shakilmullo
New Member
সুস্থ্য সুন্দর জীবনের জন্য সবারই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে বিশেষভাবে ছেলেদেরকেই বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। কারণ, নারীর চেয়ে একটা পুরুষ যতেষ্ট কাজ করে থাকে। জীবিকার তাগিদে ছেলেদেরকে প্রায় সময় বাহিরে থাকতে হয়। তাই শরীরে শক্তি যোগাতে, মন- মানসিকতা সতেজ রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার খাওয়া উচিত।
প্রত্যেকটা ছেলেই কিন্ত চাই নিজের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য। কারণ স্বাস্থ্যই হচ্ছে সম্পদ। আপনি যাই কিছু করেন না কেন, তার পিছনে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে। যদি ভালো না থাকে, কাজ করার জন্য শক্তি পাবেন না, মন মেজাজ ফুরফুরে থাকবে না। ফলে কোন কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন না। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপায় আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার।
এখানে আপনি জানতে পারবেন জন্য ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা, যা অবশ্যই সবার নিয়মিত খাওয়া উচিত।
০১। দুধ
০২। ডিম
০৩। কলা
০৪। গাজর
০৫। আপেল
০৬। পেয়ারা
০৭। খেজুর
০৮। বাদাম
০৯। টমেটো
১০। মাছ
সবার জন্য ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকাসহ বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো, ফলে বুঝতে সুবিধা হবে, কেন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, কী কী উপকার পাওয়া যাবে, কখন কিভাবে খাওয়া উচিত এবং আর ও অনেক।
০১। দুধ
গরুর দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয় খাবার। এটি শরীরে শক্তি যোগাতে বিরাট অবদান রাখে। কিন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখনও অনেক মানুষ আছে, যারা দুধ খেতে পছন্দ করে না বা নিয়মিত খাচ্ছে না। আমরা যতগুলো খাবার দেখি, তার মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে দুধ। দুধে যতেষ্ট উপকারিতা আছে, যা যেকোনো বয়সের লোকের জন্য আবশ্যক।
প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পর বা বিকালে একগ্লাস দুধ খেতে পারলে, এক নিমিষেই সব ক্লান্তি চলে যায়। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ, যেমন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন, কোলেস্টেরল ও রিবোফ্লভিনস আরও উপাদান। শরীরে ক্যালসিয়াম না থাকলে, সহজেই দুর্বল হয়ে যাবেন। এটিতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা শরীরকে সবল রাখতে ও দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই সবার বিশেষ করে ছেলেদের জন্য প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকা প্রথমেই দুধকে রাখা উচিত।
০২। ডিম
সবসময় পাওয়া যাই বলে এটি খুব জনপ্রিয় খাবার। কিন্ত বর্তমানে বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরাই ডিম অপছন্দ করে। অথচ তারা ভালো করে জানেই না ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে। একটা সেদ্ধ ডিমে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ, যেমন শক্তি, সর্করা, স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন, ভিটামিন এ, থায়ামিন (বি১), কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক কার্যকরী উপাদান, যা শরীর ভালো রাখার জন্য খুব দরকার। একটা বাড়তি বয়সের ছেলে মেয়ের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম রাখা অপিহার্য। প্রতিদিন সকালে একটা পূর্ণ-সেদ্ধ ডিম খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যাই। সেদ্ধ ডিম খেলে শরীরের দুর্বলতা হ্রাস পায়। এবং অনেক ধরণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিরাট সাহায্য করে।
০৩। কলা
