What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সায়ন্তনী আমার সব… (1 Viewer)

MECHANIX

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Apr 12, 2018
Threads
695
Messages
11,929
Credits
228,361
Audio speakers
Cake Chocolate
Soccer Ball
Profile Music
Bikini
সায়ন্তনী আমার সব… by raju9779

– কলকাতায় দুর্গাপুজো কি জিনিস সেটা যারা দুর্গাপুজোর সময় একবার কলকাতায় এসেছে তাদের বোঝানোর দরকার নাই। আসলে দুর্গাপুজো কলকাতার মানুষের কাছে একটা ইমোশন, একটা আনন্দের ভাবধারার খেলা। কত কোটি কোটি টাকা এই চার দিনের জন্য মানুষ খরচ করে। শুধু যে হিন্দু, বা মুসলমান এর উৎসব বলে তারাই যাবে এমন টা নয়, পুজোর সময় যেমন সব ধরণের মানুষ যায় তেমনি ঈদের উৎসব ও সবাই যায়।

আমরা মানে আমাদের পরিবার অনেকদিন থেকেই কলকাতা তে থাকি বলে পুজোর আনন্দ আমাদের কাছে খুব স্পেশাল। পুজোর সময় তো স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সব ছুটি থাকে তাই মানুষের ও ভিড় হয় খুব মণ্ডপে মণ্ডপে। চার দিনের মধ্যে একদিন পরিবারের সাথে আর একদিন একা ঘুরি, আর বাকি দুদিন বন্ধুদের সাথে।

অষ্টমী বড় পুজো তাই ওটা পরিবারের সাথে র প্রথম দিন মানে সপ্তমীতে আর বিজয়া বন্ধুদের সাথে খুব মজা করি। আর নবমী টা একা ঘুরে কাটাই। এটা আমার প্রত্যেক বছরের পুজোর রুটিন। কোলকাতাতে কিন্তু তৃতীয়া থেকেই মণ্ডপে লাইন পোড়ে যায় , আসলে যারা কলকাতা তে থাকে জীবিকা সূত্রে তারাই ওইদিন গুলোতে পুজো দেখে বাড়ি চলে যায়, তাই আমরা ওদের দেখাতে আর ঝামেলা বাড়াই না। এই দেখ, আমি কে সেটাই বলা হলো না।

সুবোধ মল্লিক, নামটা সুবোধ হলেও চরিত্রে মোটেও সুবোধ আমি নোই। ২০১৪ সালে সফটওয়ার ইঞ্জিনীরিং পাস করে এখন কোম্পানির কাজ করি, বেতন ভালোই তবে কষ্ট খুব দেয়। তবে আমাদের কোম্পানির ভালো গুন একটা, ওরা কখনো বাঙালির সেন্টিমেন্টে আঘাত করে না। পুজোতে পুরো পনেরো দিন ছুটি দেয়। কোনো বেসরকারি কোম্পানিতে যেটা কর্মচারীদের কাছে স্বপ্ন।তাই তিন বছর কাজ করার পর ও ছাড়তে পারলাম না।

দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল, বাড়িতে সবার জামাকাপড় কেনার ধুম লেগে গেল।বাড়িতে লোক বলতে মা, বাবা, দাদা আর বৌদি। আমি তো মেয়েই পেলাম না তাই বিয়েও অধরা। আমার ছুটি না পড়া অব্দি আমি শপিং এ যেতে পারবোনা বলে দিয়েছি। তাই দাদাই সবাইকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে এক সপ্তাহ ধরে শপিং করেছে।

সাধারণত মহালয়ার পরে আমাদের ছুটি পড়ে, কিন্তু এবারে মহালয়া শনিবার পড়ায় আমাদের ছুটি শুক্রবার পড়ে গেল। মনে মনে খুব মজা, পনেরদিন ছুটি, পুজো, আনন্দ। দাদা আমার জন্য দুটো ড্রেস কিনেছিল কিন্তু মনের মতো হয়নি, তাই ভাবলাম এখনো তিন,চার দিন বাকি আছে, আমি নিজের ড্রেস নিজেই কিনবো।যেই না ভাবা, ওমনি গাড়িটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।

নিজে ড্রাইভ করতে জানি তাই আর সমস্যা হলো না। কলকাতার সেরা সাউথ সিটি মল এ গেলাম। কিছুক্ষন এদিক ওদিক ভালো করে খুঁজে দুটো জামা আর একটা জিন্স নিলাম। কিন্তু জিনিস খুঁজতে যতটা না সময় লেগেছে টাকা দিতে তার থেকে বেশি সময় লাগবে ভেবেই কাউন্টার এর একটা লম্বা লাইনে দাড়ালাম।

