What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ইসলামের আলোকে হালাল রূযী (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,574
Messages
119,132
Credits
374,289
Computer
Glasses sunglasses
Compass
Compass
Camera photo
Logitech Mouse
ইসলামের আলোকে হালাল রূযী

ইসলামে হালাল রূযীর গুরুত্ব অপরিসীম। রূযী হালাল ও হারাম দু'টিই হ'তে পারে। যখন কোন মানুষ অবৈধভাবে অন্যের মাল হস্তগত ও উপভোগ করে তখন তা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। যেসব জিনিসের বৈধ হওয়া পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারাপরিষ্কারভাবে প্রমাণিত তা-ই হালাল। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রাসূল (ছাঃ) নির্দেশিত ও অনুমোদিত পথে যে আয়-রোযগার করা হয় তাকে হালাল উপার্জন বলে। হালাল উপার্জন ইসলামী জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামের দিক নির্দেশনা হ'ল হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করতে হবে। সূদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার, প্রতারণা ইত্যাদি অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা যাবেনা। মনে রাখতে হবে, মানুষের জন্য যা কল্যাণকর, পবিত্র, উত্তম ও উপাদেয় তাই আল্লাহপাক হালাল করেছেন। অন্যদিকে যা বিপদজ্জনক এবং ক্ষতিকর তা হারাম করেছেন। বস্ত্ততঃ ইসলামী শরী'আতে হারামের পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং হালালের ক্ষেত্র বিস্তীর্ণ ও সুপ্রশস্ত।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ পাক এ সেরা সৃষ্টিকে তাঁর ইবাদত-বন্দেগীর জন্যই সৃষ্টি করেছেন। এ মর্মে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষণা হ'ল,وَمَاخَلَقْتُالْجِنَّوَالْإِنْسَإِلاَّلِيَعْبُدُوْنِ،مَاأُرِيْدُمِنْهُممِّنرِّزْقٍوَمَاأُرِيْدُأَنْيُطْعِمُوْنِ- 'আমি জিন এবং মানুষকে আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের থেকে কোন রিযিক চাই না এবং তাদের থেকে আমি খাবারও চাই না' (যারিয়াত ৫৬-৫৭)। মহান আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন, يَاأَيُّهَاالَّذِيْنَآمَنُوْاكُلُوْامِنْطَيِّبَاتِمَارَزَقْنَاكُمْوَاشْكُرُوْالِلّهِإِنْكُنْتُمْإِيَّاهُتَعْبُدُوْنَ- 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রূযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাক' (বাক্বারাহ ১৭২)। এ আয়াতে হারাম খাদ্য ভক্ষণ করতে যেমন নিষেধ করা হয়েছে, তেমনি হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত খেতে এবং তা খেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। কারণ ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য হালাল রূযী খাওয়া অত্যাবশ্যক। (মুসলিম হা/১০১৫।) হারাম খাদ্য খেলে মনের মধ্যে খারাপ অভ্যাস সৃষ্টি হয়, ইবাদত-বন্দেগীতে আগ্রহ স্তিমিত হয়ে আসে এবং দো'আ কবুল হয় না। (মুসলিম হা/১০১৫।) অন্যদিকে হালাল খাদ্য গ্রহণের ফলে মানব মনে এক প্রকার আলো সৃষ্টি হয়, যা অন্যায়ের প্রতি ঘৃণাবোধ সৃষ্টি করে এবং সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে, ইবাদত-বন্দেগীতে মনোযোগ আসে, পাপের কাজে ভয় আসে এবং দো'আ কবুল হয়। এ জন্যই আল্লাহ তা'আলা সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বলেছেন, يَاأَيُّهَاالرُّسُلُكُلُوْامِنَالطَّيِّبَاتِوَاعْمَلُوْاصَالِحاً- 'হে রাসূলগণ! তোমরা হালাল খাদ্য গ্রহণ কর এবং নেক আমল কর' (মুমিন৫১)
 

Users who are viewing this thread

Back
Top