খুব রুচিশীল একটি খাবার হচ্ছে কলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল । দেশের সব জেলাতেই কলা ১২ মাস পাওয়া যাই, এবং এটি স্বল্পদামি খাবার, যার ফলে প্রতিদিন ২ টা কলা খাওয়া সবার পক্ষেই সম্ভব। একটা পাকা কলাতে পুষ্টিগুণ ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কলাতে রয়ছে পানি (জল), আমিষ, খনিজ লবণ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি ও অল্প ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। যেকোনো মানুষের মনকে সতেজ রাখতে এবং শরীরের শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। এছাড়াও ত্বক সুস্থ, সুন্দর, কোমল ও আকর্ষণীয় রাখতে খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে কলা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, দিনে দুটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী। অর্থাৎ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলাকে ও রাখতে হবে।
০৪। গাজর
সবচেয়ে পুষ্টিকর সবজি গুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। বিশেষ করে শীতকালীন সকল সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চাইতে ভালো সবজি হচ্ছে এটি যা শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপযুক্ত খাবার। আমরা সবাই জানি গাজরকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে। এবং অনেকেই নিয়মিত গাজর খেয়ে থাকে কেনই বা খাবেন না কারণ এটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টি। গাজর কাঁচা এবং রান্না করেও খাওয়া যাই, সালাদ বানিয়ে খেতে অনেকেই পছন্দ করে, তবে কাঁচা খেতে পারলে ভালো অনেক স্বাদ পাওয়া যাই। যা রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে ১টি গাজর খাওয়ার চেষ্টা করবেন, রান্না করে অথবা কাঁচা যেকোনো উপায়ে।
০৫। আপেল
সারা বিশ্বে আপেল একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদ ফল হিসেবে পরিচিত। আপেলে প্রায় ৮০% পানি থাকে যা শরীরের জন্য অতিব দরকারি। তাছাড়া, ভিটামিন, সি, কে, ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম সহ অনেক ধরনের পুষ্টিগুন রয়েছে। প্রতিদিন ১টি আপেল ইচ্ছা করলেই খাওয়া যাই, ফলে এটি শরীর এবং মনকে সতেজ ও শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
০৬। পেয়ারা
দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদ ফল। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই পেয়ারার চাষ হয়ে থাকে। প্রায় সবাই পেয়ারা খেতে পছন্দ করি। কারণ এটি একটি রুচিশীল খাবার, এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি সহ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং আরও খাদ্যের উপাদান। কিন্ত তারপরেও আমরা এটি নিয়মিত খাই না। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পেয়ারাকে রাখা উচিত বিশেষকরে ছেলেদের। এটি দামে সস্তা এবং যত্রতত্র পাওয়া যাই, যার ফলে যেকোনো সময় সংগ্রহ করতে পারবেন।
০৭। খেজুর
খেজুর অত্যন্ত সুস্থাদু, স্বাস্থ্যকর ও রুচিশীল একটি ফল, যার রয়েছে অনেক উপকারিতা। প্রতিদিন সকালে ২/৩ টা করে খেজুর খেতে পারলে, ভালো ফল পাওয়া যা। যা শরীর স্বাস্থ্য উপযুক্ত রাখার জন্য যতেষ্ট ভূমিকা রাখে। অনেক মানুষ আছে যারা রমজান আসলেই খেজুর খেতে পছন্দ করে। কিন্ত এটিতে যে পরিমাণ ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ও আরও অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাঁর জন্য আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত। প্রতি ২০০ গ্রাম পরিষ্কার, তাজা ও ভালো মানের খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যার থেকে ৪৬০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাই। এছাড়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বুঝতেই পারছেন, ৪/৫ টা খেজুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি পরিমাণ ভূমিকা রাখে। তবে সব সময় ভালো, পরিষ্কার খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
০৮। বাদাম
