What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

ডেরিনকুয়ু - রহস্যে ঘেরা পাতাল শহর (1 Viewer)

SoundTrack

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
530
Messages
13,426
Credits
283,450
Recipe pizza
Loudspeaker
মাটির গভীরে বিভিন্ন শিলাস্তর ভেদ করে গড়ে তোলা হয়েছিল এক সুবিশাল নগরী। মানুষের জীবন ধারনের জন্য সব রকমের সুব্যবস্থা ছিল সে নগরীতে। তাই মাটির নিচ থেকে না বেরিয়েই সেখানকার অধিবাসীরা অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারত অনেক দিন।

এরকম নগরীর সচরাচর দেখা মেলে বিভিন্ন হলিউড সিনেমায়। সিনেমা ছাড়াও সাইন্সফিকশন, কল্পকাহিনী, কিংবা পুরাতন পুঁথির মধ্যে গল্প আকারে এর টুকরো টুকরো দেখা মেলে। আমাদের কাছে বাস্তবে তো এরকম পাতাল শহরের অস্তিত্ব অকল্পনীয়। শুধু অকল্পনীয়ই নয়, বরং বিস্ময়করও বটে। আর আমাদের সেই বিস্ময় আরো ঘনীভূত হবে ডেরিনকুয়ু পাতাল শহরের নামটি শুনলে।

হ্যা বাস্তবের সেরকম একটি বিস্ময়কর পাতাল শহরের কথাই বলব আজ। এটি কোন হলিউড সিনেমা কিংবা পুরাতন পুথির কথা বলছি না। বলছি তুরস্কের নেভশেহির প্রদেশের কাপাডোশিয়ার মাটির নিচের ডেরিনকুয়ু পাতাল শহরের কথা।

ডেরিনকুয়ু পাতাল শহর, তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নেভশেহির প্রদেশে কাপাডোশিয়ায় অবস্থিত। এর ভূগর্ভস্থ গুহাগুলো যে কাউকে বিস্মিত করে। গুহাগুলো সম্পূর্ণভাবে মানবশ্রমে নির্মিত, যা আজো কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। শত্রুপক্ষের হামলা থেকে নিরাপদে থাকার জন্য এসব গুহা নির্মিত হয়।

BRGPS_001.jpg


ডেরিনকুয়ু পাতাল শহর - Source: Why Don't You Try This?

তুরস্কের এই ভূগর্ভস্থ শহরে একসঙ্গে ২০ হাজার লোক আশ্রয় নিতে পারত। তুরস্কের প্রাচীন আনাতোলিয়ান সভ্যতার বিস্ময়কর স্থাপত্যের মধ্যে উন্নতির ব্যাপক ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। উন্নতস্কুল, গির্জা, ঘোড়া রাখার আস্তাবল ছিল সেখানে। তবে সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যপার হচ্ছে, এই শহরের স্থানীয়দের সভাস্থলগুলো- যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ থেকে ৮০মিটার নিচে অবস্থিত এবং এর স্থাপত্য নকশা দেখার মতো। এই সভাস্থলগুলোর দেয়াল নরম আগ্নেয়শিলা দিয়ে তৈরি করা হয়।

খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে গুহাগুলো নির্মাণ করা হয়। মূলত লুটতরাজ ও শত্রুপক্ষের হামলা থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিলো। যদিও এটি একটি গুপ্ত আস্তানা ছিল। তবে গুহাগুলোর গাঠনিক সৌন্দর্য অনেক আকর্ষণীয়।

এছাড়া গুহাগুলোতে জীবন যাপনের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ছিল। মাটির উপরে প্রায় ৬০০টি দরজা ছিল, যা দিয়ে এই ভূগর্ভস্থ শহরে প্রবেশ করা যেত। পাতাল শহরে বায়ু চলাচলের জন্য ছিল প্রায় ১ হাজার ৫০০টি চোঙা। এ ছাড়া অসংখ্য সুড়ঙ্গ, গলি ও রাস্তা তৈরি করা হয় এমনভাবে যেন যেকোনো মানুষের কাছেই শহরটি একটি জটিল ও দুরুহ বিন্যাসবিশিষ্ট বলে মনেহয়।

খাবারের মজুদসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষের আশ্রয়ের জন্য এটি যথেষ্ট ছিল। সুদীর্ঘ সময় ধরে এই মাটির নিচের শহর আজো অনেক ভালো অবস্থায় টিকে আছে। ভেতরের অবকাঠামো এখনো অনেক মজবুত।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top