সারাহার কথা মনে আছে? গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই অ্যাপটি দিয়ে বেনামী বার্তা দেখতেন ব্যবহারকারীরা।সময় ঘুরে সারাহার মতই আরেকটি অ্যাপ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। 'স্টুলিশ' নামের নতুন অ্যাপটি দিয়ে ভালোবাসা, রাগ, অভিমানের সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে নাম প্রকাশ ছাড়াই।ভাইরাল হওয়া স্টুলিশ আইডির লিংক অনেকেই ফেইসবুকে শেয়ার দিচ্ছেন।
শেয়ার করা লিংকে ক্লিক করে কোন নিবন্ধন বা নাম প্রকাশ ছাড়াই ব্যবহারকারীর আইডিতে বার্তা পাঠাচ্ছেন অনেকে। কেউ বেনামী বার্তাগুলোর স্ক্রিনশট ফেইসবুকে শেয়ার করে মজা করছেন।স্টুলিশ অ্যাপটি তৈরি করেছে এইচএলএন এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
অ্যাপটি ইতোমধ্যে ৫ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। তবে কথা হচ্ছে, অ্যাপটি কতটা নিরাপদ?অ্যাপটি মোবাইলে ইন্সটল করার সময় ক্যামেরা, লোকেশন, ফোন কল ও স্টোরেজ অ্যাক্সেসের অনুমতি চায়। কিন্তু এমন অ্যাপ ব্যবহারে সাধারণত এই ধরনের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। এই অনুমতিগুলো পেলে ফোনে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ভিডিও ও কন্টাক্ট নাম্বার অ্যাপটির মাধ্যমে নিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপটি প্রধান উদ্দেশ্য ব্যবহারকারীদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা। এই তথ্যগুলো পরবর্তীতে বিক্রি করা ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা।
অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার সোহাগ মিয়া বলেন, অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্যই তৈরি করা হয়। কেননা সাধারণ বার্তা পাঠানোর অ্যাপে এত পারমিশনের প্রয়োজন হয় না। অ্যাপটি ব্যবহারের আগে সচেতন থাকা দরকার।
ডিকোডস ল্যাবের প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা আরিফ মঈনুদ্দিন টেকশহর ডটকমকে বলেন, অ্যাপটিতে ফেইসবুকের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যায়। এতে করে ফেইসবুকের বিভিন্ন তথ্য অ্যাপটি হাতিয়ে নিতে পারে। তাই ফোনে অ্যাপটি ইন্সটল করলে তথ্যের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত অ্যাপটি আনইন্সটল করে ফেলা উচিত।
স্টুলিশ প্রোফাইল বা স্ক্রিনশট শেয়ারের পাশাপাশি অনেক ফেইসবুকে ব্যবহারকারী অ্যাপটি নিয়ে সচেতনতা মূলক পোস্ট দিচ্ছেন।