স্বল্পদামী কার্যকরী খাবারের মধ্যে বাদাম সবচেয়ে উত্তম। বাদাম আমরা অনেকেই খাই,কিন্ত এর গুনাগণ সবাই জানে না। পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে বাদাম এর ভূমিকা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনেক ধরণের বাদাম রয়েছে, যেমনঃ কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, কাখরোট বাদাম, পেস্তা বাদাম। প্রায় সব ধরণের বাদামই শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়ামসহ অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যা শরীর দুর্বলতা হ্রাস করা সহ আরও অনেক উপকার করে। সব বসয়ের মানুষ বাদাম খেতে পারে তবে ছেলের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন যদি শরীর সুস্থ এবং সবল রাখতে চাই।
০৯। টমেটো
টমেটোর রয়েছে অনেক আশ্চর্যজনক উপাকারিতা। আমরা প্রতিদিন নিয়মিত ভাত খেয়ে থাকি, আর সেটার অন্যতম ভালো ও রুচিশীল খাবার হচ্ছে টমেটো। টমেটো একটি জনপ্রিয় সবজি যা বাংলাদেশের বাজারে বেগুন নামেও পরিচিত। এইতে প্রচুর পরিমানে স্বাদ এবং পুষ্টি রয়েছে। এটি কাঁচা এবং রান্না দুভাবেই খাওয়া যাই। বেশীরভাগ মানুষ টমেটো দিয়ে সালাত বানিয়ে খেতে পছন্দ করে এবং অনেকে রান্না করে খেতেও পছন্দ করে। তবে যেভাবেই হোক দিনে অন্ততপক্ষে ১টি টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করবেন ফলে যথেষ্ট পরিমাণে শরীর সুস্থ থাকবে।
এছাড়াও আরও স্বাস্থ্যকর অনেক খাবার রয়েছে এবং সেগুলো ও মাঝে মাঝে খাওয়া দরকার, কিন্ত প্রতিদিন এই খাবার গুলো অবশ্যই খেতে হবে। এখানে প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সহ আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান।
আসলে আমরা অনেকে পুষ্টিহীনতায় ভুগি, ঠিকমত স্বাস্থ্যকর খাবার খাই না, প্রতিদিনের খাবারের তালিকা এইরকম খাবার রাখি না কিন্ত চাই স্বাস্থ্যবান হতে। এই পুষ্টিহীনতা দূর করতে, শরীর এবং মনকে প্রফল্ল ও সুস্থ রাখতে উপরের ১০টি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম উপায়। এইজন্য নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
আসা করি এই তথ্যগুলো থেকে অনেক কার্যকারী তথ্য ও উপায় জানতে পেরেছেন এবং আপনার শরীরকে উন্নত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, স্বাস্থ্যকে উপযুক্ত রাখে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
প্রত্যেকটা ছেলেই কিন্ত চাই নিজের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য। কারণ স্বাস্থ্যই হচ্ছে সম্পদ। আপনি যাই কিছু করেন না কেন, তার পিছনে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে। যদি ভালো না থাকে, কাজ করার জন্য শক্তি পাবেন না, মন মেজাজ ফুরফুরে থাকবে না। ফলে কোন কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন না। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপায় আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার।
এখানে আপনি জানতে পারবেন জন্য ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা, যা অবশ্যই সবার নিয়মিত খাওয়া উচিত।
০১। দুধ
০২। ডিম
০৩। কলা
০৪। গাজর
০৫। আপেল
০৬। পেয়ারা
০৭। খেজুর
০৮। বাদাম
০৯। টমেটো
১০। মাছ
সবার জন্য ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকাসহ বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো, ফলে বুঝতে সুবিধা হবে, কেন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, কী কী উপকার পাওয়া যাবে, কখন কিভাবে খাওয়া উচিত এবং আর ও অনেক।
০১। দুধ
গরুর দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পানীয় খাবার। এটি শরীরে শক্তি যোগাতে বিরাট অবদান রাখে। কিন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখনও অনেক মানুষ আছে, যারা দুধ খেতে পছন্দ করে না বা নিয়মিত খাচ্ছে না। আমরা যতগুলো খাবার দেখি, তার মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে দুধ। দুধে যতেষ্ট উপকারিতা আছে, যা যেকোনো বয়সের লোকের জন্য আবশ্যক।
