে যুক্ত করেছে। অন্যদিকে, ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথটি মস্কোর সাথে পূর্ব সাইবেরিয়ার দূর্গম অঞ্চল সমূহকে যুক্ত করেছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথটি আটটি টাইম জোন অতিক্রম করেছে।
মস্কো থেকে ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথ source: brickerz
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের প্রধান লাইনটি মস্কো থেকে শুরু হয়ে সাইবেরিয়ার দক্ষিনাঞ্চল হয়ে ভ্লাদিভস্টক পর্যন্ত গিয়েছে। ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের প্রধান লাইন থেকে দ্বিতীয় আরেকটি রেলপথ, ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান শাখা সাইবেরিয়ার সাথে চীনের মাঞ্চুরিয়া ও বেইজিং কে যুক্ত করেছে। বৈকাল হ্রদের ১০০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত তার্সকায়া থেকে শুরু হয়ে ট্রান্স-মাঞ্চুরিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এগিয়ে গিয়ে চীনের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রবেশ করেছে, যেখান থেকে একটি রূট বেইজিং কে যুক্ত করেছে। এই রুটটি চীন থেকে পুনরায় বের হয়ে ভ্লাদিভস্টকের উত্তরে আবার সাইবেরিয়ায় এসে সংযুক্ত হয়েছে। এই রেলপথটিই ভ্লাদিভস্টকের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও পুরাতন রেলপথ। এই রেলপথটি একদিক দিয়ে চীনে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে পুনরায় রাশিয়ায় ফিরে আসা সত্বেও এই লাইনে কোনো গমন-নির্গমন যাত্রিসেবা নেই। কিন্তু তা সত্বেও এই পথে চীন ও রাশিয়ার অনেক যাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন।
ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের তৃতীয় সংযুক্ত রেললাইন টি ট্রান্স-মঙ্গোলিয়ান রেলওয়ে যা বৈকাল হ্রদের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু হয়ে মস্কোর সাথে মঙ্গোলিয়া হয়ে চীনের বেইজিং কে যুক্ত করেছে। মূল রেললাইনের কাজ সমাপ্ত হওয়ার প্রায় পাঁচ দশক পরে ১৯৯১ সালে, চতুর্থ একটি রেলপথ ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথে যুক্ত হয় যা "বৈকাল-আমুর মেইন লাইন" নামে পরিচিত। এই লাইনটি বৈকাল হ্রদ থেকে কয়েকশ মাইল পশ্চিমে তাইশেত থেকে শুরু করে বৈকাল হ্রদ ও তার সর্ব উত্তরের অঞ্চল সমূহকে যুক্ত করেছে।এই রেলপথটি আমুর নদী পার হয়ে তাতার সমভূমিতে এসে শেষ হয়েছে। এছাড়া ২০১১ সালে, ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথের খাসান অঞ্চল থেকে একটি ট্রেন উত্তর কোরিয়ায় প্রথম যাত্রা করে।