সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গৃহবধূকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠি ও সাবল দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে মরে গেছেন ভেবে তাকে ফেলে পালিয়ে যান তারা।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীর ভাই লাভলু মোল্যার করা মামলায় স্বামী অহিদুল্লাহ গাজীসহ তার পরিবারের সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ শনিবার রাতেই দুই জনকে আটক করেছে।
আহত গৃহবধূর নাম মাহফুজা খাতুন। তিনি শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজিপুর গ্রামের আব্দুল গফফারের মেয়ে। তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। আাটক দুই জন হলেন ভুক্তভোগীর ননদ মাছুমা বেগম ও ভাশুরের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।
মাহফুজা খাতুনের বড় ভাই বাবলুর রহমান মোল্যা জানান, ২০০৪ সালে তার বোনের সাথে কালিগঞ্জ উপজেলার আড়ংগাছা গ্রামের অহিদুল্লাহ গাজীর সঙ্গে তার বোনের বিয়ে দেন। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তুকিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এর জেরে মাহফুজা শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজিপুর গ্রামে চলে যান। এরপর অহিদুল্লাহ তালাক দিয়ে তার বড় মেয়ে তাওছিয়া খাতুনকে ঘরে আটকে রাখে।
এ খবর জানতে পেরে মাহফুজা মেয়েকে দেখতে ও তালাকের বিষয়টি জানতে শনিবার বিকেলে শ্বশুর বাড়িতে যান। এ সময় অহিদুল্লাহসহ তার পরিবারের সদস্যরা মাহফুজাকে গাছে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে মাহফুজা মারা গেছেন ভেবে অহিদুল্লাহর পরিবারের সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মাহফুজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালিগজ্ঞ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবির দত্ত বলেন, 'ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সেখানে গিয়ে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করি এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করি।