প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পর বা বিকালে একগ্লাস দুধ খেতে পারলে, এক নিমিষেই সব ক্লান্তি চলে যায়। এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ, যেমন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন, কোলেস্টেরল ও রিবোফ্লভিনস আরও উপাদান। শরীরে ক্যালসিয়াম না থাকলে, সহজেই দুর্বল হয়ে যাবেন। এটিতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা শরীরকে সবল রাখতে ও দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই সবার বিশেষ করে ছেলেদের জন্য প্রতিদিনের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকা প্রথমেই দুধকে রাখা উচিত।
০২। ডিম
সবসময় পাওয়া যাই বলে এটি খুব জনপ্রিয় খাবার। কিন্ত বর্তমানে বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরাই ডিম অপছন্দ করে। অথচ তারা ভালো করে জানেই না ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে। একটা সেদ্ধ ডিমে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ, যেমন শক্তি, সর্করা, স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন, ভিটামিন এ, থায়ামিন (বি১), কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক কার্যকরী উপাদান, যা শরীর ভালো রাখার জন্য খুব দরকার। একটা বাড়তি বয়সের ছেলে মেয়ের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম রাখা অপিহার্য। প্রতিদিন সকালে একটা পূর্ণ-সেদ্ধ ডিম খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যাই। সেদ্ধ ডিম খেলে শরীরের দুর্বলতা হ্রাস পায়। এবং অনেক ধরণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিরাট সাহায্য করে।
০৩। কলা
খুব রুচিশীল একটি খাবার হচ্ছে কলা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল । দেশের সব জেলাতেই কলা ১২ মাস পাওয়া যাই, এবং এটি স্বল্পদামি খাবার, যার ফলে প্রতিদিন ২ টা কলা খাওয়া সবার পক্ষেই সম্ভব। একটা পাকা কলাতে পুষ্টিগুণ ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কলাতে রয়ছে পানি (জল), আমিষ, খনিজ লবণ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি ও অল্প ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। যেকোনো মানুষের মনকে সতেজ রাখতে এবং শরীরের শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। এছাড়াও ত্বক সুস্থ, সুন্দর, কোমল ও আকর্ষণীয় রাখতে খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে কলা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, দিনে দুটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী। অর্থাৎ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলাকে ও রাখতে হবে।
০৪। গাজর
সবচেয়ে পুষ্টিকর সবজি গুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। বিশেষ করে শীতকালীন সকল সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চাইতে ভালো সবজি হচ্ছে এটি যা শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনেক উপযুক্ত খাবার। আমরা সবাই জানি গাজরকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে। এবং অনেকেই নিয়মিত গাজর খেয়ে থাকে কেনই বা খাবেন না কারণ এটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টি। গাজর কাঁচা এবং রান্না করেও খাওয়া যাই, সালাদ বানিয়ে খেতে অনেকেই পছন্দ করে, তবে কাঁচা খেতে পারলে ভালো অনেক স্বাদ পাওয়া যাই। যা রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে ১টি গাজর খাওয়ার চেষ্টা করবেন, রান্না করে অথবা কাঁচা যেকোনো উপায়ে।
০৫। আপেল
সারা বিশ্বে আপেল একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদ ফল হিসেবে পরিচিত। আপেলে প্রায় ৮০% পানি থাকে যা শরীরের জন্য অতিব দরকারি। তাছাড়া, ভিটামিন, সি, কে, ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম সহ অনেক ধরনের পুষ্টিগুন রয়েছে। প্রতিদিন ১টি আপেল ইচ্ছা করলেই খাওয়া যাই, ফলে এটি শরীর এবং মনকে সতেজ ও শক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
০৬। পেয়ারা
দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদ ফল। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই পেয়ারার চাষ হয়ে থাকে। প্রায় সবাই পেয়ারা খেতে পছন্দ করি। কারণ এটি একটি রুচিশীল খাবার, এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি সহ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং আরও খাদ্যের উপাদান। কিন্ত তারপরেও আমরা এটি নিয়মিত খাই না। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পেয়ারাকে রাখা উচিত বিশেষকরে ছেলেদের। এটি দামে সস্তা এবং যত্রতত্র পাওয়া যাই, যার ফলে যেকোনো সময় সংগ্রহ করতে পারবেন।
০৭। খেজুর
খেজুর অত্যন্ত সুস্থাদু, স্বাস্থ্যকর ও রুচিশীল একটি ফল, যার রয়েছে অনেক উপকারিতা। প্রতিদিন সকালে ২/৩ টা করে খেজুর খেতে পারলে, ভালো ফল পাওয়া যা। যা শরীর স্বাস্থ্য উপযুক্ত রাখার জন্য যতেষ্ট ভূমিকা রাখে। অনেক মানুষ আছে যারা রমজান আসলেই খেজুর খেতে পছন্দ করে। কিন্ত এটিতে যে পরিমাণ ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ও আরও অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাঁর জন্য আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত। প্রতি ২০০ গ্রাম পরিষ্কার, তাজা ও ভালো মানের খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যার থেকে ৪৬০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাই। এছাড়া বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বুঝতেই পারছেন, ৪/৫ টা খেজুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি পরিমাণ ভূমিকা রাখে। তবে সব সময় ভালো, পরিষ্কার খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
০৮। বাদাম
স্বল্পদামী কার্যকরী খাবারের মধ্যে বাদাম সবচেয়ে উত্তম। বাদাম আমরা অনেকেই খাই,কিন্ত এর গুনাগণ সবাই জানে না। পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে বাদাম এর ভূমিকা প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনেক ধরণের বাদাম রয়েছে, যেমনঃ কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, কাখরোট বাদাম, পেস্তা বাদাম। প্রায় সব ধরণের বাদামই শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়ামসহ অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যা শরীর দুর্বলতা হ্রাস করা সহ আরও অনেক উপকার করে। সব বসয়ের মানুষ বাদাম খেতে পারে তবে ছেলের জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন যদি শরীর সুস্থ এবং সবল রাখতে চাই।
০৯। টমেটো
টমেটোর রয়েছে অনেক আশ্চর্যজনক উপাকারিতা। আমরা প্রতিদিন নিয়মিত ভাত খেয়ে থাকি, আর সেটার অন্যতম ভালো ও রুচিশীল খাবার হচ্ছে টমেটো। টমেটো একটি জনপ্রিয় সবজি যা বাংলাদেশের বাজারে বেগুন নামেও পরিচিত। এইতে প্রচুর পরিমানে স্বাদ এবং পুষ্টি রয়েছে। এটি কাঁচা এবং রান্না দুভাবেই খাওয়া যাই। বেশীরভাগ মানুষ টমেটো দিয়ে সালাত বানিয়ে খেতে পছন্দ করে এবং অনেকে রান্না করে খেতেও পছন্দ করে। তবে যেভাবেই হোক দিনে অন্ততপক্ষে ১টি টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করবেন ফলে যথেষ্ট পরিমাণে শরীর সুস্থ থাকবে।
এছাড়াও আরও স্বাস্থ্যকর অনেক খাবার রয়েছে এবং সেগুলো ও মাঝে মাঝে খাওয়া দরকার, কিন্ত প্রতিদিন এই খাবার গুলো অবশ্যই খেতে হবে। এখানে প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সহ আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদান।
আসলে আমরা অনেকে পুষ্টিহীনতায় ভুগি, ঠিকমত স্বাস্থ্যকর খাবার খাই না, প্রতিদিনের খাবারের তালিকা এইরকম খাবার রাখি না কিন্ত চাই স্বাস্থ্যবান হতে। এই পুষ্টিহীনতা দূর করতে, শরীর এবং মনকে প্রফল্ল ও সুস্থ রাখতে উপরের ১০টি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম উপায়। এইজন্য নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
আসা করি এই তথ্যগুলো থেকে অনেক কার্যকারী তথ্য ও উপায় জানতে পেরেছেন এবং আপনার শরীরকে উন্নত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, স্বাস্থ্যকে উপযুক্ত রাখে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।