এতক্ষন লক্ষ্যই করিনি যে আমার সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়েছে লাইনে। হলুদ রঙের একটা পাতলা গেঞ্জি আর কালো রঙের জিন্স, আর সাদা রঙের কভার জুতো। গায়ের রং টা ঠিক বর্ণনা করতে পারছিনা, হালকা ঘি রঙের মতো উজ্জ্বল। ওই ড্রেস এ পিছন থেকে এত সুন্দর লাগছে যে তার মুখ না দেখেও মনে মনে নিশ্চিত হওয়া যায় যে রাজকুমারীর মতোই সুন্দর হবে।

এদিক ওদিক হয়ে কোনোরকমে মেয়েটাকে দেখে বুঝতে পারলাম আমার কল্পনার থেকেও বেশি সুন্দরী মেয়ে হতে পারে। আমি এতটাও সুন্দর নোই যে মেয়েটাও আমার দিকে ওরকম ভাবে দেখবে তাও কেন জানিনা একবার পিছন ঘুরে দেখলো। মুখের অঙ্গভঙ্গিতে এমনকিছুও ছিল না যেটা বলার মতো। তবে মনে মনে সবসময় ভাবতাম বেশি সুন্দরী মেয়েরা তার সুন্দরতার ফায়দা তুলে অনেক ছেলের সাথে সম্পর্কে জোড়ায় আর সেই কারণেই সুন্দরী মেয়েদের আমি বিশ্বাস করিনা।

তবে কেন জানি না আজ একে দেখে আমার মন বলছে এ ভালো মেয়ে, আমি যেরকম টা ভাবতাম সেরকম নয়।

"এক্সকিউজ মি, প্লিস আমার ব্যাগ গুলো একটু ধরবেন" মেয়েটার কথায় আমার ভ্রম কাটলো। পকেট এ ফোন ছিল , কারোর ফোন এসেছে কিন্তু দু হাতে ব্যাগ ধরা ছিল তাই আমাকে ধরতে দিলো।

" হ্যা মম, এই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর আধ ঘন্টা মতো লাগবে। গিয়ে দেখাবো সব, surprise দেব তোমাকে। okk মম, টা টা।"

এবার জিনিস গুলো আমার হাত থেকে নিয়ে " থ্যাংক্স"

আমি " ওয়েলকাম"

অনেক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তি লেগে গিয়েছিল তাই চিৎকার করে একটু বললাম দাদা আর একটা কাউন্টার ওপেন করুন না, তাহলে আমরা একটু তাড়াতড়ি ফিরতে পারি। কেন জানি না , মেয়েটার হয়তো আমার কথাটা পছন্দ হলো, বললো "আসলে এরা আমাদের প্রবলেম টা বোঝার চেষ্টা করে না।"

তারপর আপন মনে আস্তে আস্তে বলতে থাকলো" আধ ঘন্টার মধ্যে না যেতে পারলে হয়তো আমার দিদিও চলে যাবে বাড়ি, তাতে এদের কি যায় আসে"

আমি বললাম " বাড়ি কোথায় আপনার?"

মেয়েটা " কাছেই, কুড়ি মিনিট বাস এ যেতে হয়"

আমি বললাম " তাহলে অসম্ভব, এখনও কুড়ি মিনিট এখানে লাগবে তারপর বাস ধরতেও টাইম লাগবে"

মেয়েটার মন খারাপ হয়ে গেল," আসলে দিদি আমাকে বলেছিল, আমি গেলে তারপর শপিং এ যাবি কিন্তু ওকে একটা গিফট দেব বলেই এসেছিলাম, হলো না হয়তো।"

কথা বলতে বলতে জানতে পারলাম ওর নাম সায়ন্তনী, জিওগ্রাফি , থার্ড ইয়ার।

ওর জিনিস গুলো জমা নেওয়ার সময় ও টাকা দিলো 2000 টাকার দুটো নোট কিন্তু একটা তে রং আছে বলে নিলো না, আর তার কাছে অন্য টাকা আছে নাকি খুঁজছে তখন আমার জিনিস গুলো নিয়ে নিলো। আমি পেমেন্ট করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম পেলে টাকা??

বললো না আর কোনো টাকা নাই, আর ক্রেডিট কার্ড ও ফেলে এসেছি। সে কিছু জিনিস রেখে দেবে ভাবছিল তখন আমি বললাম কত টাকা কম পড়ছে বললো 850 টাকা মতো। তারপর আমি দিয়ে দিলাম, বারণ করছিল কিন্তু বললাম কোনো একদিন দিয়ে দেবেন আলাপ তো থাকলেই। বলে দুজনে একসাথে বেরোলাম।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top